Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

ইতিহাসে নিষ্ঠুরতা, প্রাপ্তি ও প্রাসঙ্গিকতা

এ কে এম শামছুল হক রেনু

আগস্ট ২৯, ২০২০, ০৬:১৩ পিএম


ইতিহাসে নিষ্ঠুরতা, প্রাপ্তি ও প্রাসঙ্গিকতা

ইতিহাসে নিষ্ঠুরতা ও নির্মমতার ঘটনা যেমন অশ্রুধারা ও বিষাদের, তেমনি এর প্রায়শ্চিত্ত-প্রাপ্তিও কম নয়। প্রাপ্তি অনেক সময় দুনিয়াতেই কমবেশি দৃশ্যমান হয়। তাই হয়তো বলা হয়— পাপী কখনো দুনিয়া থেকে শাস্তি ছাড়া বিদায় হয় না। অর্থাৎ সিনার ক্যান নেভার গো আনপানিশড।

মহররম মাস তামাম জাহানের মুসলমানদের জন্য একটি শোকাতুর হূদয়বিদারক ও মর্মান্তিক ঘটনার মাস। এই মাস আগমনে মুসলমানদের অন্তরে জেগে ওঠে দুঃখ, জ্বালা, বেদনা ও অনুতাপের হাহাকার।

এই মাসে প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর দৌহিত্র, হজরত আলী (রা.) পুত্র ও মা জননী ফাতেমা (রা.)-র আদরের দুলাল, ইসলামের অকুতোভয় সিপাহসালার হজরত হাসান ও হোসেন (রা.)-র ওপর কাপুরুষ দানব এজিদের নিষ্ঠুরতা, নৃশংসতা, দানবীয়তা ও নির্মমতায় কারবালার ফোরাত প্রান্তর শহিদদের রক্তে রঞ্জিত হয়। চারদিক থেকে আওয়াজ আসে— হায় হাসান, হায় হোসেন (রা.)।

কোনো মুসলমান এই অমানবিক নিষ্ঠুরতা ও নির্মমতা যেমনি আজও ভুলতে পারেনি, তেমনি সহ্য করতেও পারেনি। যে নিষ্ঠুরতা মনে হলে মুসলমানদের কলিজা দুঃখ-বেদনায় খান খান হয়ে যায়।

তাই পাষণ্ড দানব, অমানুষ ও নিষ্ঠুর ক্ষমতালোভী এজিদ মৃত্যুর আগে বলে গিয়েছিল— ‘আমাকে কোথায় কবর দেয়া হবে তা যেন কেউই জানতে না পারে। তা জানলে কবর থেকে লাশ তুলে তা ছিন্নভিন্ন করা হবে। লাশের হাড়গোরও ধুলিসাৎ করা হবে। তাই পাষণ্ড এজিদের কবর কোথায় দেয়া হয়েছে তা হয়তো কেউই জানে না বলে ঐতিহাসিকদের মন্তব্যে উঠে এসেছে।

ইসলামের আবির্ভাবের পর ইসলামকে সমূলে ধ্বংস করার জন্য বিধর্মীদের চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র ও আরও অনেক মর্মস্পর্শী ঘটনা ঘটেছে। যা বর্ণনা করলে এ কলামে অন্য কিছু লেখা সম্ভব হবে না বিধায় সংক্ষিপ্তভাবে কিছু ঘটনার বর্ণনা করা হলো।

হজরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর ওফাতের পর তোলায়হা, মুসায়লামা, সাজাহসহ চারজন ভণ্ড নবী হিসেবে নিজেদের দাবি করে থাকে। প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ফিলিপ কে হিট্টির বর্ণনা থেকে জানা যায় (History of Arab) সেই সময় অন্তর্দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়ে চারজন ভণ্ড নবী দাবিদার নির্মমভাবে নিহত হয়।

তিনি আরও লিখেছেন, হজরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর ওফাতের পর হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.)-র মতো ইসলামের বলিষ্ঠ খেদমতগার ও নেতৃত্ব না থাকলে ইসলাম বেদুইন গোত্রদের সাথে মিশে গিয়ে অংকুরেই বিনষ্ট হয়ে যেতো। অর্থাৎ Had there been no Hazrat Abu Baker (R.) Islam would malted way compromise with the Bedwin tribes.

এতসব কিছুর উত্তোরণ ঘটিয়ে ইসলাম ধর্ম আজ সারা দুনিয়ায় বিস্তার লাভ করেছে। ভারত, আমেরিকা, কানাডা, যুক্তরাজ্য, আফ্রিকাসহ দুনিয়ার অনেক দেশে ইসলামের তীব্র বিরোধীরাও কলেমা তৈয়বা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সা.)’ পড়ে ইসলামের সুন্দর ও সুশীতল পতাকা তলে এসে মুসলমান হচ্ছে।

ইসলামের বিরুদ্ধে ফেরাউন (রামোসিস) অত্যাচার ও উৎপীড়ন কম করেনি। ফলে আল্লাহর অশেষ মেহেরবাণীতে নীলনদ দিয়ে হজরত মুসা (আ.) সঙ্গী-সাথীসহ ঘোড়ায় চড়ে পাড়ি দিলেও ফেরাউন সেই নীলনদ পাড়ি দেয়ার সময় আল্লাহর কুদরতে দুপাশের পানি চাপ দিলে সেখানেই তার সাঙ্গপাঙ্গসহ পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের এমন নিদর্শনের শেষ নেই। কাবা শরীফ জয় করতে আসা আবরাহার বিশাল হস্তী বাহিনীকে আবাবিল পাখির কংকর নিক্ষেপে ধ্বংস করা হয়েছিল।

উল্লেখ রয়েছে— আবাবিল পাখির মুখের কংকর যেখানে পড়েছিল সেখানে বিশাল গর্ত হয়ে যায়। এই কংকর আবরাহার যে সৈন্য ও হাতির ওপর পড়েছিল সেই সৈন্য ও হাতী ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। উল্লেখ রয়েছে— আবাবিল পাখির মুখের কংকরের ওজন নাকি একটনের (সাড়ে সাতাশ মণ) বেশি ছিলো।

নাকে ছোট মশা ঢুকলে সেই পরাক্রমশালী ইসলামবিদ্বেষী নমরূদ যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে মাথা থাপড়াতে থাপড়াতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। হজরত ইবরাহিম (আ.)-কে আগুনের কুণ্ডে নিক্ষেপ করা হলে আগুন স্বস্তিদায়ক হয়ে যায়। এমনিভাবে ইসলামের বিরোধিতাকারীদের শাস্তির অসংখ্য দৃষ্টান্তের শেষ নেই।

ইতিহাসের আলোকে ও সমসাময়িক কিছু ঘটনা এখানে উল্লেখ করা হলো। নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে হত্যা করে যারা সিংহাসন দখল করতে চেয়েছিল সেই বিশ্বাসঘাতক মীরজাফর আলী খানসহ নাটের গুরুদের অনেকেই নির্মম, নিষ্ঠুরভাবে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করেছে। ইতিহাসের শিক্ষা কখনো শুভ হয় না। যার রয়েছে ভূরি ভূরি প্রমাণ ও উদাহরণ।

বিশ্বাসঘাতক মীরজাফর দীর্ঘদিন কুষ্ঠরোগে ভোগার পর মারা যায়। এমনকি এখনো তার কবরের পাশ দিয়ে যাওয়া-আসার সময় মানুষ থুথু ও জুতা নিক্ষেপ করে। ঘসেটি বেগমকে পানিতে চুবিয়ে মারা হয়।

যে মীরনের নির্দেশে মুহাম্মাদী বেগ নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে হত্যা করে সেই মীরনের নৃশংসভাবে মৃত্যু হয় ইংরেজদের হাতে। রায় দুর্লভ দীর্ঘ কারাভোগের পর কারাগারেই মৃত্যু হয়। জগৎ শেঠকে মীর কাশেম হত্যা করে। উমি চাঁদ পাগল অবস্থায় ঘুরে ঘুরে মারা যায়।

ধনকুবের ও ষড়যন্ত্রকারী নন্দ কুমারকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়। নাটেরগুরু ও গডফাদার ইস্ট ইন্ডিয়া বেনীয়া কোম্পানির বেইমান রবার্ট ক্লাইভ ১৭৭৬ সালে আত্মহত্যা করে নিজেই নিজের জীবনলীলা সাঙ্গ করে।

৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে মর্মান্তিকভাবে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত চৌকস অফিসার মেজর সিনহা রাশেদ খান।

এই নির্মম হত্যাকাণ্ডকে যারা মিথ্যাচার ও ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল আজ র্যাব ও চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারের তদন্তে একটার পর একটা ঘটনার মূল রহস্য বেরোতে শুরু হয়েছে। মেজর (অব.) সিনহা একসময় প্রধানমন্ত্রীর এসএসএফের সদস্য হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

তিনি একজন মেধাবী ও চৌকস সেনা কর্মকর্তা ছিলেন বলেও জানা যায়। যারা তাকে হত্যা করে ঘটনা অন্যদিকে নিতে চেয়েছিল তারা ধরা পড়তে শুরু করেছে। কোনো অবস্থাতেই সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকা যায় না।

জাতির দুর্ভাগ্য মহান স্বাধীনতার পর ’৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৯৮১ সালে ৩০ মে যারা রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল তাদের স্বরূপও গোপন থাকেনি।

অর্থাৎ এ দুনিয়াতে যত নিষ্ঠুরতা ও নির্মমতা সংঘটিত হয়েছে একদিন আগে হোক আর পরে হোক কোনো অবস্থাতেই তা গোপন থাকেনি। বাস্তবিক অর্থে ইতিহাস বড়ই নিষ্ঠুর ও নির্মম। যার যতটুকু প্রাপ্তি তা পেতেই হয়। বিলম্বে হলেও মিশরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত ও ইয়াসির আরাফাতের হত্যার ঘটনাও বেরিয়েছে।

১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের কুখ্যাত জল্লাদ, কসাই, দানব ও হায়েনারা এদেশের নিরীহ, নিরপরাধ মানুষকে নির্মম, নিষ্ঠুর ও অমানবিকভাবে হত্যা করে। ৯৩ হাজার হানাদার পাকবাহিনী ও নাটেরগুরু ১৯৫ জন হানাদার বাহিনীর ঘাতকের এদেশের মাটিতে বিচার হওয়ার কথা থাকলেও ১৯৭৩ সালে ভারতের সিমলায় ইন্দিরা ভুট্টোর সিমলা চুক্তির মাধ্যমে তাদের পাকিস্তানে ফেরৎ পাঠানো হয়। সিমলা চুক্তিতে তখন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের কোনো প্রতিনিধিকে রাখা হয়নি বলে জানা যায়। তারপরও এসব দানব ও কষাইরা পাকিস্তানে ফিরে গিয়েও বিভিন্নভাবে নাজেহাল হচ্ছে।

পাকিস্তানে অবস্থানরত অনেক প্রবাসী বাংলাদেশির তথ্য ও সূত্রে জানা যায়, এসব দানব কোনো সেমিনার বা সভা-সমাবেশে গেলে বাংলাদেশে ৭১ সালে সংঘটিত নরহত্যা সম্পর্কে নাকি নানাভাবে প্রশ্নে জর্জরিত করা হয়। তাদের অনেক সময় পুলিশ বেষ্টনি করে নাকি গণরোষ থেকে উদ্ধার করা হয়। তাদের ওপর ঘৃণার থুথু ও জুতা নিক্ষেপ করা হয়।

এমনিভাবে যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় নিরীহ নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করেছে, মা-বোনদের ওপর পাশবিক নির্যাতন, বাড়িঘর পুড়িয়েছে ও লুণ্ঠন করেছে ওরা বিচারের হাত থেকে বেঁচে গেলেও ওদের মধ্যে অনেকেই  ল্যাংড়া, কানা ও বোবা হয়ে বেঁচে আছে বলেও জানা যায়। জল্লাদ, বিশ্ববেহায়া, দানব ও নরপশু হিসেবে ধিকৃত ইয়াহিয়া বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর মদ্যপ অবস্থায় বেসামাল ও উলঙ্গ হয়ে মারা যায়। আজও তার অরক্ষিত কবরের পাশ দিয়ে যাওয়া আসার সময় মানুষ তাকে ধিক্কার, ঘৃণা ও থুথু দিতে ভুল করেনি।

পাকিস্তানে ফেরৎ ১৯৫ জন কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধীকে বাংলাদেশে এনে বিচারের দাবি কারো মন থেকে আজও নিবৃত হয়নি।

মুক্তিযুদ্ধকালে পাকহানাদার বাহিনীর কুখ্যাত মেজর ইফতেখার ও অন্যরা কিশোরগঞ্জ রেলস্টেশন সংলগ্ন ডাক বাংলোতে তাদের আস্তানায় ধরে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাসহ অগণিত নিরীহ মানুষকে হত্যা ও নারী নির্যাতন করেছে। মানুষ আজও সেই নৃশংসতা ভুলতে পারেনি। প্রতিবছর মহান স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসের দিন অগণিত মানুষ, সন্তানহারা পিতামাতা, পিতামাতা হারানো সন্তান, ভাইহারা বোন ও স্বামীহারা স্ত্রীদের বিলাপে ডাক বাংলো অঙ্গন মহরম মাসের কারবালা ট্র্যাজেডির মতো হূদয়বিদারক মর্মান্তিক দৃশ্যের অবতারণা হয়। আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে তাদের বিচারের জন্য ফরিয়াদ জানিয়ে লুপ্ত ব্যথা, বেদনা ও আহাজারি সংবরণ করে।

যারা ক্যাসিনো কেলেংকারি ও করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯-কে উপলক্ষ করে স্বাস্থ্যসামগ্রী সরবরাহে অনিয়ম, দুর্নীতি করেছে তাও গোপন থাকেনি। যদিও এসবের নাটেরগুরুদের পূর্ণাঙ্গ বিবরণ আজও অনেকেই জানতে পারেনি।

তারপরও আশার কথা— এসব কুশীলবদের বিরুদ্ধে দুদকসহ বিভিন্ন সংস্থা তদন্ত করছে। একসময় তাদের মুখোশ উন্মোচন হলে কারাগারে আটক দুদকের পরিচালক এনামুল বাছির ও বরখাস্তকৃত পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমানের মতো দেশের মানুষ হয়তো আরও অনেক কিছু দেখতে পারবে। বাংলাদেশ পুলিশ, দুদক ও অনেক সংস্থায় অনেক ভালো ও জনবান্ধব কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছেন। বর্তমান বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ ও দুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ ন্যায়, নিষ্ঠাবান ও জনবান্ধব হিসেবে পরিচিত।

প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে স্বাধীনতা দিবসে জাতির উদ্দেশ্যে প্রদত্ত ভাষণসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ঘোষণা করেছেন, দুর্নীতি করে কেউই রেহাই পাবে না, সে যত বড়ই হোক। দুদক চেয়ারম্যানও বারবার বলে আসছেন, দুর্নীতিবাজদের সাথে কোনো আপস নেই। যত ক্ষমতাশালীই হোক না কেন, বিচার থেকে রেহাই পাবে না।  

দুদক আরও ঘোষণা করেছে— প্রতি জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নপর্যায়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চলছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। তাদের পালিয়ে যাওয়ার পথ রুদ্ধ বলেও জানা যায়। এ প্রসঙ্গে একটি কথা না বললেই নয়। অনেক সময় টিআর, কাবিখা, কাবিটা, সাশ্রয়ী মূল্যের চাউল, উন্নয়নের অর্থ আত্মসাতের কথা শোনা যায়।

এসব দুর্নীতির প্রেক্ষাপটে সরকারি কর্মকর্তা, স্থানীয় সরকারের অধীন উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর চেয়ারম্যান, মেয়র, ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার এমনকি জেলা পরিষদের অনেককে তদন্ত সাপেক্ষে দুর্নীতির কারণে অপসারণ বা বরখাস্ত করা হয়।

দেখা যায় তদন্তে প্রমাণিত দুর্নীতি, আত্মসাৎ, অনিয়ম করলেও বরখাস্ত করেই কর্তৃপক্ষ স্টপ হয়ে যায়। বিচার বিভাগের মাধ্যমে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হতে অনেক সময় দেখা যায় না। এতে দুর্নীতিবাজ রাঘব বোয়ালরা আরও উৎসাহ পায়। বরখাস্তের অভিযোগ থেকে ছাড় পেয়ে তাদের মধ্যে অনেকেই নতুন উদ্যমে ও বেপরোয়া গতিতে দুর্নীতিকে আকড়ে ধরে থাকে।

অনেকেরই অভিমত— এসব চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ ও সরকারি সম্পদ আত্মসাৎকারীরা কোনো পর্যায়ে নির্বাচনেই যাতে অংশগ্রহণ করতে না পারে সে জন্য ব্ল্যাকলিস্ট করা অবশ্যম্ভাবী। এদেশ কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও দলের নয়। অর্জিত স্বাধীনতা ও এদেশ সকলের।

তাই একসময় বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী মুক্তিযুদ্ধের সময় লুটেপুটে এদেশ থেকে সবকিছু নিয়ে গেছে। লাখ লাখ মানুষ হত্যা করেছে। নারীর ইজ্জত সম্ভ্রম ধূলায় লুণ্ঠিত করেছে। কিছু আর অবশিষ্ট রাখেনি। কিছু চোর রেখে গেছে। ওদের নিয়ে গেলে হয়তো দেশটা বাঁচতো।

আমারসংবাদ/এসটিএম