Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

প্রণোদনা সুবিধায় নারী শ্রমিকরাও

মোতাহার হোসেন

মার্চ ১০, ২০২১, ০৬:৪৫ এএম


 প্রণোদনা সুবিধায় নারী শ্রমিকরাও

করোনাকালীন পরিস্থিতির ধকল কাটিয়ে আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশের রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক খাত। পোশাক কারখানায় কর্মঘণ্টা এখন স্বাভাবিক ধারায় ফিরতে শুরু করেছে। বেতন পরিস্থিতিও আগের মতো দেয়া হচ্ছে। 

মূলত করোনা পরিস্থিতিতে রপ্তানি আয়ের অন্যতম খাত পোশাকশিল্পকে সচল, গতিশীল রাখতে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত বিশেষ প্রণোদনা সুবিধা কাজে লাগিয়েই ঘুরে দাঁড়াবার সুযোগ সৃষ্টি হয় এ শিল্পে। 

দেশের রপ্তানি আয়ের অন্যতম খাত পোশাকশিল্পকে গতিশীল এবং সচল রাখতে শুধু শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধের জন্য তিন কিস্তিতে প্রণোদনা দেয়া হয় ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। 

পাশাপাশি এই খাতের চলতি মূলধনের জন্য প্রণোদনা দেয়া হয় আরো ৫০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে এই খাতে নিয়োজিত ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা। এসব প্রণোদনা সুবিধার সঙ্গে রপ্তানি আয়ের ওপর ৫% ভাগ শুল্ক রেয়াত পাচ্ছে রপ্তানিকারকরা। 

এসব গুচ্ছ সুবিধা পেয়েই পোশাক খাত ঘুরে দাঁড়াবার পাশাপাশি লাখো শ্রমিক কর্মচারীর পদচারণায় মুখর ও কর্মচঞ্চল হয়ে ওঠেছে, যার অধিকাংশই নারী শ্রমিক। পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট এবং পরিসংখ্যানে এই আশাজনক তথ্য ওঠে এসেছে।

রপ্তানি বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং জিডিপিতে অবদান বৃদ্ধি যে দৃষ্টিকোণ থেকেই দেখা হোক না কেন, দেশের অর্থনীতিতে পোশাকশিল্পের অবদান অপরিসীম। স্বাধীনতা অর্জনের মাত্র ৭ বছর পরে প্রায় শূন্য থেকে শুরু করে ৩৮ বছরে এর পরিধি, ব্যপ্তি ঘটেছে ব্যাপকভাবে। স্বাধীনতার ঊষালগ্নে বাংলাদেশ ছিলো কৃষিনির্ভর প্রান্তিক অর্থনীতির দেশ। চামড়া, পাটজাত দ্রব্য ও কাঁচামাল ছাড়া কোনো রপ্তানি পণ্য ছিলো না। 

এই অবস্থা থেকে তিলেতিলে গড়ে ওঠা পোশাকশিল্প আজ বাংলাদেশকে বিশ্বে নতুনভাবে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে। বর্তমানে নারী-পুরুষ মিলিয়ে প্রায় ৪৫ লাখ কর্মী নিয়োজিত আছে এই খাতে। মূলত পোশাক রপ্তানির কারণেই আমদানি-রপ্তানি ব্যবধান হ্রাস পেয়েছে এবং বর্তমান রপ্তানি আয় দিয়ে ৮০ শতাংশ আমদানি ব্যয় মেটানো হচ্ছে। 

তেমনিভাবে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ বৃদ্ধিতেও পোশাকশিল্পের অবদান অপরিসীম। পোশাকশিল্পের বৃদ্ধির পাশাপাশি বেড়ে উঠেছে অনেক সহযোগী শিল্প-কারখানা। 

সামগ্রিকভাবে এ শিল্পের সাথে জড়িত প্রায় ৪৫ লাখ শ্রমিক এবং সহযোগী শিল্প ও সেবা খাতের শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের ফলে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে প্রায় আড়াই থেকে তিন কোটি মানুষের জীবিকার সংস্থান হয়েছে।

এই কর্মযজ্ঞ দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। সত্তর দশকে বাংলাদেশ কেবল কাঁচামাল রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে পরিচিত ছিলো আর বর্তমানে রপ্তানিপণ্যের প্রায় ৯০ শতাংশই শিল্পপণ্য যা উন্নয়নশীল দেশে অনন্য।

সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) ও মাইক্রো ফাইন্যান্স অপরচুনিটিজ (এমএফও)-এর যৌথ গবেষণায়ও এমন তথ্য পাওয়া গেছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ‘হোয়াটস গোয়িং অন? লেসনস ফ্রম দ্য গার্মেন্ট ওয়ার্কার ডায়েরিজ : কোভিড কনটেক্সট’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে গবেষণায় এই তথ্য তুলে ধরা হয়। 

বাংলাদেশের গার্মেন্টস শ্রমিকদের জীবন ও জীবিকার ওপর কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব মূল্যায়ন করতে সানেম ও এমএফও ১৫ সপ্তাহ ধরে এক হাজার ৩৬৭ জন শ্রমিকদের ওপর ধারাবাহিকভাবে জরিপ চালিয়ে আসছে। গার্মেন্টস ওয়ার্কার ডায়েরিজ প্রকল্পের আওতায় পরিচালিত জরিপে প্রতি সপ্তাহে নতুন প্রশ্ন যোগ করা হয়। 

গবেষণা ফলাফল তুলে ধরে বলা হয়, করোনার পর গত এপ্রিল মাসে পুরুষদের গড় কর্মঘণ্টা ছিলো ৪৩ ঘণ্টা, আর নারীদের জন্য ছিলো ৪২ ঘণ্টা। তবে মে মাস থেকে কর্মঘণ্টা বাড়তে থাকে। জুন, জুলাই ও সেপ্টেম্বরে কর্মঘণ্টা আবার ২০১৯ সালের মতো হওয়া শুরু করে, যা ছিলো মাসে ২৪৬ ঘণ্টা। এপ্রিল মাসে শ্রমিকদের গড় বেতন ছিলো ৯ হাজার ২০০ টাকা এবং পুরুষ শ্রমিকদের ছিলো ১০ হাজার ১৭৫ টাকা। সেপ্টেম্বরে যা বেড়ে প্রায় ১০ হাজার ও ১১ হাজার টাকা হয়েছে।

 দেশের পোশাক খাতসহ রপ্তানিমুখী শিল্পের শ্রমিকদের মজুরি দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছর ২৫ মার্চ পাঁচ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা ঘোষণা করেন। এছাড়া তিন দফায় শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধে মোট ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা প্রণোদনা দেয়া হয়। এরপর ৫ এপ্রিল সরকার একই খাতের চলতি মূলধনের জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করে। 

ওই সময় ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য প্রণোদনা দেয়া হয় ২০ হাজার কোটি টাকা। এরই মধ্যে পোশাক খাতসংশ্লিষ্ট সব ধরনের ঋণ প্রণোদনা বিতরণ করা হয়েছে।করোনার কারণে বিগত সময়ে যেসব বিদেশী ক্রেতা বা বায়ার তাদের রপ্তানি আদেশ বাতিল বা স্থগিত করেছে এখন ফের সেইসব আদেশ পুনরায় দিচ্ছে। 

এতে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক খাতে। এসব কারণেই ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে দেশের তৈরি পোশাকশিল্প খাত। সরকারি এবং সংশ্লিষ্ট মহলের নানামুখী তৎপরতায় ফিরে পেতে যাচ্ছে করোনার আঘাতে বাতিল হওয়া আন্তর্জাতিক ক্রয়াদেশ। বড় বড় কোম্পানিগুলো ইতোমধ্যেই তাদের ক্রয়াদেশ বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে। 

পাশাপাশি সরকারের ঘোষিত প্রণোদনার টাকা সরাসরি শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে জমা দেয়ার প্রক্রিয়ায় এ শিল্পে কর্মরত প্রায় পঞ্চাশ লাখ শ্রমিকও। ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দেখিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানা চালানোর ব্যাপারে সরকারও ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। 

এর মধ্যে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার জন্য দেয়া ঋণের গ্রেস পিরিয়ড এবং ঋণ পরিশোধের সময়সীমা ও কিস্তির সুযোগ বাড়ানো হচ্ছে। সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তৈরি পোশাক খাতকে এসব সুবিধা দেয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। 

করোনার কারণে যেসব ক্রেতা প্রতিষ্ঠান তাদের অর্ডার বাতিল করেছিল তারা সে অবস্থান থেকে সরতে শুরু করেছে। বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় ক্রেতা সুইডেনভিত্তিক খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান এইচঅ্যান্ডএম সম্প্রতি তাদের মনোনীত কারখানায় ইতোমধ্যে যেসব পোশাক তৈরি হয়েছে সেসব নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। 

একই পথে হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ব্র্যান্ড পিভিএইচ, স্পেনভিত্তিক খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ইন্ডিটেক্স, যুক্তরাজ্যভিত্তিক ব্র্যান্ড মার্কস অ্যান্ড স্পেনসার (এমঅ্যান্ডএস), ফ্রান্সভিত্তিক খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান কিয়াবি এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক খুচরা বিক্রেতা ব্র্যান্ড টার্গেট। এরাই বাংলাদেশি পোশাকের অন্যতম শীর্ষ ক্রেতা। 

এইচঅ্যান্ডএম বাংলাদেশ থেকে বছরে ৩০০ কোটি ডলারের পোশাক আমদানি করে থাকে। এম অ্যান্ড এস নেয় ১০০ কোটি ডলারের। ইন্ডিটেক্সও ১০০ কোটি ডলারের কাছাকাছি পোশাক নেয়। কিয়াবি নিয়ে থাকে ৫০ থেকে ৭০ কোটি ডলারের পোশাক। ফলে ক্রয়াদেশ বাতিল হওয়ার প্রাথমিক ধাক্কা সামলে নিতে পারছেন বলে জানান উদ্যোক্তারা। 

বিজিএমইএর তথ্যে দেখা যায়, জুন-জুলাই মাসের আগে যে অর্ডারগুলোর রপ্তানি হয়নি, সেগুলো রপ্তানি করা হয়েছে। ফলে কর্মঘণ্টা বেড়েছে এবং রপ্তানিও বেড়েছে। তবে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ পোশাক আমদানিকারক দেশগুলোকে ক্ষতির মুখে ফেললে শ্রমিকদের জীবিকা হুমকির মুখে পড়বে। এজন্য একটি পূর্বপরিকল্পনা দরকার। 

পাশাপাশি ডিজিটাল আর্থিক দক্ষতা এবং সচেতনতা সৃষ্টি কার্যক্রমের ওপরও গুরুত্ব দেয়া দরকার। ‘শ্রমিক নিরাপত্তার কথা ভেবে পোশাক খাতের শ্রমিকদের জন্য বিভিন্নভাবে নগদ প্রণোদনাসহ সহায়তা দিয়ে আসছে সরকার। 

এই সুযোগ কাজে লাগাতে উদ্যোগী হতে হবে পোশাক খাতের সংশ্লিষ্টদের। দেশের পোশাক খাত আশির দশকের একটি খাত। পোশাকশিল্প দেশের শিল্পায়নে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। প্রায় ৪৫ লাখ শ্রমিক এই খাতে যুক্ত হয়ে উৎপাদনশীল কাজে অন্তর্ভূক্ত থাকায় দারিদ্র বিমোচনেও উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। এ শিল্প সম্প্রসারণের সম্ভাবনা প্রচুর। 

কারণ বিশ্বের দেশে দেশে দিন দিন রুচি সম্মত, টেকসই, শিল্প সমৃদ্ধ পোশাকের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। বর্তমান বিশ্বে এই পণ্যের বাজার প্রায় ৫০০ বিলিয়ন ডলারের। প্রথম দিকে কোনো রকমভাবে পোশাক করাখানা গড়ে উঠেছে। শ্রমিকের মজুরি, নিরাপত্তা, পৃথক গার্মেন্টে ভিলেজ এবং প্রযুক্তি উন্নয়নের বিষয়গুলো গুরুত্ব দেয়া উচিত। 

এতদিন ক্রেতাদের চাহিদা মত পণ্য তৈরি হয়েছে। স্বল্পমেয়াদি লাভের জন্য দীর্ঘমেয়াদী স্বার্থ গুরুত্ব পায়নি। উপেক্ষিত হয়েছে পণ্য বৈচিত্রকরণ, দক্ষতা ও গবেষণা। ফলে আজও কেবল টিকে থাকার চেষ্টাই চলছে। 

আসলে উন্নয়ন ঘটে একটি ভিশনকে সামনে রেখে। এই ‘ভিশন’ মূলত দীর্ঘমেয়াদি। তেমনি একটি ‘ভিশন’-কে সামনে রেখে সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ নিরুপণ করা এবং সেই অনুযায়ী চ্যালেঞ্জ বাস্তবায়নে অগ্রসর হওয়া এখন সময়ের দাবি। 

পোশাক খাতের উৎপাদনশীলতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি, উদ্ভাবন, কাজের পরিবেশ সৃষ্টি, শ্রমিক মালিকের সম্পর্ক উন্নয়ন শুধু এই শিল্প খাতের উন্নয়নের জন্যই নয় বরং গোটা অর্থনীতির স্বার্থেই এটা করা জরুরি। আগামী বছরই উদযাপিত হবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের সুবর্ণ জয়ন্তী। শুধু টিকে থাকা নয়, পোশাকশিল্পকে আরও অনেক দূর, আরও কয়েক ধাপ উন্নত স্তরে নিয়ে শ্রমিক-মালিক-শুভাকাঙ্ক্ষীদের সম্মিলিত অংশগ্রহণে সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করবে এটাই হোক প্রত্যাশা। 

পোশাকশিল্প দেশের শিল্পায়নে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। কর্মমূখর এ শিল্পে প্রায় ৪৫ লাখ শ্রমিক যার অধিকাংশ নারী। তারা কর্মচাঞ্চল্য, উদ্যোম, কর্মসংস্থান, উৎপাদনশীলতাকে অন্তর্ভুক্ত করে দারিদ্র্য বিমোচনে রাখছে ব্যাপক অবদান। এ শিল্পের সম্ভাবনা প্রচুর। বর্তমানে বিশ্বে এই পণ্যের বাজার ৫০০ বিলিয়ন ডলার। 

এই সম্ভাবনাময় এবং ক্রম সম্প্রসারিত এই শিল্পের বিশ্ব বাজারকে ধরতে সরকারি, বেসরকারি সংস্থা, সংশ্লিষ্ট মহল, মালিক এই শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের সম্মিলিত ও আন্তরিক কার্যকর উদ্যোগ অপরিহার্য। একই সাথে শ্রমিকের মজুরি, নিরাপত্তা, পৃথক গার্মেন্টস ভিলেজ এবং প্রযুক্তি উন্নয়নের বিষয়গুলো গুরুত্ব দেয়া জরুরি। এতদিন ক্রেতাদের চাহিদা মত পণ্য তৈরি হয়েছে। 

স্বল্পমেয়াদি লাভের জন্য দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থ গুরুত্ব পায়নি। উপেক্ষিত হয়েছে পণ্য বৈচিত্রকরণ, দক্ষতা ও গবেষণা। ফলে আজও কেবল টিকে থাকার চেষ্টাই চলছে। এই শিল্পের ক্রম প্রসার ও টেকসই ব্যবস্থাপনার প্রতিও গুরুত্ব দেয়া দরকার। আমাদের মনে রাখা দরকার, দেশের রপ্তানিমুখী পোশাক খাত শুধু রপ্তানি আয় বৃদ্ধির জন্য নয়, সরকারের ওপর অর্থনৈতিক নির্ভরতা ধীরে ধীরে কমিয়ে নিজস্ব পায়ে দাঁড়াবার সক্ষমতা অর্জন করা জরুরি। 

একই সঙ্গে অর্থনীতির লাইফ লাইন, কর্মসংস্থানের সম্ভাবনাময় পোশাক সেক্টরকে পরিবর্তিত বিশ্বে পোশাকের বৈচিত্র্যের পাশাপাশি, তাদের রুচি, চাহিদার বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে শিল্প সমৃদ্ধ, বৈশ্বিক দেশ, অঞ্চলভিত্তিক মানুষের পোশাক পরিচ্ছদ প্রভৃতিকে বিবেচনায় রেখে এগুলে প্রত্যাশিত সমফলতা, অগ্রগতি ও বিশ্বের বাজারে বাংলাদেশের পোশাকের কদর ও চাহিদা বাড়বে। এসব বিষয়কে গুরুত্ব ও অগ্রাধিকার দিয়ে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক খাতকে ঢেলে সাজানোর প্রত্যাশা রইলো। 

(পিআইডি-শিশু ও নারী উন্নয়নে যোগাযোগ কার্যক্রমবিষয়ক নিবন্ধ)।  

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট

আমারসংবাদ/এআই