Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ১০১তম জন্মদিন আজ

আখতার-উজ-জামান

মার্চ ১৭, ২০২১, ০৫:৪৫ এএম


জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ১০১তম জন্মদিন আজ

বাংলার অবিসংবাদিত নেতা, জাতির জনক-মধুমতি-বাঘিয়ার নদীর তীরে আর হাওর-বাঁওড়ের মিলনমেলায় বেড়ে ওঠা বাংলার অবারিত প্রাকৃতিক পরিবেশে জন্ম নেয়া শেখ মুজিবুর রহমান-স্বাধীন বাংলার মহীয়ান। এই প্রজন্মের একজন বাঙালি হিসেবে কথাটি আমার মনে প্রাণে ভেসে উঠে বারবার এই মানুষটির নাম। আজ ১৭ মার্চ এ মহানায়কের ১০১ তম জন্মদিন। 

টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন বাঙালির মুক্তির সংগ্রামের অবিসংবাদিত এই নেতা। তার সাহসী ও আপসহীন নেতৃত্বে অনুপ্রাণিত হয়েই পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বীর বাঙালি। তাই আজকের দিনটিতে সরকারিভাবে দিবসটি ‘জাতীয় শিশু দিবস’ হিসেবে উদযাপিত করে থাকে। 

বিদ্রোহী ও জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের বিখ্যাত বিদ্রোহী কবিতা দিয়ে আমার তথা প্রায় ১৮ কোটি জাতির মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হলো একটি মানুষের নামকে স্মরণ করে। যেই নামটির পেছনে অনেক ত্যাগ তিতীক্ষা জেল-জুলুম, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া আদায়ে লড়াই আর আজকের ৫০ বছরের স্বাধীন-স্বার্বভৌম বাংলাদেশ পরিলক্ষিত হয়। 

যা না হলে বাংলার মানুষ আজ স্বাধীন সত্ত্বাকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে পারতো না। তাই জাতীয় কবির ভাষায় একটু না বললেই নয় নিম্নে তা ফুঁটিয়ে তুলতে এবং সঠিকভাবে এর মূল্য দিতে গেলে অনেক জ্ঞান চর্চার প্রয়োজন তারপরও বলতে হলো : “ মহা- বিদ্রোহী রণক্লান্ত/ আমি সেই দিন হব শান্ত / যবে ষ রেপর পূব্জা উৎপীড়িতের ক্রন্দনরোল / আকাশে-বাতাসে ধ্বনিবে না/ অত্যাচারীর খড়ুগ কৃপাণ ভীম রণ / ভূমে রণিবে না-বিদ্রোহী রণক্লান্ত / আমি সেই দিন হব শান্ত ”। 

বিদ্রোহী কবির এই বিখ্যাত কবিতায় বাংলার মহীয়ান, আকাশে-বাতাসে উৎকণ্ঠিত এক প্রতিধ্বনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নামটি নতুন প্রজন্মের দৃষ্টিতে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। যার সঠিক মূল্যবোধ দিয়ে তরুণ প্রজন্মকে পুণরায় জানান দিতে হলো স্বাধীন ও স্বার্বভৌম বাংলার মাটিতে। মায়ের ভাষাকে টিকিয়ে রাখার জন্য বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাত, লাঞ্ছনা আর বঞ্চনা উপেক্ষা করে এই মানুষটির অবদান অনস্বীকার্য। 

১৯২০ সালের এই দিনে আমাদের স্বাধীনতার মহান এ স্থপতি গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত ছুটে বেড়িয়ে বাঙালির কাছে পৌঁছে দেন পরাধীনতার শিকল ভাঙার মন্ত্র। সে মন্ত্রে বলীয়ান হয়ে স্বাধীন দেশে পরিণত হওয়ার পাশাপাশি আজ বাংলাদেশ পরিণত হয়েছে বিশ্বের অন্যতম সম্ভাবনাময় দেশে। বাংলার ইতিহাসের ৭, ১৭ ও ২৬ মার্চের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুকে শুধু রাজনৈতিক দিক থেকে বিবেচনা করলে চলবে না। এই মহান মানুষটি আবহমান বাংলার রূপ বৈচিত্র্যের সাথে পুরোপুরি মিশে আছেন দেশপ্রেমিক শিল্পী হিসেবে। 

তাই বলতে হয় বাংলার টগবগে দামাল এই যুবক নিয়ে : সাড়ে ষোল কোটি বাঙালির বন্ধু আর বাংলার প্রাণ/ নামটি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।/ মধুমতি আর বাইগার নদীর তীরে, বঙ্গবন্ধু এখনো তুমি রয়েছো চারদিকে ঘিরে।/ হাওড়-বাঁওড়ের মিলনে গড়ে সুন্দর ঐ নামটি/ বাংলার অবারিত প্রাকৃতিক পরিবেশে সেই টুঙ্গিপাড়া গ্রামটি।/ অধিকার আদায়ের নেতৃত্বে তুমিই তো দেখিয়েছ শৈশব থেকে/ স্বাধীন স্বার্বভৌম আজকের বাংলাদেশ তোমারই আদর্শ পেয়ে।/ অন্যায়-অত্যাচার, শাসন-শোষণ থেকে তুমি এনে দিয়েছে এই বাংলা, একটি আদর্শ পরিবারকে হারিয়ে আজও বেঁচে আছে শেখ হাসিনা-শেখ রেহেনা। বাবার ন্যায়কে প্রতিষ্ঠা করতে পিছ্ পা হননি; এখনো এতিম দু’টি সুযোগ্য কন্যা,/ বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া দু’টি অবুঝ মন উপহার দিচ্ছে আজ স্বাধীন বাংলায় আনন্দের বন্যা।/ পদ্মা-মেঘনা-যমুনায় বহমান তাইতো আজ তুমি রয়েছো স্বাধীন বাংলার মহিয়ান, বিশ্বের মানচিত্রে উজ্জ্বল নক্ষত্র আকাশে-বাতাসে চিরচেনা নামটি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান। 

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ রেসকোর্সের জনসমুদ্র থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয় বাংলা’।

ঐতিহাসিক ভাষণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে শৃঙ্খল মুক্তির আহ্বান জানিয়ে ঘোষণা করেন, “রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেবো। এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ্। প্রত্যেকে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো। যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে মোকাবেলা করতে হবে।” 

বঙ্গবন্ধু শত্রুর বিরুদ্ধে গেরিলাযুদ্ধের প্রস্তুতি নেবার আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধু ইয়াহিয়া খানের সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। একদিকে রাষ্ট্রপতি জেনারেল ইয়াহিয়ার নির্দেশ, অপরদিকে ধানমন্ডি ৩২ নং সড়ক থেকে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ, কিন্তু বাংলার মানুষ বঙ্গবন্ধুর নির্দেশই মেনে চলতে লাগলো। অফিস-আদালত, ব্যাংক-বিমা, স্কুল-কলেজ, শিল্প-কারখানা সবই বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ চলেছে। ইয়াহিয়ার সব নির্দেশ অমান্য করে অসহযোগ আন্দোলনে বাংলার মানুষের সেই অভূতপূর্ব সাড়া ইতিহাসে বিরল ঘটনা। 

মূলত ৭ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ স্বাধীন দেশ হিসেবে বঙ্গবন্ধুই রাষ্ট্রপরিচালনা করেছেন। আর ঐ দিনই আলোচনায় ব্যর্থ হবার পর সন্ধ্যায় ইয়াহিয়া ঢাকা ত্যাগ করেন। ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে নিরীহ নিরস্ত্র বাঙালির ওপর পাকিস্তান সেনাবাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়ে। আক্রমণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পিলখানা রাইফেল সদর দফতর ও রাজারবাগ পুলিশ হেড কোয়ার্টার। নতুন আশা উদ্দীপনা নিয়ে স্বাধীনতার সুফল মানুষের ঘরে পৌঁছিয়ে দেবার জন্য দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয় অগ্রসর হতে শুরু করে। কিন্তু মানুষের সে সুখ বেশি দিন স্থায়ী হয় না। 

৪৮ বছরের আজকের ইতিহাসের এক গৌরবময় বাংলার মহানায়ক ও গণতন্ত্রের রূপকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে একে বারে শেষ করে দেয়ার জন্য এদেশেরই কিছু বিপথগামী সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাসহ হিংসাপরায়ন নরপশুদের চোখে পড়ে যান। 

যখনই এই বিধ্বস্ত দেশটিকে সুন্দরভাবে সাজানো গোছানোর কাজে বঙ্গবন্ধু নিজেকে ব্যস্ত রেখেছিলেন, ঠিক তখনই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঐ হিংসাত্মক বিপথগামীদের হাতে নির্মমভাবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পুরো পরিবারটিকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এই এক বিদারক দৃশ্য। 

যেই মানুষটি মায়ের ভাষার আন্দোলন আর স্বাধীনতার রূপকার সেই মানুষটিকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে এই দেশেরই নরঘাতকরা। তারা কি একবার চিন্তা করলো না যে এই মানুষটির বেঁচে থাকার কথা; আর আজকের গৌরবময় বাংলাদেশের উজ্জল দৃষ্টান্তের কথা। দেশের উন্নয়নের ছোঁয়া পৌঁছে যাক, যেমনটি চেয়েছিল শেখ হাসিনার বাবা, ঠিক একই কাজগুলো করে যাছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনা। 

হ্যাঁ বঙ্গবন্ধু নেই আজ এই বাংলায়; কিন্তু বাংলার রূপকারের উন্নয়নের ছোঁয়া আর দেশমাতৃকার ভালবাসায় বুঝিয়ে দেয় বঙ্গবন্ধু প্রায় ১৮ কোটি বাঙ্গালীর মাঝে এখনও বেঁচে আছেন, বেঁচে থাকবেন। আর জাতির জনকের ঐ নির্মমভাবে পুরো পরিবারকে হত্যার সময় মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আল-আমীনের অশেষ কৃপায় এখনও বেঁচে আছেন পিতৃমাতৃহীন বঙ্গবন্ধুর দুই মেধাবী কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। 

বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত অসামপ্ত উন্নয়ন কার্যক্রম রেখে যাওয়া বাকী কাজগুলো বাস্তবায়নে নিরলসভাবে করে যাচ্ছেন এই মহান নেতার সাহসী ও ত্যাগী কন্যা জননেত্রী ও বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এই উজ্জ্বল নক্ষত্র আর বাংলার রূপকার তার পিতার অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করতে সবসময় নিজকে সচেষ্ট রাখেন। জয় হোক এই মহান নেতার জন্মদিনের মধ্য দিয়ে বাংলার সাড়ে ষোলো কোটি বাঙালির, জয় হোক বঙ্গবন্ধুর সাহসী কন্যার। দিনটি সরকারি ছুটির দিন।

গভীর শ্রদ্ধায় বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা। এবার জাতির পিতা শেখ মুজিুবর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী হিসেবে ‘মুজিববর্ষ’ জাতীয়ভাবে পালিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারি ও বিভিন্ন পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবর রহমান ১৯২০ সালের এদিন তৎকালীন ভারতবর্ষের ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা শেখ লুৎফর রহমান ও মা শেখ সায়েরা খাতুন। লুৎফর-সায়েরা দম্পতির এ সন্তানই পরে এদেশের মানুষের মুক্তির ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হন। বাঙালির অবিসংবাদিত এই নেতা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কাল রাতে একদল বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে স্ব-পরিবারে নিহত হন।

পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু তার গতিশীল নেতৃত্বে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন এবং বাঙালি জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম করেন। তার নির্দেশনায় দীর্ঘ ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।

২০২০ সাল ছিল বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী। বছরব্যাপী জাতির জনকের জন্মশত বার্ষিকীর অনুষ্ঠান সরকারি এবং বেসরকারিভাবে উদযাপিত হয়ে আসছে। কিন্তু করোনার প্রকোপে অনেক কর্মসূচি স্থগিত করা হয়, যা এবার উদযাপিত হতে যাচ্ছে। 

এছাড়া মুজিববর্ষের কলেবরও কিছুদিন বাড়ানো হয়েছে। সরকারের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী এ বছরের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুজিববর্ষ পালিত হবে।

মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এবার পালিত হতে যাচ্ছে টানা ১০ দিনের অনুষ্ঠান। যাতে বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য বিদেশি অতিথিরা অংশ নেবেন। ‘মুজিব চিরন্তন’ শিরোনামে এ ১০ দিনের অনুষ্ঠান চলবে।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহণ করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে সংবাদপত্রগুলো।

অনলাইন মাধ্যম এবং টেলিভিশনে বিশেষ রিপোর্ট এবং বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। দেশব্যাপী দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের পাশাপাশি আয়োজিত হবে বিশেষ প্রার্থনা সভা। এতিমদের মধ্যে বিতরণ করা হবে উন্নতমানের খাবার।

বুধবার (১৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ৬ টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু ভবন ও দেশব্যাপী দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল সাড়ে ১১টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে রক্ষিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ। সকাল ১০টায় টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ হবে। যাতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এছাড়া বিকাল সাড়ে তিনটায় জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে অনুষ্ঠিত হবে বিশেষ অনুষ্ঠান। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আগামী রবিবার (২১ মার্চ) সকাল ১১টায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। যাতে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মুজিব শতবর্ষ উৎযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে ১০ দিনের কর্মসূচিতে থাকছে-১৭ মার্চের আয়োজনের থিম ‘ভেঙেছে দুয়ার এসেছ জ্যোতির্ময়’। এদিন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি থাকবেন। সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইবরাহীম মু. সালেহ উপস্থিত থাকবেন। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ভিডিওবার্তা দেবেন।

[media type="image" fid="115302" layout="normal" caption="1" infograph="0" parallax="0" popup="1"][/media]

এছাড়া দেশব্যাপী মসজিদে দোয়া মাহফিল ও মিলাদ মাহফিল এবং মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে বাদ জোহর বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।

আমারসংবাদ/এআই