Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই, ২০২৫,

বঙ্গবন্ধু কন্যা গোটা বিশ্বের অনুকরণীয়

অধ্যাপক মালেকা আক্তার চৌধুরী

মার্চ ২৮, ২০২১, ০৪:৫০ এএম


বঙ্গবন্ধু কন্যা গোটা বিশ্বের অনুকরণীয়

"তুমি বাংলার ধ্রুবতারা
তুমি হৃদয়ের বাতিঘর
আকাশে বাতাসে বজ্রকণ্ঠ
তোমার কণ্ঠস্বর"

সাম্প্রতিক বিশ্বের বিস্ময়, স্বাধীন বাংলাদেশের আত্মপরিচয়। বাংলাদেশ নামক মহাকাব্যের অমর মহানায়ক বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ একই সময়ে ইতিহাস স্বীকৃত আরেক মাহেন্দ্রক্ষণ মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী মহাসমারোহে যথাযোগ্য মর্যাদায়, ব্যাপ্তি ও বিশালতায় সম্প্রসারিত পরিসরে পালিত হচ্ছে। 

এর তাৎপর্য এবং গুরুত্ব বাঙালি জাতিসত্তায় এক অনন্য সাধারণ মহিমায় উদ্ভাসিত। পুরো বিশ্বের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে এখন বাংলাদেশ নামক ক্ষুদ্র এই জাতিরাষ্ট্রটি। মানবেতিহাসের বিরল এই দুই মাহেন্দ্রক্ষণের প্রত্যক্ষ সাক্ষী হতে পেরে আমরা এ প্রজন্ম অত্যন্ত গর্বিত।

বাঙালি জাতিসত্তার স্বতন্ত্র পরিচয়, ভাষা, কৃষ্টি-  কালচারসহ, দারিদ্র্য, ক্ষুধামুক্তি, আজন্ম শোষিত - নির্যাতিত প্রান্তিক এ জনগোষ্ঠীর মুক্তির মহানায়ক তথা  স্বাপ্নিক পুরুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের ঐতিহাসিক এ আয়োজনে একাত্মতা ও যোগদান করতে দক্ষিণ এশিয়ার বেশ ক'টি বন্ধুপ্রতীম - প্রতিবেশি রাষ্ট্রের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান বাংলাদেশে এসে গিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র- যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রপ্রধানেরা পাঠিয়েছেন শুভেচ্ছা বার্তা।

জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত ১০ দিন ব্যাপী এ অনুষ্ঠানমালার আজকের সমাপনী দিবসে যোগদান করেছেন মুক্তিযুদ্ধকালীন সর্ববিষয়ে সমর্থন ও সহযোগিতাদানকারী পরম প্রতিবেশি বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি।

আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে লাল গালিচা সংবর্ধনাসহ গার্ড অব অনার প্রদান করেন এবং পরবর্তীতে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদ বেদীতে মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। অনুষ্ঠানের সমাপনী থিম ছিল --- *স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর ও অগ্রগতির সুবর্ণরেখা।*

ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর শুভেচ্ছা বক্তব্যে বাংলাদেশের প্রতি ৫০ বছরের অকৃত্রিম বন্ধুত্বের সম্পর্ক তুলে ধরে বলেন, "জন্মলগ্ন থেকেই বাংলাদেশের বন্ধু ভারত। ৫০ বছরে এই সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হয়েছে। " 

তাছাড়া ভারত সরকার বঙ্গবন্ধুকে  *গান্ধী শান্তি পুরষ্কার -২০২০*এ ভূষিত করেন। জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের অনুষ্ঠান মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সঙ্গে নিয়ে নরেন্দ্র মোদির নিকট থেকে পুরষ্কার গ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা।

স্বাধীনতার মাত্র পাঁচ দশকে এক সময়কার তলাবিহীন ঝুড়িখ্যাত বাংলাদেশের সদর্পে ঘুরে দাঁড়ানোর বিষয়টিকে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ অবাক বিস্ময়ে প্রত্যক্ষ করছেনই শুধু নয় বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্যারিশমেটিক নেতৃত্ব ও দেশ পরিচালনায় অভাবনীয় দক্ষতার ভূয়সী প্রশংসাও করছেন। পিতার দেখানো পথেই কন্যা অবিশ্বাস্য অগ্রগতিতে এগিয়ে থেকে শুধু দক্ষিণ এশিয়াতেই নয় পুরো বিশ্বের অনুকরণীয় - ঈর্ষণীয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন। 

সময় এসেছে একদিকে জাতির পিতার প্রতি সম্মিলিত সম্মাননা জানাবার অন্যদিকে চলমান উন্নয়ন - অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে যে কোনো ধরনের অপশক্তিকে আপোষহীনভাবে মোকাবিলা করে বঙ্গবন্ধুর কাঙ্ক্ষিত - প্রত্যাশিত সোনার বাংলাকে বিশ্বসম্প্রদায়ের কাছে অপ্রতিদ্বন্দ্বী - অজেয় এক টেকসই  রোল মডেল হিসেবে তুলে ধরা।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু ------।।

লেখাঃ সাবেক সম্পাদক, শিক্ষক পরিষদ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, ঢাকা।

আমারসংবাদ/এআই