Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

পাপুলের বিরুদ্ধে যা বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুন ২০, ২০২০, ০৬:২৭ এএম


পাপুলের বিরুদ্ধে যা বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, এমপি পাপুলের ব্যাপারে আনা অভিযোগ সম্পর্কে কুয়েতের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তথ্য পেলে তার বিরুদ্ধে সরকার আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।

শুক্রবার (১৯ জুন) রাতে এ কথা জানান তিনি।

কুয়েতে মানব পাচার ও অবৈধ মুদ্রা পাচারের অভিযোগে ১৩ দিন ধরে আটক আছেন সাংসদ কাজী শহিদ ইসলাম ওরফে পাপুল। তিনি লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাংসদ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা এখনো কুয়েতের কাছ থেকে সরকারিভাবে কোনো তথ্য পাইনি। পত্রিকায় যেসব তথ্য পেয়েছি, সরকারিভাবে কুয়েতের কাছ থেকে এসব তথ্য পেলে আইন অনুযায়ী অবশ্যই তার বিচার হবে। এখন তথ্য না পেলে তো আমাদের পক্ষে কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না।

এদিকে কুয়েতের গণমাধ্যমগুলো অন্য দিনের মতো শুক্রবারও সাংসদ শহীদকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

আরব টাইমস-এর এক খবরে বলা হয়েছে, ভিসা-বাণিজ্যের নামে নির্বিঘ্নে মানব পাচারের জন্য নগদ ও চেকের মাধ্যমে টাকা দেওয়ার পাশাপাশি কুয়েতের সরকারি–বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ে বিপুল পরিমাণ উপঢৌকন দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন কাজী শহিদ। এসব খরচ বাদ দিয়ে প্রতিবছর তার গড় লাভ ছিল ২০ লাখ দিনার (এক দিনারে ২৭৫ টাকা ৮৮ পয়সা হিসাবে সাড়ে ৫৫ কোটি টাকার বেশি)।

এদিকে আরবি দৈনিক আল কাবাসের এক খবরে বলা হয়েছে, তদন্ত কর্মকর্তারা এখন পর্যন্ত কুয়েতের তিনজন সরকারি কর্মকর্তাকে জেরা করেছেন। তাদের মধ্যে দুজন হচ্ছেন সরকারের জনশক্তি কর্তৃপক্ষের পরিচালক, অন্যজন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কর্মরত একজন কর্নেল।

তাদের তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, কাজী শহিদের দেওয়া ঘুষ তারা পদস্থ একজন কর্মকর্তাকে পৌঁছে দিয়েছিলেন। আর ওই পদস্থ কর্মকর্তা ঘুষ নেওয়ার মাধ্যমে তারা কাজী শহিদকে ভিসা-বাণিজ্যে সহায়তা করতেন। ওই তিনজন প্রভাবশালী এক নারী ব্যবসায়ীও কাজী শহিদকে সহায়তা করতেন, যিনি নিজেও একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক। বাংলাদেশ সাংসদের কাছ থেকে সুবিধাভোগী ওই ব্যবসায়ীকে তদন্ত কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছেন।

আমারসংবাদ/জেডআই