Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

‘ফিঙ্গার প্রিন্ট, স্বাক্ষর ছাড়াই দ্রুত’ পাসপোর্ট পাচ্ছেন খালেদা জিয়া

আমার সংবাদ ডেস্ক

মে ৬, ২০২১, ০৩:৩০ পিএম


‘ফিঙ্গার প্রিন্ট, স্বাক্ষর ছাড়াই দ্রুত’ পাসপোর্ট পাচ্ছেন খালেদা জিয়া

নিয়ম অনুযায়ী পাসপোর্টের জন্য ফিঙ্গার প্রিন্ট ও আবেদনকারীর স্বাক্ষর থাকা বাধ্যতামূলক হলেও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে সেই ‘শর্ত শিথিল’ করা হয়েছে।

জানা গেছে, খালেদা জিয়ার  মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) ফি জমা দেওয়া হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই সেটি দেওয়া হবে। আগামী এক-দুই দিনের মধ্যে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর নতুন পাসপোর্ট পাওয়া যাবে বলে জানা গেছে। 

বিএনপির একটি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার পাসপোর্ট মেয়াদ ২০১৯ সালে শেষ হয়ে যায়। তাই তার নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা হয়। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির চেয়ারপারসনের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার পাসপোর্ট ফ্রি জমা দেওয়া হয়েছে। আর এই বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জানানো হয়েছে। সেখান থেকে বলা হয়েছে অল্প সময়ের মধ্যে তার পাসপোর্ট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। 

সূত্র আরো জানায়, এমআরপি পাসপোর্টের জন্য ফিঙ্গার প্রিন্ট ও আবেদনকারীর স্বাক্ষর থাকা বাধ্যতামূলক হলেও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে সেই শর্ত শিথিল করা হয়েছে। তাকে বিনা ফিঙ্গার প্রিন্ট ও স্বাক্ষরে নতুন পাসপোর্ট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।  

বিএনপির দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স গণমাধ্যমকে বলেন, কবে ম্যাডামের পাসপোর্ট জন্য আবেদন করা হয়েছে বিষয়টি আমার জানা নেই। এই বিষয়গুলো তার পরিবারে ভালো বলতে পারবে।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, আমার জানা মতে গত মঙ্গলবার ম্যাডামের নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। ২০১৭ সালের ১৮ অক্টোবর খালেদা জিয়ার তিন মাসের চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে ছিলেন। এরপর তিনি আর কোনো দেশে যাননি।

এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, খালেদা জিয়ার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তার পক্ষে আবেদন করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী তিনি দ্রুততম সময়ে পাসপোর্ট পাবেন।

গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থেকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজায়’ তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এফএম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে চিকিৎসা শুরু হয়। করোনা আক্রান্তের ১৪ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পর খালেদা জিয়ার করোনা টেস্ট করা হলে ফলাফল আবারও পজিটিভ আসে। এরপর কিছু পরীক্ষার জন্য তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রথম দফায় পরীক্ষা করে বাসায় ফেরার পর দ্বিতীয় দফায় ২৭ এপ্রিল তাকে ফের হাসপাতালে নেওয়া হয়। সোমবার ভোরের দিকে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে (করোনারি কেয়ার ইউনিট) স্থানান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সেখানেই আছেন।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের করোনার কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তার ফুসফুস থেকে তরল জাতীয় পদার্থ (ফ্লুইড) অপসারণ করা হয়েছে। তার ডায়াবেটিস পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে থাকছে না। এর মাত্রা ওঠানামা করছে। এছাড়া অক্সিজেনের মাত্রাও কিছুটা কমেছে।

এমন পরিস্থিতিতে খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেওয়ার জোর আলোচনা শুরু হয়। খালেদা জিয়ার ভাই শামীম এস্কান্দার ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সোমবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে টেলিফোনে খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেওয়ার বিষয়ে আলাপ করেন।

বৃহস্পতিবার (৬ মে) দুপুরে গুলশানের বাসায় খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে দ্রুতই জানানো হবে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে আবেদনের সিদ্ধান্ত আজ নয়, তবে দ্রুতই জানানো হবে। এটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

আমারসংবাদ/জেআই