Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

জিয়া-এরশাদ-খালেদা কেউ শেখ হাসিনাকে ছাড়েনি: আব্দুর রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক

সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১, ১২:২৫ পিএম


জিয়া-এরশাদ-খালেদা কেউ শেখ হাসিনাকে ছাড়েনি: আব্দুর রহমান

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান বলেছেন, জিয়াউর রহমান, এরশাদ ও বেগম খালেদা জিয়ারা যখনই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছে, তখনই তাদের প্রধান টার্গেট ছিলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করা। তাই বঙ্গবন্ধুকন্যা যেখানেই গিয়েছেন, তাকে হত্যা করতে হামলা করা হয়েছে, গুলি করা হয়েছে, গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছে, ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। শেখ হাসিনা বার বার মুত্যুর মুখোমুখি থেকে বেঁচে ফিরেছেন এবং বাবার স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে কাজ করে যাচ্ছেন। 

আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ দলের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক কার্যালয়ে ‘মানবতার আলোকবর্তিকা শেখ হাসিনা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও দুঃস্থদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে রিকশা-ভ্যান বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ উপকমিটি। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার বার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন উল্লেখ্য করে আব্দুর রহমান আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর যেদিন শেখ হাসিনা বাঙলার মাটিতে পা রেখেছিলেন, সেদিন লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষের মাঝে দাড়িয়ে ঘোষণা দিয়েছিলেন, আমার অবস্থা যদি আমার বাবার মতো হয়, তাতেও আমি জীবন দিতে প্রস্তুত আছি। কিন্তু আমার বাবার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলবো। সেদিনের সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে ১৯ বার মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হয়েছে। কিন্তু মৃত্যুর মুখোমখি দাড়িয়ে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার করেছে, শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা প্রদান করছেন এবং বাংলাদেশের সকল অসহায়, গরিব মানুষের জন্য বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, গর্ভবতী ভাতা দিয়ে যাচ্ছেন। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তি প্রদান করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের সকল স্তরের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি দেয়ার জন্য শেখ হাসিনাকে অনেক কাঠখড়ি পোড়াতে হয়েছে। শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে অন্ধকারে ঢেকে থাকা গ্রামের পর গ্রাম আলোয় আলোকৃত হয়েছে। তার নেতৃত্বগুনেন আজ তিনি বিশ্বের সৎ প্রধানমন্ত্রী এবং একজন মানবতার মা। 

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতে না। বাংলাদেশ নামে এ দেশ সৃষ্টি হতে না। আবার তিনি জাতির পিতা হতে পারতেন না, যদি শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব তার পাশে না থাকতেন। যা কিছু দেশের জন্য কল্যাণকর তা করে গেছেন বঙ্গবন্ধু। কিন্তু জিয়াউর রহমান তাগলা টিপে হত্যা করে বাংলাদেশকে পাকিস্তানী ভাব ধারায় ফিরিয়ে নিতে চেষ্টা করেছে। 

১৫ আগস্ট বিশ্বাসঘাতকতার ট্যাজিডি উল্লেখ্য করে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আব্দুর রহমান বলেন, ’৭৫ এ ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর লাশ পড়েছিল ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে। সেদিন বঙ্গবন্ধুর সকল সদস্যদের বুকে তাজা রক্তে পদ্মা, মেঘনা ও যমুনার কলো পানি লালে লাল হয়েছিল। কিন্তু সেদিন আমাদের নেতৃত্বের অভাব ছিল না। হাজার হাজার নেতাকর্মীরা ছিলো। কিন্তু সেদিও নিজেদের মাঝে ঠেলাঠেলি ছিল। কে কাকে ন্যাং মারবে সে প্রতিযোগীতাও ছিল। ’৭৫ পরবর্তী পরিস্থিতটা এমন ছিলো- বাংলার মাটিতে কখনো বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার হবে না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনি মুস্তাক-জিয়ারা স্বাধীন দেশকে পাকিস্থানের ভাব ধারায় নিয়ে গিয়েছিল। বাস্তবার্থে আমরা দেখলাম- মাত্র কয়েক দিনের মাথায় আমাদের স্বাধীনতার যুদ্ধের চেতনার স্লোগান ‘জয় বাংলা’ কে বাংলাদেশ জিন্দাবাজ করা হলো, বাংলাদেশ বেতারকে রেডিও বাংলাদেশ বানানো হলো, বাঙালী জাতিয়তাবাদকে হত্যা করে বাংলাদেশ জাতিয়তাবাদ করা হলো।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দি। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব ওবায়দুল কাদের, বিশেষ অতিথি হিসেবে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজসহ অনেকেই। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান।

আমারসংবাদ/জেআই