Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

‘ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতারা বাসের কাউন্টার থেকে মাসোহারা নেয়’

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডিসেম্বর ১, ২০২১, ০২:০০ পিএম


‘ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতারা বাসের কাউন্টার থেকে মাসোহারা নেয়’

ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতারা বিভিন্ন বাসের কাউন্টার থেকে মাসোহারা নেয় বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা। বুধবার (১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে শুধুমাত্র ঢাকা মহানগরে শিক্ষার্থীদের হাফ পাশের ঘোষণাকে প্রত্যাখান করে সারাদেশে সকল গণপরিবহনে হাফপাশের প্রজ্ঞাপনের দাবিতে ছাত্র অধিকার পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

এসময় চলমান শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সংগঠনটির পক্ষ থেকে ৩ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। 
দাবিগুলো হল- 
> হাফ-পাসের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট প্রজ্ঞাপন দিতে হবে। 

> শুধু মহানগরেই হাফ-পাস নয় সারাদেশে সকল জেলা মহানগরগুলোতে হাফ-পাস কার্যকর করতে হবে। 

> সারাদেশের সড়ক দূর্ঘটনায় যে সকল শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ মারা গেছেন প্রতিটি দুর্ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। আর যাতে এই ধরনের দূর্ঘটনা না হয় সে বিষয়ে কার্যকর ভুমিকা গ্রহণ করতে হবে।

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, 'সারা দেশে শিক্ষার্থীদের জন্য ৭২ ঘন্টার ভিতরে প্রজ্ঞাপন দিয়ে হাফ পাস নিশ্চিত করতে হবে। চলমান আন্দোলনে নাইম, মঈনুদ্দিনদের তাজা লাশের বিনিময়ে ঢাকা শহরের শিক্ষার্থীরা হাফ পাস পেলো কিন্তু বাইরের শিক্ষার্থীদের কি হাফ পাস লাগে না? ৩০% সিট খালি রেখেই বাসের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়। সুতরাং ঢাকাসহ সারা দেশে শিক্ষার্থীদের হাফ-পাসের বিষয়টি ধরেই ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা ইনিয়ে বিনিময়ে যা বলার চেষ্টা করছেন যে, তারা গরীব খরচ পোষাতে পারছেন না উল্টো ভর্তুকি চাচ্ছেন এগুলো তাদের তাল বাহানা। 

তিনি বলেন, মন্ত্রীরা গর্ব করে বলছেন, তারাও হাফ ভাড়া দিয়েছেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও ৬৯ এ হাফ ভাড়ার জন্য আন্দোলন করেছেন। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ১১ দফার প্রথম দফা ছিলো হাফ ভাড়া। অথচ তারা হাফ-পাস চালু করতে পারছেন না। 

সংসদে দাড়িয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেছেন এই আন্দোলনে ছাত্রলীগ হামলা করেনি অথচ আমরা দেখলাম ছাত্রলীগের লোগো পড়া টি-শার্ট গায়ে দিয়ে জয় বাংলা বলে হামলা করা হয়েছে ৷ 

তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতারা বিভিন্ন কাউন্টার থেকে মাসোহারা নেয়। তাই তারা ছাত্রদের এই আন্দোলনে হামলা করবেই। কিন্তু সব ছাত্রলীগের পকেটেতো এই টাকা যায় না, তাই ছাত্রলীগের ভাইদেরও এই আন্দোলনে নিজের জায়গা থেকে শক্ত অবস্থান নেওয়ার আহবান জানাচ্ছি।’ 

সংসদে দেওয়া মন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘মন্ত্রী মহোদয় সংসদে দাড়িয়ে বললেন, এডজাস্ট করতে হয় এটা বলে কি বোঝালেন মন্ত্রী মহোদয়? তার বন্ধুরা যারা পরিবহন নেতা, শ্রমিক নেতা তাদের সাথে ভাগবাটোয়ারা এডজাস্ট করতে হয়। মন্ত্রী মহোদয়ের উদ্দেশ্যে বলছি এডজাস্ট করতে হলে ছাত্রদের সাথে করুন, জনগনের সাথে করুন। প্রজ্ঞাপন দিয়ে সারাদেশে হাফ পাস নিশ্চিত করুন।  নইলে এই এডজাস্টমেন্ট বেশিদিন আর টিকবে না।’

বিক্ষোভ সমাবেশে সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীবের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি সোহেল মৃধা অর্থ সম্পাদক প্রিয়ম আহমেদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রশীদ ও রুবেল মাহমুদ। 
আমারসংবাদ/আরএইচ