Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪,

‘বিএনপি-জামায়াত গণহত্যা চালাচ্ছে’

ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৫, ১২:৫৫ পিএম


‘বিএনপি-জামায়াত গণহত্যা চালাচ্ছে’

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন বিএনপি-জামায়াত গণহত্যা চালাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারিবিষয়ক চতুর্থ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

২০ দলীয় জোটের লাগাতার অবরোধ ও হরতালে সহিংসতার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা মানুষ পুড়িয়ে মারছে আল্লাহ তাদের সুমতি দিক। আসলে এসবতো খুন করা। এটাতো গণহত্যা। যারা এটা করছে, তারা খুনের দায়ে অভিযুক্ত। কোনো মানুষের পক্ষে এটা মেনে নেওয়া সম্ভব না।

কেউ রাজনৈতিক ভুল করলে তার খেসারত জনগণ দেবে কেন- প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, মানুষের মাঝে শান্তি ও স্বস্তি ফিরে এসেছে, তখন হঠাৎ করে এ তাণ্ডব কেন? নিশ্চই জনগণের স্বার্থে নয়। এটা ব্যক্তিস্বার্থে।

পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “একটা ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, যেটা অত্যন্ত অমানবিক, যেটা চিন্তাই করা যায় না। এই ভাবে মানুষ মানুষকে পুড়িয়ে মারবে?

তিনি বলেন “বাংলাদেশ এমন একটা দেশ, রাজনৈতিক আন্দোলন-সংগ্রাম ছিল। মানুষের জন্য রাজনীতি। মানুষের একটু সুন্দর জীবন দেওয়া, মানুষের ভালো করা, মানুষকে উন্নত জীবন দান করা, মানুষের সমস্যাগুলো দূর করা- এই তো রাজনীতির উদ্দেশ্য। সেই উদ্দেশ্য কীভাবে হাসিল হবে যদি দেখি সেই সাধারণ মানুষকেই হত্যা করা হচ্ছে?”

হরতাল- অবরোধের ডাকে মানুষ সাড়া না দেওয়ায় আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য মানুষকে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “যেহেতু তাদের ডাকে জনগণ সাড়া দিচ্ছে না, তাদের হরতালও কার্যকর হচ্ছে না, অবরোধও কার্যকর হচ্ছে না; সেজন্য ভীতি সৃষ্টি করতে  মানুষের গায়ে পেট্রোল বোমা মারা হচ্ছে। মানুষকে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে।

“বাসে সাধারণ যাত্রী চলাচল করে, সেখানে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। সাধারণ মানুষ যাচ্ছে- সেখানে পেট্রোল বোমা মারছে বা বোমা মারছে। এটা কোন ধরনের জুলুম?”

ক্ষোভের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মানুষের গা লক্ষ্য করে বোমা মারা হচ্ছে, পেট্রোল বোমা মারা হচ্ছে। মানুষকে পোড়ানো, মানুষকে মারা- এটাই হচ্ছে যেন আন্দোলন।নিরীহ, সাধারণ, খেটে খাওয়া মানুষের গায়ে আগুন দেওয়া হচ্ছে। ট্রেন লাইনের ফিস প্লেট খুলে, ট্রেন ফেলে, অ্যাকসিডেন্ট ঘটিয়ে মানুষ মারা। সিএনজি, রিকশা কোনো কিছু বাদ যাচ্ছে না। এমনকি লঞ্চেও আগুন দিচ্ছে।”

৫ জানুয়ারির দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের অংশ না নেওয়া তাদের রাজনৈতিক ভুল বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।

হরতালের জন্য বারবার এসএসসি পরীক্ষা পেছানোর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আন্দোলনের ফসল ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা নষ্ট হচ্ছে। আমাদের ভবিষ্যৎ বংশধরদের জীবনটাকে ধ্বংস করে দিয়ে এটা কোন ধরনের আন্দোলন?”

অগ্নিদগ্ধদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।

আন্তরিকতার সঙ্গে তাদের চিকিৎসা সেবার জন্য চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের সম্পদের সীমাবদ্ধতা আছে। এই সীমিত সম্পদ নিয়েও আপনারা দিন-রাত খেটে অগ্নিদগ্ধ রোগীদের যে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন সেজন্য আমি জাতির পক্ষ থেকে আপনাদের কৃতজ্ঞতা জানাই।”