Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

জিহাদকে উদ্ধারের পর ব্যাপক ভাঙচুর

ডিসেম্বর ২৭, ২০১৪, ১১:৩৪ এএম


জিহাদকে উদ্ধারের পর ব্যাপক ভাঙচুর

শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনি ও এর আশপাশ এলাকায় ব্যাপক ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ জনতা। ছবি- লুৎফর রহমান খাঁনজিহাদকে উদ্ধারের পর বিক্ষুব্ধ জনতা শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনি ও এর আশপাশ এলাকায় ব্যাপক ভাঙচুর শুরু করে। তারা উদ্ধারকর্মী দলের প্রধান ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অপসারণ দাবি করে। ঘটনাস্থলের কাছেই কাঁচাবাজারের প্রায় সব দোকান ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। তারা ঘটনাস্থলের পাশেই টিনশেডের একটি ঘর ধুলায় মিশিয়ে দেয়ে এবং রেলওয়ে সুপার মার্কেটে হামলা চালায়।

এর আগে, শনিবার বেলা ২টা ৪০ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক উদ্ধার অভিযান স্থগিত করার ঘোষণা দেন। এর পরই আইকন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা নিজেদের তৈরি বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে কয়েক মিনিটের মধ্যে শিশুটিকে উদ্ধার করে।

উল্লেখ্য, রাজধানীর শাহজাহানপুরে রেলওয়ে কলোনিতে শুক্রবার দুপুরে প্রায় ৬শ ফুট গভীরে ১৭ ইঞ্চি ব্যাসের পানির পাইপে জিহাদ নামে সাড়ে তিন বছরের শিশুটি পড়ে যায়। তবে সে পাইপের ৬৭২ ফুট নিচে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন বোরহোল ক্যামেরা নামিয়ে ঘণ্টাখানেক তল্লাশি চালানোর পর শুক্রবার রাত পৌনে ৩টার দিকে সেটিকে গুজব বলে জানান দায়িত্বরতরা।

উদ্ধারের পর শিশু জিহাদঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসা স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল তখন বলেন, ‘উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ক্যামেরা নিচে নামানো হয়েছিল, সেখানে মানুষের কোনো অস্তিত্ব দেখা যায়নি। কিছু কীটপতঙ্গের ছবি দেখা গেছে। ক্যামরায় দেখে মনে হচ্ছে সেখানে কেউ নেই। তারপরও পাইপের নিচে যে আবর্জনা আছে সেগুলো তুলে আমরা পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে দেখবো।’

এর আগে স্থানীয়রা জানান, শিশুটি খেলতে খেলতে হঠাৎ করে উন্মুক্ত পাইপটির ভেতরে পড়ে যায়। পরে বাচ্চাটিকে জীবিত উদ্ধারের চেষ্টা চলায় ফায়ার সার্ভিস। তার শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়। রশি নামিয়ে উপর থেকে চিৎকার করে তা ধরতেও বলা হয়।

তখন শিশুটি বেঁচে আছে বলে দাবি করে ফায়ার সার্ভিস। কারণ উপর থেকে পাঠানো জুস শিশুটি খেয়েছে বলেও দাবি করা হয়। স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে, পানির পাম্পটি অনেকদিন পরিত্যক্ত ছিল।