পপি নেই আটকে আছে ছবি

চিত্রনায়িকা পপির কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না কয়েকমাস ধরে। অন্তরালে যাওয়ার আগে নায়িকা কিছু চলচ্চিত্রের কাজ শুরু করেছিলেন। সেগুলোর কাজ এখন আটকে আছে। পপিকে নিয়ে রাজু আলীম শুরু করেছিলেন ‘প্রজাপতি’ শিরোনামের একটি সিনেমার কাজ। আমিরুল ইসলাম শোভা ‘সেভ দ্য লাইফ’ এবং আরিফ নির্মাণ করেছিলেন ‘শরৎচন্দ্র কাঠগড়ায়’।

এছাড়াও আরও কয়েকটি সিনেমার কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু কাউকে কিছু না বলে হঠাৎ উধাও হয়ে গেলেন জনপ্রিয় এই তারকা। কারো সঙ্গেই তার কোনো ধরনের যোগাযোগ নেই। এমন কী পপি নিজে থেকেও কারো সঙ্গে যোগাযোগও করছেন না। আবার এমনও শোনা যাচ্ছে যে, পপি বিয়ে করেছেন, তিনি মা হতে চলেছেন। এরও কোনো সত্যতাও মিলছে না। নানা মাধ্যমে তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দিচ্ছেন না।

 পপির ফেসবুক একাউন্টটি অ্যাকটিভ থাকলেও সেখানে কোনো আপডেটও নেই। নায়িকার ব্যবহূত মোবাইল নাম্বার, হোয়াটসআপ কোনোকিছুই আর অ্যাকটিভ নেই। তবে তার সহশিল্পী অনেকেই বলছেন, পপি  যেখানেই থাকুক, ভালো থাকুক। পপি শিল্পী হলেও দিনে শেষে তিনিও তো একজন মানুষ, তারও ব্যক্তিজীবন আছে।

সে যদি সবার সঙ্গে যোগাযোগবিহীন ভালো থাকতে পারে, তবে সেভাবেই না হয় থাকুক। যদি কখনো মনে হয় সে আবার আড়াল ভেঙে সবার মাঝে আসবে, তখন না হয় তার এই ফিরে আসাকেই সবাই স্বাগত জানাবে। কিন্তু পপি না থাকার কারণে নানাভাবে আটকে থাকা চলচ্চিত্রগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। সাদেক সিদ্দিকীর পরিচালনায় পপি সর্বশেষ যে সিনেমা পূর্ণাঙ্গভাবে শেষ করেছিলেন, সেটি হলো ‘সাহসী যোদ্ধা’। পরবর্তীতে নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘ডাইরেক্ট অ্যাটাক’।

পরিচালক সাদেক সিদ্দিকী বলেন, ‘এই সিনেমাটিতে পপিকে নিয়ে কাজ করাই ছিলো আমার চ্যালেঞ্জ। অনেক কষ্টে সিনেমাটি শেষ করেছি। পপি ডাবিংও করেছে। আশা করছি আগামী নভেম্বরে সিনেমাটি মুক্তি দেবো। মুক্তির সময়টাতে পপি থাকলে খুব ভালো হতো। কারণ একটি সিনেমার প্রচারণার ক্ষেত্রে নায়িকার বিরাট ভূমিকা রয়েছে বলে আমি মনে করি। তবে দোয়া করি পপি যেখানেই থাকুক যেভাবেই থাকুক ভালো থাকুক।’