Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

এফডিসিতে বহিরাগত আতঙ্ক

বিনোদন প্রতিবেদক

জানুয়ারি ১৬, ২০২২, ০৮:৫০ পিএম


এফডিসিতে বহিরাগত আতঙ্ক

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) রাষ্ট্রীয়ভাবে একটি কেপিআইভুক্ত এলাকা। এখানে সংশ্লিষ্ট মানুষ ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারে না। আগামী ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এ উপলক্ষে এফডিসিতে এখন তারকাদের পদচারে মুখর। কিন্তু সম্প্রতি এফডিসিতে বহিরাগত মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। বিকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত শত শত বহিরাগত অনায়াসে প্রবেশ করছে সেখানে।

এদিক-সেদিক ঘুরে বেড়াচ্ছে। যা নিয়ে অনিরাপত্তায় ভুগছেন তারকারা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখন প্রতিদিনই একঝাঁক তারকার আনাগোনা থাকছে এফডিসিতে। এর মধ্যে অজ্ঞাত ও বহিরাগতদের ভিড় দেখে আতঙ্ক অনুভব করছেন তারকারা। তাদের কেউ কেউ কোনো দুর্ঘটনা বা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার আশঙ্কাও করছেন। এর আগে নির্বাচনে চিত্রনায়ক শাকিব খানের ওপর হামলা করেছিল বহিরাগতরা। 

তারকাদের কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন : এরপরও কেন এফডিসিতে নির্বাচন এলেই বহিরাগতদের আনাগোনা বেড়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে আসন্ন নির্বাচনের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী জায়েদ খান বলেন, ‘শিল্পীদের নির্বাচনে শিল্পীরা আসবেন। এছাড়া এফডিসি-সংশ্লিষ্টরা কাজের জন্য এখানে আসবেন। কিন্তু আসছে শত শত বহিরাগত। এতে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। 

গত শনিবার আমাদের দুই সিনিয়র শিল্পী সূচরিতা ও অঞ্জনা আপা এফডিসিতে আসতে গিয়ে বহিরাগতদের ভিড় শুনে রাস্তা থেকেই গাড়ি ঘুরিয়ে চলে গেছেন। আর আমরা শিল্পীরা তো ঠিকমতো এফডিসিতে হাঁটতেই পারছি না।’ 

এ বিষয়ে শিল্পী সমিতির নির্বাচন কমিশনের কাছে মৌখিক অভিযোগ দিয়েছেন বলেও জানান জায়েদ খান। 

আসন্ন নির্বাচনের প্রধান কমিশনার পীরজাদা শহিদুল হারুন বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা এফডিসির এমডি বরাবর চিঠি দিয়েছি। যারা নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট নন, তাদের প্রবেশ ও যাতায়াতে যেন নিয়ন্ত্রণ আনা হয়। কারণ, ওমিক্রন সংক্রমণ বেড়েছে। আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’ 

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে চিত্রনায়ক শাকিব খানের ওপর চড়াও হয়েছিল অজ্ঞাত কিছু যুবক। দেশের শীর্ষ নায়ককে লাঞ্ছনার সেই ঘটনা বহিরাগতদের কাজ বলে দাবি করেছিলেন কেউ কেউ। ওই নির্বাচনে ওমর সানীর প্যানেলকে সমর্থন দিয়েছিলেন শাকিব। কিন্তু জয়লাভ করে মিশা-জায়েদের প্যানেল। তাই শাকিবের ওপর হামলার ঘটনাকে অনেকে ভিন্ন চোখেও দেখেছেন।