Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪,

গানের দুই পাখির গল্প

বিনোদন প্রতিবেদক 

জানুয়ারি ১৭, ২০২২, ০৮:৩০ পিএম


গানের দুই পাখির গল্প

২০১৭ সালের ‘চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ’ প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনাল হয়েছিল থাইল্যান্ডে। এতে যুগ্মভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন ঐশী। এর কয়েক বছর পর  যুগ্মভাবে চ্যাম্পিয়ন হন সুমনা। সেদিন ঐশী গেয়েছিলেন রবীন্দ্রসংগীত ‘কতোবারও ভেবেছিনু’ এবং সুমনা গেয়েছিলেন মিতালী মুখার্জির বিখ্যাত গান ‘হারানো দিনের মতো’। 

এরপর থেকে ঐশী ও সুমনা গানের ভুবনে পথ চলেছেন নিজেদের মতো করে। গান নিয়ে তাদের পথচলাটা বলা যায় একই রকমের। দুজনই পড়াশোনার প্রতি যেমন মনোযোগ দিচ্ছেন, তেমনি গান শেখার ব্যাপারেও তাদের রয়েছে প্রবল অধ্যবসায়। রাকিবা ইসলাম ঐশীর গানের ভুবনে পথচলার বহুদিন পর সুযোগ এলো ওস্তাদ নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরীর কাছে তালিম নেয়ার। তাই এ সময়টাকে তিনি ভীষণভাবে কাজে লাগাতে চাচ্ছেন। 

অন্যদিকে সুমনা ছোটবেলা থেকে যার কাছে শাস্ত্রীয় সংগীতসহ আরো অন্যান্য বিষয়ে গানে তালিম নিচ্ছিলেন, এখনো সেই নিয়াজ মামুনের কাছেই তালিম নেন।  ঐশী বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগে শাস্ত্রীয় সংগীত বিষয়ে মাস্টার্স করছেন। 

আর কিছুদিন আগে সুমনা এইচএসসিতে উত্তীর্ণ হয়েছেন। গেল বছরের শেষদিকে ঐশীর কণ্ঠে প্রকাশিত হয় দেশের গান ‘বৃথাই রে মা’। গানটির জন্য বেশ সাড়া পাচ্ছেন ঐশী। এদিকে কুমার বিশ্বজিতের ইউটিউব চ্যানেল ‘গানছবি এন্টারটেইনম্যান্ট’-এ প্রকাশিত হয়েছে সুমনার গান ‘তোমায় ছাড়া’। 

এদিকে ঐশী ও সুমনা একসঙ্গে সর্বশেষ বিটিভির ৫৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গান গেয়েছেন। ঐশীর এখনো সিনেমার গানে অভিষেক হয়নি। কিন্তু সুমনা ‘রাসেলের জন্য অপেক্ষা’ সিনেমায় প্লে-ব্যাক করেছেন আহমেদ ইউসুফ সাবেরের কথায় ও ইমন সাহার সুর-সংগীতে। 

নতুন বছরের শুরু এবং গানের ভুবনে পাঁচ বছরের পথচলা প্রসঙ্গে ঐশী বলেন, ‘সত্যি বলতে কী, গান নিয়ে একেকজনের প্ল্যান একেরকম থাকে। আমার গান শুনে যখন কেউ অনুপ্রাণিত করেন, তখন সত্যিই ভীষণ উৎসাহ পাই। এমনও হয় যে, শিল্পী অনেক সময় নিজের মতো করে গান শোনাতে পারেন না। 

তারপরও চেষ্টা করি নিজেকে যতটা ভালোভাবে উপস্থাপন করা যায়। তবে বর্তমানের ভীষণ ভালোলাগা এই যে, আমি প্রতিনিয়ত গানের নতুন কিছু শিখছি। আমার অবস্থান নিয়ে আমি সন্তুষ্ট, আলহামদুলিল্লাহ্। আজীবন ভালো গানের সাথে থাকব।’ 

সুমনা বলেন, ‘কিংবদন্তি শিল্পীদের সাথে গান করতে পারছি, এটা অনেক বড় প্রাপ্তি। সবার আশীর্বাদ নিয়ে এগিয়ে চলেছি এবং মাত্র কয়েক বছরে আমার যে অবস্থান— তাতে ভীষণ সন্তুষ্ট আমি।’