Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

সীতাকুণ্ডে শিবিরের আস্তানায় পেট্রোল বোমা, অস্ত্র-গুলি

মার্চ ৮, ২০১৫, ০৫:২৩ এএম


সীতাকুণ্ডে শিবিরের আস্তানায় পেট্রোল বোমা, অস্ত্র-গুলি


চট্টগ্রামের বাঁশখালীর পর এবার সীতাকুণ্ডের একটি দুর্গম পাহাড় থেকে অস্ত্র, গুলি ও বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।

বাঁশখালীতে জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কথা বলা হলেও সীতাকুণ্ডের পাহাড়ে ইসলামী ছাত্র শিবিরের আস্তানা থেকে এসব পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসবি) নাইমুল হাসান জানান, সীতাকুণ্ডের নুনাছড়া পাহাড়ে শিবিরের আস্তানা থেকে ৭০টি পেট্রোল বোমা, ৫০টি হাতবোমা, ১০ বিভিন্ন ধরনের ধারাল অস্ত্র, দুটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২০ রাউন্ড গুলি পাওয়া গেছে।

তিনি বলেন, শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন এলাকা থেকে শিবিরের তিন কর্মীকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাত সাড়ে ৩টার দিকে পাহাড়ে অভিযান চালানো হয়। সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত অভিযানে এসব অস্ত্র, বোমা ও গুলি উদ্ধার করা হয়। বিএনপি-জামায়াত জোটের অবরোধের মধ্যে এর আগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরের একটি বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক, হাতবোমা ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করে র‌্যাব। ওই বাসা থেকেও ছাত্র শিবিরের গঠনতন্ত্র ও ইসলামী ছাত্রী সংস্থার কাগজপত্রসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ২১ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় দুর্গম পাহাড় থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও জঙ্গি প্রশিক্ষণের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। যেখানে নিয়মিত জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেওয়া হত বলে র‌্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়। গত ৫ জানুয়ারি থেকে সারা দেশে লাগাতার অবরোধের মধ্যেই ফাঁকে ফাঁকে হরতাল করে আসছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। অবরোধে প্রতিদিনই যাত্রীবাহী বাসসহ বিভিন্ন যানবাহনে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ, অগ্নিসংযোগ ও হাতবোমা বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনা ঘটছে। নাশকতার এসব ঘটনায় আগুনে পুড়েই ৬০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে বন্দুকযুদ্ধে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের কয়েকজন নিহত হয়েছেন। চট্টগ্রামেই হাতবোমা ছুড়তে গিয়ে নিজের হাতের মধ্যে বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন এক শিবির কর্মী। এর আগে ২০১৩ সালে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর যুদ্ধাপরাধের সাজার রায় ঘোষণা এবং পরের বছরের ৫ জানুয়ারির দশম সংসদ নির্বাচনের আগে সীতাকুণ্ডে ব্যাপক জ্বালাও-পোড়াওয়ের ঘটনা ঘটে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহনের জন্য সে সময় সীতাকুণ্ড উপজেলা হয়ে ওঠে আতঙ্কের জনপদ।