মার্চ ৮, ২০১৫, ০৫:৫৬ এএম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে গেছে। এ ঘটনায় এক যুবক মারা গেছেন।তার পরিচয় জানা যায়নি। নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৪ জন।
রোববার সকাল ৭টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ লঞ্চঘাট এলাকায় এ ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে।
সকাল ৯টা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার কাজ শুরু করে। প্রায় দেড়ঘণ্টা চেষ্টার পর ডুবে যাওয়া ট্রলারের ভিতর থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা থেকে আসা ডুবুরি মো. মাসুদ রানা।
যাত্রীদের পাশাপাশি অতিরিক্ত মালামাল বহনের জন্য এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে যাত্রীরা দাবি করেছেন।
ট্রলারের যাত্রীরা জানান, ভৈরব থেকে ছেড়ে আসা তোতা মিয়ার ট্রলারটি আশুগঞ্জ লঞ্চঘাটে যাত্রাবিরতি শেষে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামের দিকে ছেড়ে যায়। লঞ্চঘাট থেকে কিছু দূরে যাওয়ার পর ট্রলারটি একপাশে বেঁকে গিয়ে ডুবে যায়। এতে সকলেই তাড়াহুড়া করে বের হয়ে আসে।
লঞ্চডুবির ঘটনায় ৫ জন নিখোঁজ হয়। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, আশুগঞ্জ ও ঢাকা থেকে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী তিনটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে সকাল ৯টা থেকে উদ্ধার কাজ শুরু করে। প্রায় দেড়ঘণ্টা চেষ্টার পর একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে ডুবুরি দল।
উদ্ধারকারী ডুবুরি মো. মাসুদ রানা জানান, সকাল থেকে কাজ শুরু করি। প্রায় দেড়ঘণ্টা পর একজনের লাশ উদ্ধার করতে পেরেছি। তবে ট্রলারটির ভিতরে মালামাল বেশি থাকায় যেতে পারি নাই। তবে আমরা চেষ্টা করছি।
জেলা ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. মজিবুর রহমান জানান, আমরা একজনের লাশ উদ্ধার করতে পেরেছি। উদ্ধার কাজ চলছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সন্ধীপ কুমার সিংহ জানান, আমাদের এখানে উদ্ধারকারী তিনটি দল উদ্ধার কাজ করছে। এখানে ঢাকা থেকে ৫ সদস্যের একটি ডুবুরি দলও উদ্ধার কাজ চালাছে।