জানুয়ারি ১৩, ২০১৭, ০৬:০৫ পিএম
ভারতের ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা থেকে উদয়পুর পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণের কাজ শেষ করেছে দেশটির উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত রেল কর্তৃপক্ষ (এনএফআর)। চলতি মাসেই এই রুটে ট্রেন চলাচল শুরু করবে। চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ করতে ভারত এই রেলপথটিই সাবরুম পর্যন্ত সম্প্রসারণ করবে।
এনএফআরের একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার ভারতের দ্য ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ আরও সহজতর করতে ভারত সরকার আগরতলা-উদয়পুর রেলপথটিই ত্রিপুরার সীমান্ত শহর সাবরুম পর্যন্ত সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে। সাবরুম থেকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের দূরত্ব মাত্র ৭৫ কিলোমিটার।
এনএফআরের প্রধান প্রকৌশলী হারপাল সিং বলেন, ‘এই রেলপথ চলতি বছরের শেষের দিকে বা আগামী বছরের শুরুর দিকে দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার সদর দপ্তর বেলোনিয়া পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হবে। ২০১৯ সালের মার্চের মধ্যে দক্ষিণ ত্রিপুরার শেষ সীমান্ত শহর সাবরুম পর্যন্ত এই রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে। বেলোনিয়া ও সাবরুম লাইনের জন্য দুটি বড় টানেল নির্মাণ করা হবে।’
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বলেন, ‘সাবরুম পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারিত হলে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে খুব সহজেই যোগাযোগ করা যাবে। এ ছাড়া সাবরুম পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারিত হলে ত্রিপুরা ও ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় এলাকার মানুষেরা খুব সহজেই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, আগরতলা-উদয়পুর নতুন এই রেল রুটে চলতি মাসের ২০ তারিখ থেকেই এনএফআর দুই জোড়া ট্রেন চালু করতে পারবে। আর এর মাধ্যমেই ত্রিপুরার দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হবে।
এনএফআরের প্রধান প্রকৌশলী হারপাল সিং বলেন, গত বছরের শুরুর দিকে আসামের দক্ষিণাঞ্চল বদরপুর থেকে আগরতলা পর্যন্ত ২২৭ কিলোমিটার মিটারগেজ রেললাইন ব্রডগেজে রূপান্তর করা হয়। এতে খরচ হয়েছে ২ হাজার ১৬ কোটি রুপি। এখন আগরতলা থেকে সাবরুম পর্যন্ত ব্রডগেজ লাইনের কাজ ২০১৯ সালের মার্চে শেষ হবে। এতে খরচ পড়ছে ৩ হাজার ৩৫১ কোটি রুপি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এনএফআর ইতিমধ্যে আগরতলা থেকে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে জংশন আখাউড়া পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার রেললাইনের কাজ শুরু করেছে। ভারতের রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু ও বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক গত বছরের ৩১ জুলাই আগরতলা (ভারত)-আখাউড়া (বাংলাদেশ) রেলওয়ে প্রকল্পের কাজ শুরুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন।