সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
আগস্ট ৪, ২০১৭, ০৬:৩৬ এএম
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় এক নারীকে (২০) জোর করে তাঁর দেবরের সঙ্গে হিল্লা বিয়ে দেয়া হয়েছে। গত বুধবার রাতে উপজেলার দুর্গানগর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। হিল্লা বিয়ের ফতোয়া দিয়ে এই বিয়ে পড়ান উপজেলার ভৈরব গ্রামের মাদ্রাসাশিক্ষক হাজি শাহ আলম। এই বিয়ের মেয়াদ তিন মাস ১৩ দিন হবে বলে ফতোয়া দেন তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রায় আট মাস আগে পারিবারিক কলহের জের ধরে এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে তালাক দেন। তাঁদের একটি শিশু ছেলে আছে। এই ছেলের জন্য তার বাবা-মা আবার বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। গত সপ্তাহে তারা আবার নতুন করে বিয়ে করেন। এই বিয়ে মেনে নিতে পারেননি গ্রামের সমাজপতিরা। গ্রামের মাদ্রাসাশিক্ষক হাজি শাহ আলম ফতোয়া দেন ওই নারীকে হিল্লা বিয়ে দিয়ে পরে আবার তাঁর আগের স্বামীর সঙ্গে বিয়ে দেয়া হবে। তিনি গ্রামের বিরু প্রামাণিক, মজিবর প্রামাণিক, নূর ইসলাম, শহিদুল ইসলাম ও আবদুর রহমানের সহযোগিতায় গত বুধবার রাতে স্বামীর ছোট ভাইয়ের সঙ্গে ওই নারীর হিল্লা বিয়ে দেন।
বিষয়টি নিয়ে গৃহবধূর সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, গ্রামের সামাজিক চাপের মুখে তিনি হিল্লা বিয়ে বসতে বাধ্য হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় দুর্গানগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘দেশের আইন অমান্য করে কতিপয় ফতোয়াবাজ এই হিল্লা বিয়ে দিয়েছেন। এটা গ্রহণযোগ্য নয়।’ ফতোয়াবাজদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এ বিষয়ে মাদ্রাসাশিক্ষক হাজি শাহ আলম বলেন, ‘ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী ওই নারীকে হিল্লা বিয়ে দেয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট মেয়াদ পরে তাঁর আগের স্বামীর সঙ্গে বিয়ে পড়ানো হবে।’
উল্লাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সন্দ্বীপ কুমার সরকার জানান, বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে হিল্লা বিয়ের কোনো অস্তিত্ব নেই।