Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

মাগুরায় চিনি মিশ্রিত খেজুর পাটালিতে সয়লাব বাড়ছে

ডিসেম্বর ২৯, ২০১৪, ০৯:৪৭ এএম


মাগুরায় চিনি মিশ্রিত খেজুর পাটালিতে সয়লাব বাড়ছে

  মাগুরা জেলার হাট বাজার চিনি মিশ্রিত খেজুর পাটালি দিদারছে বিক্রি হচ্ছে। ভেজাল পাটালির কারণে খেজুর পাটালির স্বাদ ভুলতে বসেছে এলাকার লোকজন। বাজারে এক কেজি চিনির দাম ৪৫ টাকা সেখানে খেজুর পাটালির সাথে ভেজাল  দিয়ে বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি। বিরাট এ লাভের কারণে খেজুর পাটালির উৎপাদনকারীরা চিনি মিশ্রিত করে অধিক মুনাফা লুটছে। প্রতারিত হচ্ছে ক্রেতারা। খেজুর গুড় উৎপাদনকারীদেও বলা হয় গাঁছি। শীতে নবান্যের আমেজ এখন গ্রাম থেকে শহর গঞ্জে বিরাজ করছে। চলছে খেজুর গুড় পাটালির পিঠা পুলির  উৎসব। আর কেউ না জেনে আবার কেউ বাধ্য হয়ে ব্যবহার করে যাচ্ছেন চিনি মিশ্রিত ভেজাল খেজুর গুড় পাটালি। এ ভেজালকারীদের  বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা এখনও পর্যন্ত পরিলক্ষিত হচ্ছেনা। নেয়া হয়নি কোন আইনগত ব্যবস্থা। বাঁধাহীন ভাবেই দেদারছে বিক্রি করে যাচ্ছে এক শ্রেনীর উৎপাদনকারী।

বাজারে খবর নিয়ে জানা যায়,  এক কেজি চিনি ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পক্ষান্তরে এক কেজি খেজুর পাটালি ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এখানে এক কেজিতে ৪৫ টাকা লাভ করছে উৎপাদনকারীরা। আর নলেন গুড়ের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ক্রেতারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনৈক উৎপাদনকারী(গাঁছি) বলেন, ভোরে গাছ থেকে রস নামিয়ে  কড়াইয়ে জ্বাল দিলে যখন লাল বর্ণ ধারণ করে তখন চিনি ঢেলে দেয়া হয়। এর পর সামান্য জ্বাল দিলে চিনি রসের সাথে মিশে যায়। এর পর হাইড্রোস, ফিটকারি দিয়ে তৈরী করা হয় খেজুর গুড়ের পাটালি। এ গুড়ের রং উজ্জল ও দেখতে সুন্দর হয়। ফলে বাজারে এর চাহিদা বেশী। সে আরো জানায়,  একা নয় মাগুরা জেলার ৪ উপজেলার অধিকাংশ গাঁছি এ কাজ করছে।

এ কারনে এলাকার হাট-বাজারে আনা খেজুর পাটালির ৯৫ ভাগই চিনি মিশ্রিত। আরেক গাঁছি বলেন, স্বাভাবিক ভাবে পাটালি তৈরী করলে চাহিদা কম মূল্যও কম হওয়ায় চাহিদার স্বার্থে ভেজাল দিতে হচ্ছে।

এক পাটালির আড়তদার জানান,কেবল মাগুরা নয়, ফরিদপুর , যশোরসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আসা অধিকাংশ পাটালি চিনি মিশ্রিত জেনেও ব্যবসার স্বার্থে কিছু করার থাকেনা।কারণ চিনি মিশ্রিত পাটালির চাহিদা বেশী।

মাগুরার সিভিল সার্জন সুনিল কুমার রায় জানান, খেজুরের রসে চিনি মিশিয়ে ভেজাল সারাদেশে হচ্ছে। ভেজাল পণ্যে শরিরের ক্ষতি হয় এটা স্বাভাবিক।

বিশেষজ্ঞ এক চিকিৎসক জানান, খেজুর রসের সাথে চিনি ও ফিটকিরি মিশিয়ে জাল দিলে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এ গুড়ের তৈরী খাবার খেলে পেটেরপীড়া এমনকি লিভার ক্যান্সারের মতো কঠিন রোগের ঝুকি থাকে।

এলাকাবাসী এ ব্যাপারে প্রশাসনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করার দাবি জানিয়েছেন।