তাপস দে আকাশ, পটিয়া (চট্টগ্রাম)
মে ২১, ২০১৮, ১১:৫১ এএম
পটিয়া পৌর সদরে অল্প বৃষ্টিতে হাঁটু পানি জমে থাকায় এলাকায় জন চলাচল ব্যহত হচ্ছে। এছাড়া ড্রেন নির্মাণ কাজের ধীরগতির ফলে সড়কের বিভিন্ন অংশ বন্ধ রেখেই কাজ করছেন শ্রমিকরা । ফলে সড়কের খোলা অংশে বাড়ছে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয় এবং কাঁদা পানিতে চলাচল করতে হচ্ছে জনসাধারণকে। ফলে রমজান মাসে পৌর এলাকা মার্কেটগুলোতে ঈদ উপলক্ষে দোকানে নানান রকমের পোষাক আমদামি করলেও বৃষ্টির পানিতে মার্কেট এলাকার সড়কগুলোতে হাঁটু পানির কারণে তেমন বেচা বিক্রি হচ্ছে বলে ব্যবসীয়ার জানান।
জানা গেছে, দক্ষিণ চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী প্রেণকেন্দ্র ও গুরুত্বপূর্ণ জনপথ হচ্ছে পটিয়া পৌরসভা এলাকা। চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে পটিয়া পৌর সদরের মধ্যে রয়েছে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও নামি দামী মার্কেট। এখানে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বোয়ালখালী, সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, আনোয়ারাসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে জন সাধারন ব্যবসা বাণিজ্য এবং ঈদ কেনাকাটার জন্য পটিয়ার মার্কেটগুলো যেন জনসমাগমে ভরপুর হয়ে উঠে। কিন্তু পটিয়া পৌর সদরে বিভিন্ন সড়কে দীর্ঘদিনের সমস্যা অল্প বৃষ্টিতে হাঁটু পানি জমে থাকে। পটিয়া পৌর সদরের পানি নিষ্কাশনের জন্য পটিয়া ছবুর রোড, তালতলা চৌকি, আবদুর রহমান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সড়ক হয়ে মুন্সেফ বাজার বড়য়া বিল্ডিং পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকা পানি নিষ্কাশনের জন্য পৌরসভা কর্তৃক ড্রেন নির্মাণের কাজ শুরু করে।
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে পটিয়া পৌরসভা কর্তৃক এ ড্রেন নির্মাণ কাজ চলছে। বিশেষ করে রামকৃষ্ণ মিশন থেকে মুন্সেফ বাজার বড়য়া বিল্ডিং পর্যন্ত ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু করলেও ঠিকাদারের ধীর গতির কারনে ড্রেন নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে পৌরসভার সকল পানি প্রবাহিত হলে অর্ধসমাপ্ত ড্রেন নির্মাণ কাজে পানি চলাচল বাধাগ্রস্ত হলে রাস্তার উপর হাঁটু পানি জমে যায়। এই সময় স্কুল খলিলুর রহমান ডিগ্রি কলেজ, বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীসহ, অফিসগামী মানুষকে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বেশ কয়েক বছর ধরে এলাকার পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করায় প্রতি বছর বর্ষাকালে এলাকায় জলাবদ্ধতায় সার্কুলার রোড, রামকৃষ্ণ মিশন রোড এলাকায় হাঁটু পানিতে এলাকাবাসীকে চলাচল করতে হয়।
এছাড়াও পৌর সদরের আদালত রোড, শহীদ সবুর রোড, ক্লাব রোড, রেলস্টেশন রোড, খাসমহল রোড, পোস্ট অফিসের মোড়, পটিয়া মেডিকেল, সার্কুলার রোড, সাংবাদিক জালাল উদ্দিন সড়ক, আমিরভান্ডার রেলগেইট সড়ক, তালতলা চৌকির, শেখ রাসেল স্মৃতি সড়ক, ৯ নং ওযার্ডে আমিরভান্ডার মল্ল বাড়ি এলাকা, নতুন থানার হাট, রেলস্টেশন রোড, ৮ নং ওযার্ড আল জামিয়া মাদ্রাসা, ১নং ওয়ার্ড আল্লাই ওখড়া, ২ নং ওয়ার্ড পল্লী মঙ্গল সড়ক, সুচক্রদন্ডী এলাকা, ৪নং ওয়ার্ডের মাঝের ঘাটা, শীলপাড়া, সাজ রেজিস্ট্রার বাড়ি এলাকা, ৭নং ওয়ার্ডের গোবিন্দার খিল, বিওসি রোড, ডাকবাংলো এলাকা, আন্তর্জাতিক ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় আল জামেয়া আল ইসলামীয়া মাদ্রাসাসহ এলাকা পানিতে ডুবে যায়। বিশেষ করে পানি নিস্কাশনের ডেইন নির্মাণ কাজের বিভিন্ন মাটি ও মালামাল রাস্তার পাশে জমে থাকায় পানি জমে জলাবন্ধতা সৃষ্টি হয়।
তাছাড়া পটিয়া বাইপাস সড়কের পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি নিষ্কাশনের কালভার্ট না থাকায় পানি নিষ্কাশনের বাধাগ্রস্ত হয়ে পৌর এলাকায় জলাবন্ধতা সৃষ্টি হয়। এতে করে পৌরবাসীর চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়। এ ব্যাপারে পটিয়া পৌর মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদ বলেন, পটিয়া পৌর সদরের বিভিন্ন এলাকায় দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণের কাজ চলছে। একসাথে প্রায় ৫টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এ কাজ করছে। অতিদ্রুত রাস্তা কার্পেটিংসহ ড্রেন নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করা হবে। আশাকরি এ ড্রেন নির্মিত হলে পৌরবাসী দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে।