Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

কৃষিতে প্রযুক্তির প্রসার ও প্রান্তিক কৃষকের স্বার্থ

ড. জাহাঙ্গীর আলম

অক্টোবর ৮, ২০২১, ০৬:১৫ পিএম


 কৃষিতে প্রযুক্তির প্রসার ও প্রান্তিক কৃষকের স্বার্থ

একসময় ধারণা করা হতো, পৃথিবীর জনসংখ্যা বাড়ছে জ্যামিতিক গতিতে আর খাদ্যশস্যের উৎপাদন বাড়ছে গাণিতিক হারে। অতএব, পৃথিবীতে খাদ্যাভাব হবে, দুর্যোগ দেখা দেবে। এ ধারণার উদ্ভব ঘটিয়েছিলেন থমাস ম্যালথাস। কিন্তু তার প্রতিপক্ষের চিন্তাবিদরা বলেছেন, কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির প্রভাব উৎপাদনকে বহুগুণে বাড়িয়ে দেবে। জনসংখ্যার প্রবৃদ্ধিকে হটিয়ে দেবে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির হার। এখন তা সঠিক প্রমাণিত হয়েছে।

১৯৬১ সালে বিশ্বে খাদ্য উৎপাদন ছিলো ৭৪১.৪৬ মিলিয়ন মেট্রিক টন। ২০২১ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২৭৬৯.২ মিলিয়ন টনে। এ সময় খাদ্যশস্যের উৎপাদন প্রতি বছর বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ২.৩ শতাংশ হারে। অন্যদিকে মোট জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ১.৭ ভাগ হারে। তাতে বিজয় সূচিত হয়েছে কৃষিবিজ্ঞানের এবং নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের। এ বিশ্ব হয়েছে খাদ্যে উদ্বৃত্ত। সেদিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান আরো ভালো।

১৯৭২ সালে এ দেশে খাদ্যশস্যের মোট উৎপাদন ছিলো ১০ মিলিয়ন টন। ২০২১ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫.৪ মিলিয়ন টনে বা ৪ কোটি ৫৪ লাখ টনে। এ ৫০ বছরে খাদ্যশস্যের গড় প্রবৃদ্ধির হার হলো প্রতি বছর ৩ শতাংশ। অন্যদিকে জনসংখ্যা বেড়েছে সাড়ে ৭ কোটি থেকে ১৭ কোটিতে। এর প্রবৃদ্ধির হার হলো বার্ষিক ১.৯ শতাংশ। অর্থাৎ জনসংখ্যার চেয়ে খাদ্যশস্যের প্রবৃদ্ধির হার বেশি। বাংলাদেশ এখন চাল উৎপাদনে স্বনির্ভর।

বিগত সত্তরের দশকে বাংলাদেশে প্রতি বছর গড়ে ৩০ লাখ টন খাদ্যশস্য আমদানি করা হতো। এখন জনসংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি হওয়া সত্ত্বেও খাদ্যশস্যের গড় আমদানি বাড়েনি। আবহাওয়া ভালো থাকলে আমদানি হ্রাস পায়। চাল উৎপাদনে আমরা উদ্বৃত্ত হই। কোনো সময় রপ্তানিও করতে পারি। এর পেছনে নিরন্তর কাজ করছে কৃষির আধুনিকায়ন। কৃষিতে নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও ধারণের ফলেই এ সাফল্য এসেছে। এক হিসাবে দেখা যায়, জাতীয় কৃষি গবেষণা সিস্টেমের অন্তর্ভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৬৫৫টি উচ্চফলনশীল জাত এবং ৫৯১টি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে।

এর মধ্যে দানাজাতীয় ফসল, কন্দাল বা আলু, ডাল, তেলবীজ, আঁশ ও চিনিজাতীয় ফসল, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, কৃষি যন্ত্রপাতি, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, বন, রেশম, চা, মৃত্তিকাসম্পদ, সেচ ইত্যাদি রয়েছে। তাছাড়া খাতসহিষ্ণু ফসলের উচ্চফলনশীল জাত ও হাইব্রিড উদ্ভাবনে এবং অগ্রসরমাণ নতুন প্রযুক্তি সম্প্রসারণে বাংলাদেশ অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সাম্প্রতিক সমীক্ষা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় অগ্রগামী দেশগুলোর মধ্যে কৃষিপ্রযুক্তি উন্নয়নে বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম দিকে রয়েছে।

এর ফলে ছোট দেশ ও আবাদি জমির অপ্রতুলতা সত্ত্বেও বিশ্বে ধান উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান এখন তৃতীয়। তাছাড়া পাট উৎপাদনে দ্বিতীয়, সবজি উৎপাদনে তৃতীয়, আলু উৎপাদনে অষ্টম, আম উৎপাদনে সপ্তম, ইলিশ উৎপাদনে প্রথম, অভ্যন্তরীণ উন্মুক্ত পানির মাছ উৎপাদনে তৃতীয় এবং ছাগলের মাংস উৎপাদনে চতুর্থ স্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। স্বাধীনতার পর থেকেই কৃষি খাতের পালে হাওয়া লেগেছে। গত ১৩ বছরে কৃষি উৎপাদনের ক্ষেত্রে বড় ধরনের সাফল্য আমরা অবলোকন করছি।

বিশ্বব্যাপী বীজ-সার-সেচ-প্রযুক্তিভিত্তিক আধুনিক কৃষির দ্রুত সম্প্রসারণ সম্ভব হয়েছিল কৃষিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির কারণে। গবেষণায় ব্যয় বৃদ্ধি করা হয়েছিল। কৃষিতে ভর্তুকি প্রদান করা হয়েছিল উদার হস্তে। কৃষকের ক্রয়সীমার মধ্যে রাখা হয়েছিল কৃষি উপকরণ। গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল কৃষি যন্ত্রায়নের ওপর। খাদ্যোৎপাদনে উদ্বৃত্ত উন্নত দেশগুলো এক্ষেত্রে পালন করেছে অগ্রণী ভূমিকা।

ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর জন্য ষাটের দশকে ‘কমন এগ্রিকালচারাল পলিসি’ প্রণয়ন করা হয়েছিল মূলত কৃষিকে সহায়তা দেয়ার জন্যই। বাংলাদেশে সবুজ বিপ্লবের ব্যাপকতা এসেছে বিলম্বে স্বাধীনতার পরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে। তিনি নামমাত্র মূল্যে কৃষির আধুনিক উপকরণ সরবরাহের ব্যবস্থা করেন। সেচ ও সারের ওপর প্রবর্তন করেন বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি। অধিক উৎপাদনশীল বীজ উদ্ভাবনের জন্য প্রতিষ্ঠা করেন বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান। তাতে পরবর্তীকালে বৃদ্ধি পায় কৃষির উৎপাদন।

নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে এবং বর্তমান দশকের গোড়ার দিকে বিশ্বব্যাপী কৃষিতে বিনিয়োগ হ্রাস পায়। প্রত্যাহার করে নেয়া হয় কৃষি ভর্তুকি। অর্থনৈতিক সংস্কার সফল করার জন্যই দেশে দেশে সরকারি ব্যয় হ্রাস করা হয় কৃষি খাতে। তাতে হ্রাস পায় কৃষির উৎপাদনে নতুন প্রযুক্তির ধারণ ও প্রবৃদ্ধির হার। বর্তমানে দারিদ্র্য হ্রাস, পুষ্টিনিরাপত্তা ও খাদ্যে স্বয়ম্ভরতা অর্জনের জন্য বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাচ্ছে বিশ্বব্যাপী। বাংলাদেশে তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে বর্তমান সরকারের আমলে।

 গত এক যুগে শুধু সারেই ভর্তুকি দেয়া হয়েছে ৭৬ হাজার কোটি টাকা। পানি সেচের জন্য ব্যবহূত বিদ্যুতের ওপর চালু করা হয়েছে ২০ শতাংশ ভর্তুকি। ৫০ শতাংশ ভর্তুক মূল্যে বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে কৃষি যন্ত্রপাতি। মোট বাজেটের প্রায় ২ শতাংশ ব্যয় করা হচ্ছে কৃষি ভর্তুকি খাতে। তাছাড়া দ্রুত হ্রাস করা হয়েছে কৃষিঋণের সুদের হার। এখন কৃষিঋণের সর্বোচ্চ সুদের হার ৮ শতাংশ। মশলা ফসলের জন্য তা ৪ শতাংশ।

দুগ্ধ খামার গড়ার জন্য ৫ শতাংশ। বর্তমানে পানি সেচের আওতা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে মোট আবাদি জমির ৭০ শতাংশে। উচ্চ ফলনশীল জাতের আওতায় এসেছে ৮৫ শতাংশ জমি। ফলে দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে কৃষির সার্বিক উৎপাদন। তবে দেশের শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ ছোট কৃষক সরকারি সহায়তা ও প্রণোদনায় তেমন লাভবান হতে পারেন না। প্রয়োজনীয় বিনিয়োগের অভাবে নতুন প্রযুক্তির সুফল তারা পুরোপুরি ভোগ করতে পারেন না।

 প্রাতিষ্ঠানিক ঋণ সুবিধা স্বাভাবিক গতিতে তাদের হাতে গিয়ে পৌঁছায় না। তাদের জন্য গোষ্ঠীভিত্তিক সহায়তার নীতিমালা পর্যাপ্ত নয়। কৃষি বাঙালির প্রধান পেশা। প্রাচীনকাল থেকেই এ দেশের মানুষের জীবন-জীবিকার প্রধান উৎস ছিলো কৃষি। এখানে বৃষ্টিপাত পর্যাপ্ত। দেশজুড়ে নদ-নদীর অসংখ্য শাখা-প্রশাখা বিস্তৃত। তাতে প্রতি বর্ষায় মাটির ওপরের স্তরে জমা হয় পলির পুরো আস্তরণ। ফলে মাটি হয়ে ওঠে উর্বর। তদুপরি দেশের অধিকাংশ এলাকা সমতল। তাতে এ দেশে শস্যের উৎপাদন সহজ, ফলন হয় ভালো।

সে কারণে এ দেশের মানুষের মূল পেশা হয়েছে কৃষি। বেড়েছে কৃষিতে নিয়োজিত মানুষের ঘনত্ব। বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে এখানকার প্রায় ৭৭ ভাগ মানুষ নিয়োজিত ছিলো কৃষিকাজে। এখন তা নেমে এসেছে ৪০ ভাগে। বর্তমানে কৃষিবহির্ভূত গ্রামীণ কর্মকাণ্ডের পরিধি বেড়েছে। ত্বরান্বিত হয়েছে শহরভিত্তিক শিল্প-কারখানায় শ্রমিক নিয়োগের হার। শহরমুখী বিভিন্ন কাজেও নিয়োজিত হয়েছেন অনেক কৃষকসন্তান। অনেকে আবার দেশ ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছেন বিদেশে। অধিক উৎপাদনশীল কাজের আশায়। ফলে কৃষিকাজে মানুষের চাপ কমেছে।

আচ্ছাদিত বেকারত্ব বা ডিজগাইজড আন-এমপ্লয়মেন্ট শব্দটি এখন পুথিতে থাকলেও বাংলাদেশের কৃষিতে এর কোনো অস্তিত্ব আছে বলে মনে হয় না। বরং কৃষির উৎপাদন মৌসুমে শ্রমিক সরবরাহের অপ্রতুলতাই মানুষের চোখে পড়ে বেশি। তাতে বৃদ্ধি পাচ্ছে কৃষিশ্রমিকের মজুরি। বৃৃদ্ধি পাচ্ছে মোট উৎপাদন খরচ। অন্যদিকে কৃষি খামারগুলো কাঠামোগত পরিবর্তনের মাধ্যমে ছোট থেকে ছোট হচ্ছে। প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকদের সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু তাদের আর্থিক অক্ষমতার কারণে কৃষিতে ব্যক্তিগত বিনিয়োগ বাড়ছে না।

এমন পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও আবহাওয়া পরিবর্তনের অভিঘাত সামলে নিয়ে টেকসহ কৃষি উন্নয়ন ও স্থায়ী উৎপাদন বৃদ্ধির কার্যক্রম নিশ্চিত করা বড় কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তদুপরি ফসল উৎপাদনের বিভিন্ন স্তরে সময়ক্ষেপণ অপচয় ও অদক্ষতার কারণে কৃষির উৎপাদন লাভজনক হচ্ছে না। এমতাবস্থায় কৃষিকাজে যন্ত্রের ব্যবহার অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।

ইতোমধ্যেই অনেক সম্প্রসারিত হয়েছে কৃষিকাজে যন্ত্রের ব্যবহার। ভূমিকর্ষণ, আগাছা পরিষ্কার, ফসল কর্তন ও মাড়াই, ধান ভানা, সেচ ইত্যাদি সব ক্ষেত্রেই এখন কায়িক শ্রমের ব্যবহার সীমিত হয়ে এসেছে। বেড়েছে যন্ত্রের ব্যবহার। একসময় ভূমিকর্ষণের ৯০ শতাংশই সম্পন্ন করা হতো লাঙল দিয়ে। ব্যবহার করা হতো পশুশক্তি। এখন পশুশক্তির ব্যবহার হ্রাস পেয়ে নেমে এসেছে ৫ শতাংশে। বাকি ৫০ শতাংশই আবাদ হচ্ছে যন্ত্রপাতির মাধ্যমে। ধান কাটা ও মাড়াইক্ষেত্রে যন্ত্রের ব্যবহার এখন বেশ প্রচলিত।

কিন্তু তার পরিধি এখনো বেশ সীমিত। কৃষিযন্ত্র সংগ্রহে কৃষকদের উৎসাহিত করার জন্য সরকার ৫০ শতাংশ ভর্তুকি মূল্যে যন্ত্র বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে। হাওর, পার্বত্য এলাকা ও চরাঞ্চলে ভর্তুকির পরিমাণ প্রায় ৭০ শতাংশ। কিন্তু দেশের প্রান্তিক কৃষক এ সুবিধা থেকে তেমন উপকৃত হতে পারছেন না। ভর্তুকি মূল্যেও তাদের যন্ত্র কেনার সামর্থ্য নেই। তাদের সমবায়ভিত্তিক কৃষিযন্ত্রের মালিকানা গ্রহণের জন্য উৎসাহিত করতে হবে।

 আমাদের কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ ও সমবায় বিভাগ যৌথভাবে এ কাজে কৃষকদের সহায়তায় এগিয়ে আসতে পারে। বর্তমানে বহুল আলোচিত বিষয় হচ্ছে ই-কৃষি ও ই-কমার্স। কৃষি সমস্যা সমাধানের জন্য মোবাইল অ্যাপস ব্যবহার করে বাড়ি থেকে কৃষি সম্প্রসারণকর্মীদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা পাচ্ছেন গ্রামের কৃষক। তাদের জন্য কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগে স্থাপিত হয়েছে ‘কল সেন্টার’। সেখান থেকে টেলিফোনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দেয়া হচ্ছে কৃষকদের।

এ ছাড়া কৃষিপণ্য বিপণনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে ই-কমার্স। এর মাধ্যমে বিক্রি হচ্ছে কোরবানির পশু। শাকসবজি, ফলমূলও এসেছে ই-কমার্সের আওতায়। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব এগিয়ে চলার পাশাপাশি কৃষিকাজের ধরন ও পণ্য বিক্রির প্রক্রিয়াও চলে এসেছে ডিজিটাল পদ্ধতির আওতায়। তবে এক্ষেত্রে দেশের প্রান্তিক কৃষকদের অংশগ্রহণ খুবই কম। তাদের স্মার্টফোন নেই।

এ বিষয়ে প্রশিক্ষণও নেই। ২০৪১ সালের মধ্যে এক হাজার গ্রামকে স্মার্ট ফার্মিংয়ের আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে সরকার। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রান্তিক কৃষকদের অংশগ্রহণ খুবই প্রয়োজন। এর জন্য তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া দরকার। আর্থিক সহায়তা দিয়ে স্মার্টফোন সংগ্রহে তাদের উৎসাহিত করা দরকার। বাংলাদেশের প্রান্তিক কৃষক অধিক উৎপাদনশীলতায় দক্ষ। তারা কৃষিকাজে নিজেরাই শ্রম দেন। উৎপাদন পরিচালনা ও তদারক করেন তারাই। ফলে তাদের খামারে/জমিতে উৎপাদন বেশি হয় কিন্তু খরচ কম। উৎপাদন দক্ষতাও তাদের বেশি।

কিন্তু সমস্যা তাদের পুঁজিস্বল্পতা। নতুন প্রযুক্তি ধারণ ও বিস্তারে প্রান্তিক কৃষককে উদ্ধুদ্ধ করার জন্য প্রয়োজন আর্থিক সহায়তা, উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও কৃষি উপকরণে তাদের অভিজ্ঞতা। এটা নিশ্চিত করার জন্য তাদের অনুকূলে নগদ সহায়তা প্রদান ও বরাদ্দ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইতিবাচক নীতিমালা প্রণয় করা দরকার।

লেখক : কৃষি অর্থনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, মুক্তিযোদ্ধা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত গবেষক