Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

বিসিএস ও সিভিল সার্ভিসের সাতকাহন

অরিয়ন তালুকদার

অক্টোবর ২৭, ২০২১, ০৬:৪৫ পিএম


বিসিএস ও সিভিল সার্ভিসের সাতকাহন

‘ডিপার্টমেন্ট অব বিসিএস’ নামটি শুনতে ‘সোনার পাথরবাটির মতো মনে হলেও সবার অগোচরে গত এক দশকে প্রায় প্রতিটি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবকাঠামোহীন এ বিভাগটির অস্তিত্ব গড়ে উঠেছে। ছাত্র সংখ্যা বিবেচনায় এটিই এখন যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচাইতে বড় বিভাগ।

বৃষ্টিস্নাত দুপুরে নিবিড়ভাবে অধ্যয়নরত অথবা কাকডাকা ভোরে শীতের শিশির মাড়িয়ে বিভিন্ন গ্রন্থাগারের সামনে অপেক্ষমাণ এই বিশেষ বিভাগের জ্ঞানপিপাসুদের দীর্ঘ লাইনের ছবি প্রায়ই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। 

শিক্ষার্থীদের এহেন জ্ঞানপিপাসায় জাতি হিসেবে আমাদের পুলকিত করার পরিবর্তে শঙ্কিত করে তুলেছে। কিন্তু কেন? ঢাকার ৯টি গ্রন্থাগারে জরিপ করে দেখা গেছে, ৯৭ শতাংশ শিক্ষার্থী গ্রন্থাগারে আসছেন চাকরি সংক্রান্ত পড়াশোনা করতে। সঙ্গে করে নোট-গাইড নিয়ে এসে তারা গ্রন্থাগারকে ব্যবহার করছেন পাঠকক্ষ হিসেবে। গত শতকেও বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের পাঠ চুকিয়ে চাকরির পড়াশোনায় মনোনিবেশ করতেন। 

ধীরে ধীরে এটি বেড়ে এমন অবস্থায় চলে গেছে যে, অনেক শিক্ষার্থী এইচএসসি পাস করার পর থেকে বিসিএসসহ অনান্য চাকুরির প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন আর অধিকাংশরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েই শুরু করে দেন পুরোদমে চাকরির প্রস্তুতি। কোচিং, প্রাইভেট, লাইব্রেরিতে ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে চলে বিসিএসের প্রস্তুতি। স্নাতকোত্তরে ভর্তি যেনো আবাসিক হলে সিট ধরে রাখার উপলক্ষ মাত্র। 

শ্রেণিকক্ষে বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনার পরিবর্তে ক্লাস চলাকালে তারা বিসিএসের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। শুধু তাই নয় পরীক্ষা পেছানো, নামমাত্র গবেষণা, সেমিস্টার বিলম্ব করা এবং পাস করার পরেও হলে বা হোস্টেলে থেকে চাকরির প্রস্তুতির প্রবণতাও দেখা যায় তাদের মধ্যে। মোটকথা, চাকরির প্রস্তুতিকে ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের জীবনও। 

একাডেমিক পড়াশোনা শিক্ষার্থীদের কাছে অনেকটা গৌণ হয়ে উঠেছে মুখ্য হয়ে গেছে বিসিএস, লক্ষ্য একটাই— বিসিএস ক্যাডার হওয়া চাই। এটা আলাদা কোনো প্রপঞ্চ নয়, বরং মানুষ যে চাকরি আর জীবিকাকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে তার প্রমাণ। যা জাতির জন্য এক অশনি সংকেত।

এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা, গবেষণা ও বিশেষায়িত পড়াশোনায়। সর্বশেষ ৩৮তম বিসিএসে সাধারণ ক্যাডারে বিশেষায়িত গ্র্যাজুয়েটের আধিক্য তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। শিক্ষার্থীদের একাডেমিক পড়াশোনায় দিন দিন আগ্রহ কমে যাচ্ছে যা কি না মানসম্মত চিকিৎসক, প্রকৌশলী, কৃষিবিদ ও গবেষক তৈরির অন্যতম অন্তরায়।

 এ তো গেলো চাকরিপ্রত্যাশীদের কথা, কিন্তু চাকরি প্রাপ্তরাও থেমে নেই অফিসে কাজের ফাকে অথবা ছুটির দিনে সেরে নিচ্ছেন প্রস্তুতি। নন-ক্যাডার এবং বিভিন্ন ক্যাডারের কর্মকর্তারাও ৩০ বছর পর্যন্ত প্রাণান্ত চেষ্টা করে যাচ্ছেন বিশেষ কয়েকটি ক্যাডারে যোগদানের জন্য। সকলের মধ্যে বিশেষ কয়েকটি ক্যাডারে যোগদানের এ প্রবণতা তৈরির পেছনের কারণটি জলবৎ তরলং। পদোন্নতি, উচ্চতর গ্রেড, প্রশিক্ষণ, উচ্চ শিক্ষাবৃত্তি, সুদ মুক্ত গাড়ি ঋণ, কর্মস্থলের নিরাপত্তাসহ প্রতিটি বিষয়ে পাহাড়সম বৈষম্যই সেই অন্তর্নিহিত কারণ। 

কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক জাতীয় সংসদে অনুমোদিত সার্ভিস (রিঅর্গানাইজেশন অ্যান্ড কন্ডিশন) অ্যাক্ট ১৯৭৫’ অনুযায়ী একই গ্রেডে এবং স্কেলের কর্মকর্তাদের মধ্যে বেতন-ভাতা ও সুবিধার ক্ষেত্রে কোনো বৈষম্য করার সুযোগ নেই। নীতিনির্ধারকদের অনেকে মনে করেন, একই পরীক্ষা দিয়ে চাকরিতে এলেও প্রত্যেকের মেধাক্রম অভিন্ন নয়। অধিকতর মেধাবীরা তাদের পছন্দ অনুসারে আকর্ষণীয় চাকরিগুলো পাবেন, এটাই স্বাভাবিক। 

যেহেতু পছন্দক্রম এবং মেধাক্রমের সমন্বয়ে চূড়ান্ত ফলাফল নির্ধারিত হয় এবং দেখা যায় অধিকাংশ চিকিৎসক, প্রকৌশলী এবং অনেক কৃষিবিদ ও শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা মেধাক্রমে শীর্ষে থাকার পরও শুধু সংশ্লিষ্ট পেশার প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা থাকার কারণে এবং শিক্ষাজীবনের অর্জিত জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে দেশ ও জাতির সেবার ব্রত নিয়ে যোগদান করেন এসব ক্যাডারে। তাই মেধাক্রমে পেছনের দিকে থাকা প্রার্থীরা চিকিৎসক, প্রকৌশলী, কৃষিবিদ অথবা শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেছেন এমন ধারণার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। 

চাকরির সুযোগ-সুবিধা সাধারণত নির্ধারণ করা হয় তার কর্মপরিধি অনুসারে। তবে এ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটে শুধু চিকিৎসক, শিক্ষক, প্রকৌশলীদের ক্ষেত্রে। যেমন পররাষ্ট্র ক্যাডার কর্মকর্তারা বিদেশে পদায়নকালে বিদেশ ভাতা, আপ্যায়ন ভাতা, চিকিৎসার সব সুযোগ, সন্তানদের পড়াশোনার ভাতা পান এবং সরকারি ব্যয়ে নিতে পারেন একজন গৃহপরিচারক।

রাষ্ট্রদূতরা সরকারি খরচে একজন বাবুর্চি ও একজন মালি নিয়োগ দিতে পারেন। তেমনি মাঠ প্রশাসনে কর্মরত থাকাকালে একজন ডিসি বা এসপি সহায়ক কর্মচারীর সুবিধা পান তাদের বাসভবনে। আছে ভালো গাড়ির সুবিধাও। তাদের জুনিয়র সহকর্মীরাও কর্মপরিধি বিবেচনায় ক্ষেত্রবিশেষে গাড়ির সুবিধা পেয়ে থাকেন। 

প্রশাসন ক্যাডারের উপসচিব সমপর্যায়ের পঞ্চম গ্রেডের কর্মকর্তারা গাড়ি কেনার জন্য ৩০ লাখ টাকা সুদমুক্ত ঋণ ও গাড়ি ব্যবস্থাপনার জন্য প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা পাচ্ছেন প্রায় একই ধরনের সুবিধাদি পাচ্ছেন অনেক নন-ক্যাডার এবং ব্যাংকাররাও। এগুলো সবই যেমন যৌক্তিক তেমনি প্রকৌশলী, চিকিৎসক, কৃষিবিদ ও শিক্ষকদের এসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অমর্যাদাকরও বটে। থানায় পদমর্যাদার প্রতীক নয় বরং আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার প্রয়োজনে সত্যিকার অর্থে যেমন একাধিক গাড়ির প্রয়োজন ঠিক তেমনি শিক্ষকদের করোনায় পাঠদানের নিমিত্তে প্রয়োজনীয় উপকরণ ও মোবাইল ভাতা প্রয়োজন। 

সরকার বৈদেশিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মকর্তাদের দক্ষ করার যে উদ্যোগ নিয়েছে, তাতে প্রশাসনের জন্যই ৭০ ভাগ, অন্যান্য ক্যাডারের জন্য মাত্র ৩০ ভাগ রাখার যে অনুশীলন চলছে তা অযৌক্তিক। সুযোগ-সুবিধাদি অনেক ক্ষেত্রেই অভিন্ন হবে না, এতে অস্বাভাবিক কিছু নেই তবে কৃষিবিদ, প্রকৌশলী ও শিক্ষকদের জন্য উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের ক্ষেত্রে বৃত্তির প্রাধিকার ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ও পেশাগত উৎকর্ষ সাধনের জন্য জরুরি। 

শুধু তাই নয়, উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনে উৎসাহিত করার জন্য অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট যা অতীতে শিক্ষা ক্যাডারে চালু ছিলো তা সকল ক্যাডারে চালু করা অথবা প্রণোদনার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, উচ্চ শিক্ষাবৃত্তি প্রাপ্তদের তালিকায় কৃষিবিদ, প্রকৌশলী অথবা শিক্ষকরা দিন দিন সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছেন। যদিও প্রতি ক্যাডার, সাব-ক্যাডারে গঠনকাঠামো একই রকম নয়, তবুও একই সময়ে চাকরিতে প্রবেশ করে বিভিন্ন ক্যাডারে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে পদোন্নতি বেমানান। 

যদিও চাকরির ধরন ও নিয়োগ পদ্ধতি ভিন্ন তবুও নবম গ্রেডে একই যোগ্যতা নিয়ে যোগদান করেও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তিন বছরে এবং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা দুই বছরে চলে যাচ্ছেন ষষ্ঠ গ্রেডে। অন্যদিকে, ক্যাডার কর্মকর্তাদের সেখানে ক্ষেত্রবিশেষে ১০ থেকে ১২ বছর লেগে যাচ্ছে। তবে আন্তরিক হলে যোগ্যতা অর্জন সাপেক্ষে সুপারনিউমারারি (সংখ্যাতিরিক্ত পদ) পদোন্নতি অথবা ব্যাচভিত্তিক পদোন্নতি কিংবা উচ্চতর গ্রেড প্রদান করেও সমস্যার সমাধান করা যায়। 

এক ক্যাডারের শিডিউলভুক্ত পদে অন্য ক্যাডার পদায়নের সুযোগ না থাকলেও ‘প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পদটি প্রশাসন ক্যাডারের নিয়ন্ত্রণে শুধু তাই নয়— বিসিএস খাদ্য, সমবায়, পরিসংখ্যানসহ অন্যান্য ক্যাডারের শীর্ষ পদগুলোতেও কর্মরত থেকে ওই ক্যাডার কর্মকর্তাদের নিয়ন্ত্রণ করছেন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা। উপসচিব পদোন্নতি পাওয়া সবার সমান অধিকার। কেননা, উপসচিব হতে উপরের দিকের পদগুলো সরকারের। 

কিন্তু নিকট অতীতের একটি সিদ্ধান্তের উপর ভিত্তি করে প্রশাসন ক্যাডারের ৭৫ ভাগ এবং বাকি ২৫ ভাগে ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা পদোন্নতি পাচ্ছেন কৌলিন্য প্রথার স্রষ্টা রাজা বল্লাল সেন নবগুণবিশিষ্টদের কুলীন উপাধি দিয়েছিলেন। আচার, বিনয়, বিদ্যা, প্রতিষ্ঠা, তীর্থ দর্শন, নিষ্ঠা, শান্তি, তপ ও দানের মতো গুণের ‘কুল লক্ষণ’ বা ‘নবগুণ’ ও কর্মের ভিত্তিতে প্রতি ৩৬ বছর শেষে একবার কুলীন ও অকুলীন নির্বাচিত করতেন।

কুলমর্যাদা লাভার্থে সবাই ধার্মিক ও গুণবান হতে চেষ্টা করতো। কিন্তু লক্ষণ সেনকৃত ব্যবস্থায় তা বংশানুক্রমিক হয়ে গিয়ে দুর্বিষহ হয়ে ওঠে এবং কালানুক্রমে তা বিলুপ্ত হয়ে যায়। ঠিক তেমনি উপসচিব থেকে উপরের পদগুলো যেহেতু সরকারের তাই এই পদগুলোতে পদোন্নতির ক্ষেত্রে কোনো প্রথা অনুসরণ না করে সিভিল সার্ভিসের সদস্যদের মধ্য থেকে নির্দিষ্ট সময়ান্তে উন্মুক্ত পরীক্ষা, বিগত চাকরি জীবনের দক্ষতা, সততার বিচারে ওই পদে পদোন্নতি দেয়া সময়ের দাবি অন্যথায় সিভিল সার্ভিসের মান নিম্মগামী হয়ে তা কৌলীন্য প্রথার পরিণতি বরণ করলে অবাক হওয়ার অবকাশ থাকবে না। 

সমপ্রতি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তথ্য ক্যাডারের শীর্ষপদ প্রধান তথ্য কর্মকর্তা, শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালকের পদসহ অনান্য ক্যাডারের একটি করে পদ গ্রেড-১ উন্নীত করা হয়েছে। পক্ষান্তরে প্রশাসন ক্যাডারে সচিব ও সিনিয়র সচিব পদে অনুমোদিত পদের সংখ্যা প্রায় ৮৯টি। যেখান বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষককেরই কর্মজীবনে গ্রেড-১ যাওয়ার সুযোগ ঘটে সেখানে সকল ক্যাডারের অধিকাংশ কর্মকর্তার কর্মজীবনের ইতি টানতে হয় গ্রেড-৩ গিয়ে। 

প্রশাসন ক্যাডারে অনুমোদিত প্রায় ১২০টি অতিরিক্ত সচিব পদের বিপরীতে অনান্য ক্যাডারের গ্রেড-২ কর্মকর্তাদের সংখ্যা অপ্রতুল। সমগ্র শরীরকে বঞ্চিত করে কেবল মুখে রক্ত জমলে তাকে স্বাস্থ্য বলা যায় না তেমনি সকল ক্যাডারকে বঞ্চিত করে সুবিধাদি একটি বিশেষ ক্যাডারে পুঞ্জীভূত করে দক্ষ ও সময়োপযোগী সিভিল সার্ভিস গড়ে তোলা সম্ভব না।

রাজা ষোড়শ লুইয়ের সময়ে ফ্রান্সে প্রভাবশালী বুর্জোয়াদের উত্থান যারা আনুষ্ঠানিকভাবে তৃতীয় এস্টেটের (সাধারণ) অংশ ছিলো কিন্তু নিজেদের একটি ভিন্ন দল গড়ে তুলে পাদ্রিরা (প্রথম এস্টেট) এবং অভিজাত্যদের (দ্বিতীয় এস্টেট) সঙ্গে রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিল ফলে একটি বিপ্লবী বায়ুমণ্ডল এবং জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়। সংকট সমাধানে রাজা ১৭৮৯ সালে এস্টেট-জেনারেলকে ডেকেছিলেন। এটি যখন অচলাবস্থায় এসেছিল, তখন তৃতীয় এস্টেটের প্রতিনিধিরা রাজার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একটি জাতীয় পরিষদ গঠন করেছিলেন, যা ফরাসি বিপ্লব শুরুর বার্তা দিয়েছিল। 

তেমনিভাবে সরকারি চাকরিতে ক্যাডার বৈষম্য দূর করতে ও কৃত্য পেশাভিত্তিক প্রশাসন গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রকৃচি গঠন ও ১৬ দফা পেশ বঞ্চিত, ক্ষুব্ধ ও অস্থিতিশীল সিভিল সার্ভিসের বহিঃপ্রকাশ। আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিয়ে যা কিছুই বলা হোক না কেন, তার সবই চর্বিতচর্বণ তবে যেহেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১২ এবং ২০১৭ সালে বৈষম্য নিরসনের নির্দেশ দিয়েছেন, সেহেতু অন্দোলন ব্যতীরেকে অতিমারি শেষে এই নির্দেশনা কার্যকর হবে এমন প্রত্যাশায় প্রহর গুনছেন সিভিল সার্ভিসের সদস্যরা।

লেখক: কলামিস্ট