Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ৪ জানুয়ারি

ডিসেম্বর ২৩, ২০১৪, ০২:১৮ পিএম


পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ৪ জানুয়ারি

  আগামী ৪ জানুয়ারি দেশে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপিত হবে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দেশের আকাশে রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়কমন্ত্রী ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি মতিউর রহমান।

সভায় ধর্মমন্ত্রী জানান, সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, আবহাওয়া অধিদপ্তর, মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশের আকাশে ১৪৩৬ হিজরির রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে রবিউল আউয়াল মাস।

মুসলমানরা ১২ রবিউল আউয়াল মহানবী হয়রত মুহম্মদ (স.)-এর জন্ম ও মৃত্যু (ওফাত) দিবস হিসেবে পালন করে। সেই হিসেবে আগামী ৪ জানুয়ারি হবে ১২ রবিউল আউয়াল। ঈদে মিলাদুন্নবীর দিন সাধারণ ছুটি। সভায় ধর্মসচিব চৌধুরী মো. বাবুল হাসান, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা তছির আহমদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব প্রফেসর মাওলানা মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. শাহ আলম, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকি নদভী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.) ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের আরবি রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ মক্কার কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন। ৬৩২ খ্রিস্টাব্দের এ দিনেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। দিনটি ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে সারা পৃথিবীর মুসলমানরা পালন করে থাকে। মিলাদ আরবি শব্দ। এর অর্থ জন্মবৃত্তান্ত। আর মিলাদুন্নবী (সা.) অর্থ হচ্ছে নবী করিম (সা.)-এর জন্মবৃত্তান্ত সম্পর্কে আলোচনা করা। আরবের মরু প্রান্তরে শান্তির ধর্ম ইসলামের প্রচার শুরু করেন হযরত মুহম্মদ (সা.)। তাঁর আবির্ভাব এবং ইসলাম ধর্মের প্রচার সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। ইসলাম ধর্ম মতে, মহানবী (সা.) জন্মের আগে পৃথিবীর মানুষ আল্লাহর বিধান ও নবী -রাসূলের আদর্শ ভুলে অনাচার ও পাপাচারে লিপ্ত ছিল। তাদের আচার-আচরণ ছিল বর্বর ও মানবতাবিরোধী। শৃঙ্খলা-নিয়মানুবর্তিতা বলতে কিছু ছিল না। এ কারণে এ সময়কে অন্ধকার যুগ বলা হয়।

তখন মহান আল্লাহ পাক তাঁর পেয়ারা হাবিব মহানবী (সা.)-কে মানবজাতির ত্রাণকর্তা হিসেবে পাঠিয়েছিলেন। ৪০ বছর বয়সে নবুয়ত পাওয়ার পর তিনি বিশ্ববাসীকে মুক্তি ও শান্তির পথে আহ্বান জানান। তিনি সব ধরনের কুসংস্কার, গোঁড়ামি, অন্যায়, অবিচার ও দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে মানবসত্তার চিরমুক্তির বার্তা বহন করে এনেছিলেন। তিনি সত্য ও ন্যায়ের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেন। মহানবী (সা.) দীর্ঘ ২৩ বছর ইসলাম ধর্ম প্রচার করে ৬৩ বছর বয়সে ইহলোক ত্যাগ করেন। ঈদে মিলাদুন্নবীর দিনে মসজিদ এবং বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।