Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

রোজার গুরুত্বপূর্ণ মাসয়ালা

জুন ২৮, ২০১৫, ০২:০৭ পিএম


রোজার গুরুত্বপূর্ণ মাসয়ালা

   রোজা ইসলামের অন্যতম ফরজ বিধান। এর পালনে কিছু বিধি-বিধান রয়েছে। প্রত্যেক রোজাদারের জন্য এগুলো জানা থাকা অপরিহার্য:

রোজা ভেঙে যায় ও কাজা-কাফফারা ওয়াজিব হয় যে কারণে
১. ইচ্ছাকৃত কিছু খেলে বা পান করলে

২. স্ত্রী সহবাস করলে
৩. কোনো বৈধ কাজ করার পর রোজা ভেঙে গেছে মনে করে ইচ্ছাকৃত খেলে।

রোজা ভেঙে যায় ও কাজা ওয়াজিব হয় যে কারণে
১. কানে বা নাকে ওষুধ ঢুকালে।
২. ইচ্ছা করে মুখ ভরে বমি করলে অথবা অল্প বমি আসার পর তা গিলে ফেললে।
৩. কুলি করার সময় অনিচ্ছাকৃত গলার ভেতরে পানি চলে গেলে।
৪. কামভাবে কাউকে স্পর্শ করার পর বীর্যপাত হলে।
৫. খাদ্য না এমন বস্তু খেলে, যেমন : কাঠ, কয়লা, লোহা ইত্যাদি।
৬. ধূমপান করলে।
৭. আগরবাতি ইত্যাদির ধোঁয়া ইচ্ছা করে নাকে ঢুকালে।
৮. সময় আছে মনে করে সুবহে সাদিকের পর সেহেরি খেলে।
৯. ইফতারের সময় হয়ে গেছে মনে করে সময়ের আগেই ইফতার করে ফেললে।
১০. দাঁত দিয়ে বেশি পরিমাণ রক্ত বেরিয়ে তা ভেতরে চলে গেলে।
১১. জোর করে কেউ রোজাদারের গলার ভেতরে কিছু ঢুকিয়ে দিলে।
১২. হস্তমৈথুন দ্বারা বীর্যপাত ঘটালে।
১৩. মুখে পান রেখে ঘুমালে এবং সে অবস্থায় সেহেরির সময় চলে গেলে।
১৪. রোজার নিয়ত না করলে।
১৫. কানের ভেতরে তেল ঢুকালে।
১৬. এক দেশে রোজা শুরু হওয়ার পর অন্য দেশে চলে গেলে।

যেসব কারণে রোজা মাকরুহ হয়
১. বিনা প্রয়োজনে কোনো কিছু চিবালে।
২. তরকারির লবণ টেস্ট করে ফেলে দিলে।
৩. মাজন, কয়লা, গুল বা পেস্ট দিয়ে দাঁত মাজলে। (তবে সামান্য ভেতরে গেলেও রোজা ভেঙে যাবে)
৪. রাতে ফরজ হওয়া গোসলসহ সারাদিন অতিবাহিত করলে।
৫. রোজা অবস্থায় রক্তদান করলে।
৬. পরনিন্দা, কুৎসা, অনর্থক কথা ও মিথ্যা বললে।
৭. ঝগড়া, ফাসাদ ও গালমন্দ করলে।
৮. ক্ষুধা ও পিপাসার কারণে অস্থিরতা প্রকাশ করলে।
৯. মুখে থুথু জমা করে গিলে ফেললে।
১০. স্ত্রীকে কামভাবের সঙ্গে স্পর্শ করলে।
১১. মুখে কিছু চিবিয়ে শিশুকে খাওয়ালে।
১২. লিপস্টিক লাগালে (যদি তা ভেতরে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।)
১৩. বুটের কণার চেয়ে ছোট কিছু দাঁতের ফাঁক থেকে বের করে গিলে ফেললে।

যেসব কারণে রোজা ভাঙে না
১. ভুলে কিছু খেলে বা পান করলে।
২. অনিচ্ছাকৃত বমি করলে।
৩. রোজা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে।
৪. অসুস্থতাজনিত কারণে বীর্যপাত হলে।
৫. স্বামী-স্ত্রী চুম্বন ও আলিঙ্গন করলে।