নিজস্ব প্রতিবেদক
ডিসেম্বর ১, ২০২০, ১২:১০ পিএম
ধনী-নিঃস্ব নারী-পুরুষ সবার জন্য অনন্য সব আদব বা শিষ্টাচার উপহার দিয়েছে ইসলাম। যে আদবসমূহের অনুসরণ অনুকরণ নারী-পুরুষ সবাইকে করে তোলে অনন্য। সুন্দর থেকে অতিসুন্দর। মানুষ হয়ে ওঠে যে কারো প্রিয়ভাজন ও স্বচ্ছ হূদয়ের অধিকারী। এ আদব বা শিষ্টাচারগুলো নারীদের জন্য খুবই জরুরি। কেননা, নারীদের থেকেই শিখবে জাতির ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।
মুসলিম নারীর জন্য যে গুণ বা শিষ্টাচারসমূহ নিজেদের জীবনে বাস্তবায়ন বা লালন করার আবশ্যকতা বেশি সে শিষ্টাচারসমূহ তুলে ধরা হলো, যা সত্যিই মুসলিম নারীকে করে তোলে অতুলনীয়। তাহলো—
* সালাম দেয়া: মুসলিম হিসেবে নিজেদের প্রথম পরিচয়ের মাধ্যমই হলো পরস্পরের সালাম বিনিময়। সালামের মাধ্যমে পরিচয় প্রকাশ পায়। পরস্পরের জন্য দোয়া করা হয়। এ জন্য পরিচিত-অপরিচিত, ছোট-বড়, ধনী-গরিব, মালিক-অধীনস্থ একে অপরকে সালাম দেয়া। যেমনটি বলেছেন বিশ্বনবী— ‘তোমরা পরিচিত-অপরিচিত সবাইকে সালাম দাও।’ সব শিশুই বেশির ভাগ সময় নারীর মায়ের কাছ থেকে সালামের ব্যবহার শিখবে।
* সাবধান হওয়া : কোনো কারণে ঘর থেকে বের হওয়া কিংবা ঘরে প্রবেশের সময় স্বজোরে দরজা খোলা বা বন্ধ না করা। দরজা খোলা বা বন্ধ করার সময় দায়িত্বশীল ভূমিকাস্বরূপ সাবধানতা অবলম্বন করা। দরজা খোলা বা বন্ধ করার শব্দ যেনো শিশু কিংবা বয়স্ক লোকের বিরক্তির কারণ না হয়। সব শিশুই নারীর (মায়ের) কাছ থেকে এ আদব শিখবে।
* বিরক্ত না করা : কোনো প্রয়োজনে কারো বাসায় গেলে বারবার দরজায় শব্দ না করা সর্বোত্তম। প্রয়োজন হলে ছোট আওয়াজকে ধীরে ধীরে কাড়া নাড়ানো কিংবা দরজায় সংকেত দেয়া। তবে বিষয়টি যেনো এমন না হয় যে, তাতে ঘরের মালিকের বিরক্তির কারণ হয়ে না দাঁড়ায়।
দরজায় আওয়াজ দেয়ার ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে সর্বোচ্চ তিনবার আয়াজ দেয়া। তারপরও যদি কোনো প্রতিউত্তর না আসে তবে ফিরে যাওয়া। যা প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিস থেকে প্রমাণ পাওয়া যায়।
* উঁকি না মারা : কারো দরজায় গিয়ে ভেতরে কি হচ্ছে তা দেখতে বা জানতে উঁকি না দেয়া। এটি মারাত্মক অন্যায়। সরাসরি দরজার মুখোমুখি না দাঁড়িয়ে যেকোনো এক পাশে দাঁড়ানো। যাতে দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গেই অনিচ্ছা সত্ত্বেও ঘরের ভেতরে দৃষ্টি না পড়ে। এটাই ছিলো বিশ্বনবী (সা.) আদব। নারী যদি এ শিষ্টাচার নিজের মধ্যে লালন করতে পারে তবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মও এ শিষ্টাচার শিকবে করবে।
* জুতা সাজিয়ে রাখা : ঘরের ভেতর জুতা নেয়া সম্ভব না হলে তা দরজার বাইরে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখা। কারো জুতার ওপর কিংবা অগোছালোভাবে তা দরজার বাইরে না রাখা। জুতা সাজিয়ে রাখার মধ্যেই প্রকাশ পাবে ব্যক্তির সুন্দর ও উত্তম রুচিবোধ। মূলকথা হলো— যাতে ঘরের বাইরের কোনো ব্যক্তির দৃষ্টিতে অসুন্দর বা অগোছালো কোনো কিছু প্রকাশ না পায়।
* নম্র ও ভদ্র হওয়া : ঘরে প্রবেশের অনুমতি পাওয়ার পর তাতে ঢোকার সময় খুব নম্র ও ভদ্র স্বরে আওয়াজ দেয়া এবং নিজের দৃষ্টিকে নিচু রাখা। যেখানে বসার ব্যবস্থা করা হয় সেখানে বিনীতভাবে আসন গ্রহণ করাই উত্তম। চলবে...
আমারসংবাদ/এমআর