Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪,

মাহে রমজানের প্রস্তুতি

মো. জোবাইদুল ইসলাম

এপ্রিল ৬, ২০২১, ০৯:৩০ এএম


মাহে রমজানের প্রস্তুতি

আসছে মাহে রমজান। রহমত, নাজাত আর মাগফিরাতের মাস। ক্ষমা পাওয়ার মাস। কদরের রজনীর মাস। এ মাসের মর্যাদা সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, হযরত আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ- তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মাহে রমাযান (রমজান) শুরু হলে আকাশের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়। অন্য এক বর্ণনায় আছে, জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়।

জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয়। শয়তানকে শিকলবন্দী করা হয়। অন্য এক বর্ণনায় আছে, ‘রহমতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়’। (বুখারী, মুসলিম)

মাহে রমজান মুসলমানদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস। কারণ এ মাসেই নাজিল হয়েছে মহাগ্রন্থ আল কুরআন। এ মর্মে মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআন মাজিদে ইরশাদ করেনঃ- “রামাযান মাস, যে মাসে বিশ্বমানবের জন্য পথ প্রদর্শন এবং সু-পথের উজ্জ্বল নিদর্শন এবং হক ও বাতিলের প্রভেদকারী কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে।” (সূরা বাকারাঃ ১৮৫)

তাছাড়া মাহে রমজানে রয়েছে এক মহিমান্বিত রাত (লাইলাতুল কদর) যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, “মহিমান্বিত রাত হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম।

ঐ রাতে (মালাইকা) ফিরিশতাগণ ও রুহ অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক কাজে তাদের রবের অনুমতিক্রমে। শান্তিই শান্তি! সেই রাত-ফাজরের আবির্ভাব পর্যন্ত।” (সূরা কদর ৩-৫) আর মাহে রমজান হচ্ছে তাকওয়া অর্জনের মাস। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, “হে বিশ্বাস স্থাপনকারীগণ! তোমাদের পূর্ববতী লোকদের ন্যায় তোমাদের উপরও সিয়ামকে অপরিহার্য কর্তব্য রূপে নির্ধারণ করা হল যেন তোমরা তাকওয়াবান হতে পারো।” (সূরা বাকারাঃ ১৮৩)

আসন্ন সেই বরকতময় মাহে রমযান। রাসূল (সা) রমজান মাস আসার পূর্বে দোয়া করতেন, “হে আল্লাহ, আপনি রজব ও শাবান মাসে আমাদের জন্য বরকত রাখুন এবং আমাদেরকে রমজান পর্যন্ত পৌঁছার তাওফিক দিন”। আমাদের অতি সন্নিকটে সেই বরকতময় সেহরী, ইফতার, রহমত, নাজাত, মাগফিরাত আর তাকওয়া অর্জনের মাস “মাহে রমজান”। অতএব, আমাদেরকে সেই মাহে রমজানের জন্য প্রস্তুত হওয়া উচিত।

(লেখক : শিক্ষার্থী, সুফিয়া নুরিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, মিরসরাই, চট্টগ্রাম) 

আমারসংবাদ/এডি