Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫,

খোশ আমদেদ মাহে রমজান

মাওলানা এম এ করিম ইবনে মছব্বির

এপ্রিল ১৭, ২০২১, ১০:৪৫ এএম


খোশ আমদেদ মাহে রমজান

আজ পবিত্র রমজান মাসের চতুর্থ দিন অতিবাহিত হচ্ছে। মহামারি করোনা ভাইরাসের মধ্যে যে আমরা এখনো বেঁচে আছি, সেজন্য মহান আল্লাহর কাছে অগণিত শুকরিয়া আদায় করি।

রমজান মাস হলো সহানুভূতির মাস। রমজান মাসকে হাদিস শরিফে শাহরুল মুয়াছাতি অর্থাৎ সহানুভূতির মাস বলা হয়েছে। অর্থাৎ গরিব-দুঃখীদের প্রতি নম্র ও ভদ্র আচরণ করতে হবে। তাদের জন্য নিজের খাবারের চেয়ে আরো উন্নত মানের সেহরি এবং ইফতারের ব্যবস্থা করতে হবে। করোনাকালীন ইফতার-মাহফিলের আয়োজন না করে সে অর্থটা গরিব, অসহায় ও অনাথ রোজাদারকে দান করা অতীব জরুরি। সহানুভূতি এবং আত্মত্যাগের অসংখ্য ঘটনা সাহাবায়ে কেরামের জীবনে পরিলক্ষিত হয়, যা দেখে আল্লাহর রসুলের (স.) সব সাহাবা উৎসাহিত হতেন অধিকগুণে।

রমজান মাস ছবরের মাস, আর ছবরের বিনিময়ে আল্লাহপাক রেখেছেন জান্নাত। ছবর বা ধৈর্যধারণ মহান আল্লাহর কাছে ইবাদতস্বরূপ। ছবর হলো ইবাদতের অংশবিশেষ। রমজান মাস পরস্পরের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ ও সদ্ব্যবহার করার মাস। রমজান মাসে মুমিনদের রিজিক বর্ধিত করা হয়। যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, তার গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হবে। এতে রোজাদারের সওয়াবের কোনো কম হবে না। সাহাবায়ে কেরাম নবিয়ে করিমকে (স.) আরজ করলেন, ইয়া রসুলাল্লাহ (স.), আমাদের মধ্যে সবার তো আর রোজাদারকে ইফতার করানোর সামর্থ্য নেই।

তদুত্তরে রাসুল (স.) বললেন, একটা খেজুর বা একটু দুধ অথবা পানির শরবত দিয়ে ইফতার করালেও চলবে। রমজান মাসে যে ব্যক্তি তার অধীনস্থ লোকদের প্রতি সদয় ব্যবহার করে তার গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হয়। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (র.) বর্ণনা করেন যে, রসুলপাক (স.) সমগ্র মানবজাতির মধ্যে সবচাইতে উদার এবং দানশীল ছিলেন। রমজান মাসে রসুলে আকরাম (স.)-এর নিকট ফিরিশতা হজরত জিবরাইল (আ.) নিয়মিত আসতেন, তখন রসুলে পাকের (স.) দানশীলতা আরো বহু গুণে বৃদ্ধি পেত (বুখারি ও মুসলিম)।

রসুল (স.) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি নিজের পেটভরে আহার করে অথচ তার প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত অবস্থায় থাকে সে প্রকৃতপক্ষে ইমানদার নয় (বাইহাকি)। রসুল (স.) উম্মতদের বাস্তব শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে ছাদাকাহ-খয়রাতের হাত খুব বেশি বেশি প্রসারিত করতেন। রমজান মাসটিকে বিশ্বনবি (স.) দানশীলতার বিষয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণের মাস হিসেবে গ্রহণ করেছেন।

(লেখক: অতিথি অনুবাদক, মক্কা আল মুকাররামাহ্ ও সাবেক খতিব, জাতীয় সংসদ জামে মসজিদ, ঢাকা)

আমারসংবাদ/এডি