Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

কবরে শিশুদের সওয়াল-জওয়াব 

ধর্ম ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২১, ০৩:৪০ পিএম


কবরে শিশুদের সওয়াল-জওয়াব 

কবরে কি শিশুদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে—এমন প্রশ্নের সরাসরি জবাব হলো, না। শিশুরা কবরে জিজ্ঞাসিত হবে না। কেননা, শিশু ভালো-মন্দ কিছু পার্থক্য করতে পারে না। তাহলে তাদের কিভাবে জিজ্ঞেস করা হবে?

তবে রাসুল (সা.) কখনো কখনো শিশুর কবরের আজাব থেকে রক্ষার জন্য দোয়া করেছেন। এটি রূপক অর্থে, আক্ষরিক অর্থে নয়। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) একটি শিশুর জানাজার সালাত আদায় করেন, তাকে এ দোয়া পড়তে শোনা গেছে, ‘হে আল্লাহ, আপনি তাকে কবরের আজাব থেকে রক্ষা করুন।’ (মুয়াত্তা মালিক, হাদিস : ৭৭৬)

এখানে কবরের আজাব মানে কবরের শাস্তি নয়। কেননা আল্লাহ কাউকে গুনাহ ছাড়া শাস্তি দেবেন না। আর শিশুদের গুনাহ নেই; বরং এখানে কবরের আজাব মানে অন্যের কারণে মৃত ব্যক্তির যে কষ্ট হবে সে কষ্ট—যদিও তার কর্মের কারণে কবরে শাস্তি হবে না।

এ ধরনের ‘আজাবের’ কথা বর্ণনা অন্য হাদিসেও বর্ণিত আছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মৃত ব্যক্তিকে তার জন্য বিলাপের কারণে কবরে আজাব দেওয়া হয়। (বুখারি, হাদিস : ১২৮৬)

অর্থাৎ সে জীবিত ব্যক্তির কান্নার কারণে ব্যথিত হয় ও কষ্ট পায়, জীবিত ব্যক্তির গুনাহের কারণে তাকে শাস্তি দেওয়া হয় না। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর কোনো ভারবহনকারী অন্যের ভার বহন করবে না।’ (সুরা আল-আনআম, আয়াত : ১৬৪)

এভাবে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সফর আজাবের অংশবিশেষ।’ (মুসলিম, হাদিস : ১৯২৭)

সুতরাং আজাব শাস্তির চেয়ে ব্যাপক। নিঃসন্দেহে কবরে অনেক দুঃখ-কষ্ট, দুশ্চিন্তা, হতাশা থাকবে, যার প্রভাব শিশুর মধ্যে পরিলক্ষিত হতে পারে। অতএব আল্লাহর কাছে কবরের আজাব থেকে শিশুর জন্য পানাহ চাওয়া বৈধ। আল্লাহই অধিক জ্ঞাত।

আমারসংবাদ/আরএইচ