Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪,

প্রতিবন্ধী না হয়েও প্রতিবন্ধী কোটায় চাকরি নেয়ার অভিযোগ

শুভ কুমার ঘোষ, সিরাজগঞ্জ 

নভেম্বর ২৪, ২০২০, ০২:৫০ পিএম


প্রতিবন্ধী না হয়েও প্রতিবন্ধী কোটায় চাকরি নেয়ার অভিযোগ

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে তথ্য গোপন করে এতিমখানার নিবাসী ও প্রতিবন্ধী না হয়েও ওই কোটায় চাকরি নেয়ার অভিযোগ উঠেছে মো. মোহাব্বত হোসেন নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে জনস্বার্থে ওই এলাকার মো. সবুজ সরকার নামের এক যুবক সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৩০ আগস্ট সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে ইউনিয়ন পরিষদ সমূহের হিসাব-সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ প্রাপ্তদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। এদের মধ্যে রায়গঞ্জ উপজেলার ঘুড়কা ইউনিয়নের চকগোবিন্দপুর গ্রামের ইসাহাক হোসেন সেখের ছেলে মো. মোহাব্বত হোসেন সেখ এতিমখানার নিবাসী ও শারীরিক প্রতিবন্ধী না হয়েও উক্ত কোটায় নিয়োগ পান। 
বর্তমানে সে উল্লাপাড়া উপজেলার বাঙ্গালা ইউনিয়ন পরিষদে কর্মরত রয়েছেন। ওই অভিযোগে উল্লেখ করা হয় প্রতিবন্ধী না হয়েও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে এতিমখানার নিবাসী ও শারীরিক প্রতিবন্ধী কোটায় হিসাব সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি নিয়ে মোহাব্বত হোসেন বহাল তবিয়তে থেকে সরকারি সকল সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করছে।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মোহাব্বত হোসেন নামের ওই ব্যক্তি উপজেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীর যোগ-সাজসে শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ্য ও স্বাভাবিক থাকলেও সে শ্রবণ প্রতিবন্ধী হিসেবে তালিকায় অর্ন্তভূক্ত হয়। সেই তালিকাকে কাজে লাগিয়ে মোহাব্বত হোসেন তথ্য গোপন করে এতিমখানার নিবাসী ও শারীরিক প্রতিবন্ধী কোটায় চাকরি নেন।

এ বিষয়ে মোহাব্বত হোসেনের ভাবী লুৎফর রহমানের স্ত্রী খাদিজা বেগম বলেন, আমার দেবর মোহাব্বত হোসেন কোনদিনও এতিমখানায় ছিলেন না এবং সে প্রতিবন্ধীও নয়। আমার শ্বশুর গত দুই বছর পূর্বে মারা গিয়েছেন।

এ ব্যাপারে মোহাব্বত হোসেন তথ্য গোপন করে চাকরি নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, জন্মগতভাবে আমি বাম কানে কম শোনার কারণে ইউনিয়নের প্রতিবন্ধীর তালিকায় শ্রবণ প্রতিবন্ধী হিসেবে আমার নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সে কারণে প্রতিবন্ধী কোটায় আমার চাকরি হয়েছে। এ বিষয়ে কিছু জানার থাকলে জেলা
প্রশাসকের নিকট গিয়ে জেনে নিন।

ঘুড়কা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান সরকার বলেন, আমার ইউনিয়নে প্রায় সাড়ে ৪'শ বিভিন্ন প্রতিবন্ধীর নামের তালিকা রয়েছে। সেখানে ওই নামে কোন ব্যক্তির নাম নেই।

রায়গঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আমিরুল আলম বলেন, অভিযোগপত্রের অনুলিপি পেয়েছি। তবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ বলেন, অভিযোগপত্র পেয়ে সংশ্লিষ্ট সমাজসেবা কর্মকর্তাকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্তে সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আমারসংবাদ/কেএস