গাজীপুর প্রতিনিধি
জানুয়ারি ২২, ২০২১, ০১:৪০ পিএম
গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে এক বন্দীর নারীসঙ্গের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।
অভিযোগ, কারাগারে থাকা হলমার্ক গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমদকে কারা কর্মকর্তাদের কক্ষেই নারীসঙ্গের ব্যবস্থা করা হয়। প্রাথমিকভাবে এ ঘটনার সত্যতা পেয়েছে জেলা প্রশাসন।
গাজীপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ওই ঘটনায় গত ১২ জানুয়ারি গাজীপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম) আবুল কালামকে প্রধান করে গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উন্মে হাবিবা ফারজানা ও ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরীকে নিয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এছাড়া ২১ জানুয়ারি অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক আবরার হোসেনকে প্রধান করে উপসচিব (সুরক্ষা বিভাগ) আবু সাঈদ মোল্লাহ ও ডিআইজি (ময়মনসিংহ বিভাগ) জাহাঙ্গীর কবিরকে সদস্য করে আরও একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম) আবুল কালাম বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে ওই ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।
একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে এঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশিত হলে তা নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ওই ফুটেজে দেখা যায়, গত ৬ জানুয়ারি কারাগারে প্রবেশের মাঝে কর্মকর্তাদের অফিস এলাকায় কালো রংয়ের জামাকাপড়র পড়ে সাচ্ছন্দে ঘোরাফেরা করছেন হলমার্ক কেলেংকারীর সঙ্গে জড়িত হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তুষার আহমেদ। তিনি আসার কিছু সময় পর বাইরে থেকে বেগুনি রংয়ের সালোয়ার কামিজ পড়া এক নারী সেখানে প্রবেশ করেন।
কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায় ও ডেপুটি জেলার সাকলাইনের কারাগারে অবস্থানকালেই ওই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে।
দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে কারাগারের দুই যুবকের সঙ্গে ওই নারী কারাগারের কর্মকর্তাদের কক্ষ এলাকায় প্রবেশ করে। তাকে সেখানে রিসিভ করেন খোদ ডেপুটি জেলার সাকলায়েন। ওই নারী সেখানে প্রবেশ করার পর অফিস থেকে বেরিয়ে যান ডেপুটি জেলার সাকলায়েন। অনুমানিক এর ১০ মিনিট পর কারাগারে বন্দি তুষার আহমদকে নিয়ে আসেন।
এ বিষয়ে জানতে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর জেল সুপার রত্না রায়ের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
আমারসংবাদ/জেআই