Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

বাউফলে মা ও ছেলেকে পিটিয়ে গুরুতর জখম

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

জানুয়ারি ৩০, ২০২১, ০১:১০ পিএম


বাউফলে মা ও ছেলেকে পিটিয়ে গুরুতর জখম

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের ঝিলনা গ্রামে সখিনা বেগম (৭০) ও তাঁর ছেলে আবদুর রহমান মিয়াকে (৩২) পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। এতে সখিনা বেগমের বাঁ পা ভেঙে গেছে।

আহত মা ও ছেলেকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে শনিবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে তাঁদেরকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঝিলনা গ্রামের মো. রাজা মিয়ার ছেলে আবদুর রহমানের সঙ্গে প্রতিবেশি আবদুল জলিলের (৫০) জমিজমাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। 

শনিবার সকালে আবদুর রহমানের মা সখিনা বেগমকে অশালীন ভাষায় গালাগাল করেন আবদুল জলিল। এ ঘটনার জেরে দুপুরে আবদুর রহমান পাল্টা আবদুল জলিলকে গালাগাল দেন। এতে ক্ষুব্ধ হন আবদুল জলিল। 

পরে তিনি (আবদুল জলিল) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে তাঁর দুই মো. খলিলুর রহমান (৩৫)ও মো. ফোরকানসহ (৪৫) ছয়-সাত জনের একটি দল আবদুর রহমানকে তাঁর ঘর থেকে টেনেহেচরে বাহিরে নিয়ে এলোপাতাড়ি পিটাতে থাকে। 

ছেলেকে বাঁচাতে মা সখিনা বেগম এগিয়ে গেলে তাঁকেও এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। স্থানীয় লোকজন আহত অবস্থায় মা ও ছেলেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নূপুর আক্তার বলেন, 'দুজনই গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে সখিনা বেগমের বাঁ পায়ের হাটুর নিচের অংশের হাড় ভেঙে বের হয়ে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য দুজনকেই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।'

এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আবদুল জলিল। তিনি দাবি করেন, ওই ঘটনার সঙ্গে তিনি এবং তাঁদের কোনো লোক জড়িত না।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,'অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।'

আমারসংবাদ/এআই