বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২১, ০৩:১৫ পিএম
হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার পুটিজুরীতে প্রেমের টানে হিন্দুধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে মুসলিম ছেলের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন নীলা চক্রবর্তী।
সূত্রে জানা যায়, উপজেলার স্নানঘাট ইউনিয়নের গাংধার গ্রামের গৌরী শংকর চক্রবর্তীর কন্যা নীলা চক্রবর্তী (১৮) এর সাথে দীর্ঘ দিন ধরে পুটিজুরী ইউনিয়নের যাদবপুর গ্রামের ফটিক মিয়ার পুত্র জোবায়েদ মিয়া (২২) এর প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। ক্লাস সিক্স থেকে দু'জন পুটিজুরী শরৎচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়া লেখা করেছে এক সাথে। ওই সুবাদেই দু'জনের মনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। কিন্তু তাদের প্রেমর সম্পর্ক দীর্ঘদিন যাবত ধরে চলে আসছিল বলে একটি নির্ভর যোগ্য সূত্রে জানা গেছে। আর এই ভালবাসার জের ধরে নীলা চক্রবর্তী গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে ঘর ছেড়ে হবিগঞ্জ জজ কোর্টে এডভোকেট আজিজুর রহমানের কার্যালয়ে হাজির হয়ে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে এভিডেভিট করে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেন নীলা চক্রবর্তী।
এভিডেভিট নামায় নীলা চক্রবর্তী ইসলাম ধর্মের নামনুসারে এখন সালমা আক্তার নাম ধারণ করেছেন, পরে তারা উভয়ের সম্মতিতে গত ১৮/০২/২০২১ তারিখে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে এভিডেভিট সম্পন্ন করে হবিগঞ্জ পৌরসভার কাজী মাওঃ মোঃ জসিম উদ্দিন চৌধুরীর মাধ্যমে ৩ লক্ষ টাকা দেন মোহর সাব্যস্থ করিয়া ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন, যার কপি গতকাল রেজিষ্ট্রি ডাক যোগে ছেলের পিতার নিকট পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার পর থেকে পালিয়ে যাওয়া ছেলে মেয়ে এখনো নিরুদ্দেশ রয়েছেন। এদিকে এ ঘটনায় ছেলে-মেয়ের উভয় পরিবার তাদের সন্ধানে খোঁজাখুঁজি অব্যাহত রেখেছেন।
এ বিষয়ে ছেলের পিতা ফটিক মিয়া বলেন, বুধবার দুপুরে আমার পুত্র জোবায়েদ মিয়া রেজিষ্ট্রি ডাকযোগে তার বিবাহের যাবতীয় ডকুমেন্ট আমার কাছে পৌঁছালেও আামি দুশ্চিন্তামুক্ত হতে পারছি না। কারণ সে কোথায় আছে, কেমন আছে তা আমি কিছুই জানি না। এ ঘটনায় এলাকায় আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
আমারসংবাদ/কেএস