Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

খুলনার খাদ্যগুদামে দশ হাজার মেট্টিক টন চালের মজুদ

বিএইচ সজল, খুলনা প্রতিনিধি

মার্চ ২৫, ২০২১, ১১:২৫ এএম


খুলনার খাদ্যগুদামে দশ হাজার মেট্টিক টন চালের মজুদ

এ বছরের শুরুতেই মোটা ও চিকন চালের সংকট থাকলেও সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি হওয়ায় তা কেটে গেছে। বেসরকারি পর্যায়ে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে সরকার ৯২ হাজার মেট্টিক টন চাল আমদানির অনুমতি দেয়। সরকারি পর্যায়ে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। খুলনার দু’টি কেন্দ্রীয় খাদ্যগুদামসহ আটটি এলএসডি গুদামে দশ হাজার সাতশ’ ২৭ মেট্টিক টন চাল মজুদ রয়েছে। 

খুলনার সরকারি গুদামগুলোতে চালের মজুদ তলানীতে নেমে আসায় সংশ্লিষ্টরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। সংকট কাটাতে সরকার ভারত থেকে এক লাখ মেট্টিক টন চাল আমদানির উদ্যোগ নেয়। তার প্রথম দফায় সাড়ে তিন হাজার ও দ্বিতীয় দফায় পাঁচ হাজার মেট্টিক টন সিদ্ধ চাল খুলনার গুদামগুলোতে মজুদ রয়েছে। পাশাপাশি জেলার ১৪ জন আমদানিকারককে জানুয়ারি মাসে ৪৯ হাজার পাঁচশ’ মেট্টিক টন এবং ফেব্রুয়ারি মাসে ৪৩ হাজার মেট্টিক টন চাল আমদানির অনুমতি দেয়। আমদানিকারকরা এলসি খোলার পর বিপাকে পড়ে। বেনাপোল ও ভোমরা শুল্ক বন্দরে চাল বোঝাই ট্রাক আটকা পড়েছে। তাতে আমদানিকারকদের খরচ বাড়ছে।

জানুয়ারি মাসের তুলনায় মার্চ মাসে মোটা ও চিকন চালের মূল্য কেজি প্রতি গড়ে দু’ থেকে তিন টাকা করে কমেছে। বাজার মূল্য স্থিতি রাখতে খুলনা মহানগর এলাকার ২০টি পয়েন্টে ওএমএস’র চাল বিক্রি হচ্ছে। জানুয়ারি মাসে স্থানীয় মিস্ত্রীপাড়া ও বড়বাজারে প্রতি কেজি স্বর্না চালের মূল্য ৪১-৪৩ টাকা এবং মিনিকেট চাল ৬১-৬৩ টাকা দরে বিক্রি হয়।

খাদ্য অধিদপ্তরের সূত্র জানান, মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে মোটা চাল ৪১-৪২ টাকা দরে এবং মিনিকেট ৫৯-৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়। এদিকে চালের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সরকারের আমদানিকৃত চালের প্রথম চালান ফেব্রুয়ারি মাসে এবং দ্বিতীয় চালান মার্চ মাসে মোংলা বন্দরে পৌঁছায়। আমদানিকৃত চাল খুলনার কেন্দ্রীয় খাদ্য গুদাম ছাড়াও উত্তরবঙ্গে পাঠানো হয়। আমদানিকৃত চাল পুলিশ, নৌ-বাহিনী, বিজেপি, আনসার ও জেলখানায় সরবরাহ করা হয়। 

স্থানীয় ব্যবসায়িদের সূত্র জানায়, সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমানি করার ফলে মূল্যও কমতে শুরু করেছে। 

শেখপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলাম খোকন জানান, খুলনা নগরীর ২০টি পয়েন্টে ওএমএস’র চাল দেয়ার পর থেকে মূল্য কমতে শুরু করেছে। 

তিনি বলেন, বিশেষ করে স্বর্না জাতের চাল কেজি প্রতি গড়ে দেড় টাকা থেকে দুই টাকা কমেছে। আগামী মাসের শেষ দিকে বাজারে বোরো আসতে শুরু করবে। ফলে দাম আরও কমবে।

খুলনা জেলা সহকারী খাদ্য কর্মকর্তা জানান, ৫ জানুয়ারি থেকে শিপইয়ার্ড, চাঁনমারী, নতুন বাজার, জোড়াকল বাজার, মিস্ত্রীপাড়া বাজার, নিউ মার্কেট ছোট বয়রা, আলমনগর এলাকাসহ ২০টি পয়েন্টে সপ্তাহের ৬দিন ২০ মেট্টিক টন করে চাল বিক্রি হচ্ছে। ওএমএস’র এ চালের মূল্য কেজি প্রতি ৩০ টাকা।

আমদানিকারক ফুলতলা বাজারের এমআর এন্টারপ্রাইজের মালিক মোঃ শফিয়ার রহমান জানান, এলসি খোলার পর ৩ হাজার মেট্টিক টন চাল ইতিমধ্যেই আমদানি হয়েছে। বেনাপোল বন্দরের বিপরীতে ভারতের পেট্টাপোলে ট্রাক বোঝাই চাল ১২-১৫ দিন এবং ভোমরা শুল্ক স্টেশনের বিপরীতে খোজাডাঙ্গায় যানজটের কারণে ২৭-২৮ দিন সময় লেগে যায়। এতে পরিবহন খরচ বাড়ে। 

তিনি আরও বলেন, চাল আমদানির ফলে প্রতি কেজি স্বর্ণা ৪৪-৪৫ টাকার স্থলে সাড়ে ৪১-৪২ টাকা দরে এবং মিনিকেট প্রতি কেজি ৫৭-৫৮ টাকার পরিবর্তে ৫৩-৫৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

আমারসংবাদ/কেএস