Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

সাংবাদিক জিএম মুছার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি

বরগুনা প্রতিনিধি

মার্চ ২৭, ২০২১, ০৯:৫০ এএম


সাংবাদিক জিএম মুছার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি

বরগুনার আমতলী প্রেসক্লাব সাবেক সভাপতি দৈনিক আমার সংবাদের উপজেলা প্রতিনিধি পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর জিএম মুছা ও উপজেলা যুবলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফাহাদের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। 

উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের উদ্যোগে শনিবার (২৭ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১ টায় আমতলী উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে মানববন্ধন ও বিক্ষোভে মিছিল করা হয়। এতে কয়েক শত নারীসহ অন্তত এক হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করে। 

জানা গেছে, উপজেলা যুবলীগ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফাহাদ এক পুলিশ কর্মকর্তার সাথে সোমবার বিকেলে থানার সামনে একটি চায়ের দোকানে বসে চা পান করতেছিল। ওই সময় উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম মৃধা ওই চায়ের দোকানে প্রবেশকালে পুলিশ কর্মকর্তার সাথে তার ধাক্কা লাগে। এতে আওয়ামী লীগ নেতা পুলিশ কর্মকর্তার উপর ক্ষেপে যান। 

এ ঘটনায় যুবলীগ নেতা ফাহাদ পুলিশ কর্মকর্তার পক্ষ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের সাথে তর্কে জড়িয়ে পরেন। এক পর্যায় তাকে লাঞ্ছিত করে যুবলীগ নেতা ফাহাদ এমন দাবি মুক্তিযোদ্ধার। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওইদিন সন্ধ্যায় যুবলীগ নেতা ফাহাদকে মারধর করে নুরুল ইসলামের লোকজন। বর্তমানে ফাহাদ বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ফাহাদ বাদী হয়ে আবুল কালাম আজাদসহ ১১ জনের নামে আমতলী থানায় মামলা দায়ের করেন। যুবলীগ নেতার করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে গত বুধবার মুক্তিযোদ্ধারা মানবন্ধন করে। 

এই ঘটনার চার দিন পর শুক্রবার রাতে শাহাবুদ্দিন শিহাব নামের একজন যুবলীগ নেতা ফাহাদকে প্রধান এবং আমতলী পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর সাংবাদিক জিএম মুছাকে আসামি করে ১৬ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। 

এ ঘটনার পরপরই ফুসে উঠে আমতলীর মানুষ। শাহাবুদ্দিন শিহারের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের উদ্যোগে শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় আমতলী উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে মানববন্ধন ও বিক্ষোভে মিছিল করা হয়। 

বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান কবিরের সভাপতিত্বে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম ছরোয়ার ফোরকান, আমতলী সরকারী কলেজের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক মোঃ আবুল হোসেন বিশ্বাস, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, জেলা পরিষদ সদস্য পৌর যুবলীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট আরিফ-উল হাসান আরিফ,উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আলমগীর কবির মোল্লা, উপজেলা আওয়ামীলীগ দপ্তর সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার ফকির, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জিএম ওসমানী হাসান, উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন খাঁন, আওয়ামীলীগ নেতা সামসুর রহমান গাজী, উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক জাহিদ দেওয়ান, লাঞ্ছিত মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের ছোট ভাই জাহিদুল ইসলাম মিঠু মৃধা,সাবেক চাওড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি মোঃ আলতাফ হোসেন হাওলাদার প্রমুখ। 

মানববন্ধন শেষে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। মানববন্ধনে বক্তারা শাহাবুদ্দিন শিহাবের করা এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।          
   
আহত উপজেলা যুবলীগ যুগ্ম সাধারণ মোঃ ফাহাদ বলেন, আমি মামলা করায় পরে শাহাবুদ্দিন শিহাব নামে একজন আমাকে ও পৌর আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর জিএম মুছাসহ ১৬ জনের নামে মামলা দায়ের করেছে। যা সম্পুর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এ মামলার বাদী শাহাবুদ্দিন শিহাবকে আমি চিনি না। রাজনৈতিকভাবে হয়রানী করার জন্য এ মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমি এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানাই।

আমতলী  পৌর আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর জিএম মুছা বলেন, আমাকে রাজনৈতিকভাবে হয়রানী করতে এ মিথ্যা মামলায় আমাকে ফাসানো হয়েছে। এ ঘটনার সাথে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। 

তিনি আরো বলেন, এই মামলায় যাকে বাদি করা হয়েছে তাকে আমি চিনি না। এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাই। 

আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, ফাহাদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আমারসংবাদ/এআই