Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে হামলা, অগ্নিসংযোগ

মো.আশিকুর ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

মার্চ ২৮, ২০২১, ১২:৩৫ পিএম


ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে হামলা, অগ্নিসংযোগ

হেফাজতে ইসলামের ডাকা সারাদেশে হরতালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর ও আগুন দিয়েছে হরতাল সসমর্থকেরা। 

এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়। এসময় সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। 

রোববার (২৮ মার্চ) সকাল ১১ টা থেকে জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় এই হামলা, ভাংচুর ও আগুন দেয়াসহ সংঘর্ষ শুরু হয়। 

এর আগে সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালন করছিল হেফাজতের নেতাকর্মীরা। বেলা বাড়ার সাথে সাথে হামলা ও আগুন দেয়া শুরু করে নেতাকর্মীরা। 

সকালেই বিক্ষোভ মিছিল থেকে শহরের পীরবাড়ি এলাকায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষ শুরু হয়।

একই সময়ে শহরের পৈরতলায় পুলিশ ও বিজিবির সদস্যদের সাথে সংঘর্ষ হয়৷ একপর্যায়ে হামলাকারীরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন এর বাড়িতে আগুন, সভাপতি রবিউল ইসলাম রুবেলের বাড়িতে আগুন, জেলা পরিষদ ভবনে আগুন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভায় ভাংচুর ও আগুন, ধীরেন্দ্র নাথ ভাষা চত্তরের বিভিন্ন লাইব্রেরিতে আগুন, আওয়ামী লীগ অফিসে ভাংচুর ও আগুন, মুক্তমঞ্চে আগুন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব ভাংচুর, কালীবাড়ি মন্দিরের ভাংচুর, ব্যাংক এশিয়ার ফটকে ভাংচুর, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খা সংগীতাঙনে ভাংচুর, সদর উপজেলা ভূমি অফিসে ভাংচুর করেছে হামলাকারীরা। 

[media type="image" fid="117415" layout="normal" caption="1" infograph="0" parallax="0" popup="1"][/media]

এদিকে জেলার আশুগঞ্জে টোল প্লাজা ভাংচুর শেষে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়কের বাড়ি ভাংচুর করে মাদ্রসার ছাত্ররা। হামলাকারীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামির উপর হামলা চালায়। 

পরে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। হামলা ও অগ্নিসংযোগের ছবি তুলতে গেলে ক্যামেরা ও মোবাইল  ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তবে জেলা শহরে হামলার সময় পুলিশের কোন অবস্থান ছিল না। 

এদিকে প্রেসক্লাবে হামলার সময় অন্তত ২০ জন সাংবাদিক প্রেসক্লাবে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে হামলাকারীরা প্রেসক্লাবে ভাংচুর করে চলে যায়। 

[media type="image" fid="117416" layout="normal" caption="1" infograph="0" parallax="0" popup="1"][/media]

এসব বিষয়ে কথা বলার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান এর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।  

আমারসংবাদ/এআই