Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে মানবিক সহায়তা প্রদান

নিজস্ব প্রতিনিধি

এপ্রিল ১, ২০২১, ০৩:১০ পিএম


ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে মানবিক সহায়তা প্রদান

ফেসবুক পোস্টের জেরে সুনামগঞ্জের শাল্লায় হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুপাটের শিকার নোয়াগাঁও গ্রাম পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে মানবিক সহায়তা প্রদান করেছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল।  

বৃহস্পতিবার (১লা এপ্রিল) দুপুরে তিন সদস্যের ওই প্রতিনিধিদল ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি পরিদর্শন করেন। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল এবং কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ উপকমিটির সমন্বয়ক ডা হেদায়েতুল্লা বাদল ও সদস্য নির্মল দেবনাথ।

এ ছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এনামুল কবির, শাল্লা উপজেলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন চৌধুরী প্রমুখ তাঁদের সঙ্গে ছিলেন।

প্রতিনধিদল ৯৯টি পরিবারের প্রত্যেককে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ৩০ কেজিচাল, নগদ ৫ হাজার টাকা  এবং প্রতিটি মন্দিরে ১০হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়।  

নোয়াগাঁও প্রাইমারি স্কুল ত্রাণ বিতরণকালে সুজিত রায় নন্দী বলেন, এখানে যে বর্বরোচিত হামলা হয়েছে তা বলার ভাষা নেই। খুবই দুঃখজনক। এটা গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের বাংলাদেশকে অন্ধকারে নিয়ে যাওয়ার জন্যই এই গভীর ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ আজ সম্প্রীতির বন্ধনে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। 

তিনি বলেন, আজকে যে এই ঘটনা ঘটিয়েছে ওরা কারা? ওরা স্বাধীনতাযুদ্ধে পরাজিত শক্তির প্রেতাত্মারা। এরা বিএনপি, জামাত উগ্রবাদী, মৌলবাদী একটি চক্র। এদেরকে এখনই প্রতিহত করতে হবে। 

তিনি আরও বলেন, জড়িতদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৪০জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। বিএনপি, জামাত, উগ্র মৌলবাদী, মামুনুল হক, বাবুনগরী সবাইকে ধরা হবে। মামুনুল হকের সুর এখন নরম হয়ে আসছে। কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

উল্লেখ্য, গত ১৬ মার্চ নোয়াগাঁও গ্রামের ঝুমন দাস আপন নামের এক যুবকের ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে ১৭মার্চ সকালে গ্রামের হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ৮০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত দেড় হাজার জনকে আসামি করে শাল্লা থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। আহমদ হোসেন তাঁর বক্তব্যে এসব ঘটনা প্রতিরোধ করতে লাঠি হাতে প্রস্তুত থাকতে যুব সমাজের প্রতি আহ্বান জানান। 

তিনি বলেন, ‘ভয় নেই, শেখ হাসিনা আপনাদের সঙ্গে আছেন। যুবকেরা যুদ্ধ করেন আর নেতৃত্ব দেন প্রবীণেরা। হাজার হাজার যুবক লাঠি নিয়ে তৈরি থাকবেন। লাঠি দেখলে সাপ গর্তে ঢোকে আর মৌলবাদীরা দৌড়ে পালায়। বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও মুক্তিযুদ্ধের সৈনিকেরা পরাজয় মানে না। মৌলবাদ, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে। আমরা তৈরি আছি।’

শফিউল আলম চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা এখানে এসেছি। স্থানীয় প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শুরু থেকেই আপনাদের পাশে আছেন। ওয়াজ মাহফিলের নামে, ধর্মের নামে বিদ্বেষ ছড়ানো যাঁদের কাজ; তাঁরা মানবিকতা বোঝেন না, ইসলাম বোঝেন না। তাঁরা ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মধ্যযুগীয় বর্বরতা চালিয়েছেন। তাঁরা দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করতে চান। তাঁরা একাত্তরের পরাজিত শক্তি, তাঁদের প্রতিহত করতে হবে।

আমারসংবাদ/এএসএম