এপ্রিল ১১, ২০২১, ০২:৩০ পিএম
লকডাউনে মহাসড়কে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে হঠাৎ করেই যেন কয়েকগুন বেড়ে গেছে ৩ চাকার দৌরাত্ম্য।
এদিকে মালামাল পরিবহনের জন্য ট্রাক রাস্তায় স্বাভাবিক নিয়মে চলাচল করার ফলে স্বাভাবিক ভাবেই যেকোনো মুহুর্তে বড় কোনো দুর্ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে মাঝে মধ্যেই গাড়ী চাপায় সিএনজি ও অটোভ্যানের যাত্রী মারা গেলেও সেই পরিবহন গুলো যেন নিয়ন্ত্রন করা যাচ্ছে না।
আর এখন বাস বন্ধ থাকায় তাদের যেন মহোৎসব লেগে গেছে। পাশাপাশি যোগ হয়েছে মহাসড়কে অসংখ্য ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল। যারা সচরাচর ৩ জন যাত্রী নিয়ে (আরোহী সহ) রাস্তা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
সরেজমিনে সিরাজগঞ্জের মহাসড়কের সয়দাবাদ, কড্ডার মোড়, নলকা, পাচলিয়া, হাটিকুমরুল গোলচত্বর, ভূইয়াগাতী, চান্দাইকোনা সহ পুরো এলাকা ঘুরে একই চিত্র দেখা গেছে। সিএনজি চালকরা মহাসড়ক দাপিয়ে বেড়ানোর পাশাপাশি যাত্রীদের জিম্মি করে ভাড়াও নিচ্ছেন ইচ্ছে মর্জিতে।
হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় ঢাকামুখী, বগুড়ামুখী ও পাবনামুখী মহাসড়কের ধারে সর্বদাই যাত্রী তোলানামা ও যাত্রীর অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে অন্তত শতাধিক মোটরসাইকেল। একটু দূর দিয়েই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় সিএনজি অটোরিকশাও।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক যাত্রী বলেন, বিশেষ প্রয়োজনে দূরে কোথাও যাওয়ার প্রয়োজনে বের হয়েছি। কিন্তু বাস বন্ধ থাকায় বাধ্য হয়েই অটোভ্যানে যেতে হচ্ছে।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শাহজাহান আলী আমার সংবাদকে বলেন, আমি নিজে মহাসড়কে থেকে আমাদের কর্মকর্তাগণ সহ সবাই মিলে এগুলো দমনে কাজ করে যাচ্ছি। যতগুলো এমন পরিবহন আমার চোখে পড়েছে সবগুলোর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি। মহাসড়কে তিন চাকার কোনো যান চলতে দেয়া হবে না। এতে আমরা সর্বোচ্চ কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, গোলচত্বর এলাকায় বা আশেপাশে কোনো ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল নেই। থাকলেও আমাদের নজর এড়াতে দূরে থাকতে পারে।
সিরাজগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের কড্ডা মহাসড়ক এলাকার দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) মোঃ আব্দুল গণি আমার সংবাদকে বলেন, আমরা প্রতিদিনই এদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি। আজকেও অনেকের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হয়েছে। আগামীকাল থেকে তাদের বিরুদ্ধে আরও জোড়দার ব্যাবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
আমারসংবাদ/এআই