Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

লাকসামে জোর পূর্বক ভূমি দখল, থানায় মামলা

লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

এপ্রিল ১২, ২০২১, ১১:১৫ এএম


লাকসামে জোর পূর্বক ভূমি দখল, থানায় মামলা

কুমিল্লার লাকসাম উপজেলায় মুদাফরগঞ্জ উত্তর ইউপির সাতবাড়িয়া গ্রামের আবদুল মতিন, পিতা-মৃত: মনোহর আলী, এ্যাসিল্যান্ডের আদেশ অমান্য করে জোর পূর্বক আবদুল জব্বারের ভূমি দখল করেন। গতকাল রোববার সকালে জোর পূর্বক পাশ্ববর্তী গ্রামের আবদুল জব্বার ভুইয়া, পিতা- মৃত: আবদুস ছোবহান, গ্রাম-বাউরতলার ক্রয়কৃত সম্পত্তির মধ্যে জোর পূর্বক চাষ দিয়ে ধনেছা বিজ বপন করে। 

আবদুল মতিন জিন্নত আলীর অজান্তে ২০০১ ইং তারিখে ১১৩৬৬ নং দলিল মূলে ১৮ শতক সম্পত্তি দলিল করে। জিন্নত আলী একজন সহজ সরল লোক ছিলেন পাশ্ববর্তি জমির ভুল সংশোধনের কথা বলে তার নিকট হতে এমন দলিল সৃষ্টি করে আবদুল মতিন। জিন্নত আলী বিষয়টি জানতে পেরে আবদুল মতিনের ২০০১ ইং তারিখে ১১৩৬৬ নং দলিলটি সে প্রদান করে নাই মর্মে মোকাম কুমিল্লার বিজ্ঞ লাকসাম সিনিয়ার সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন। মামলা নং- ৪৮/১৬, তারিখে - ২৩/৬/২০১৬ ইং তার মৃত্যুর পর মামলাটি পরিচালনা না করার কারনে আদালত খারিজ করে দেন। 

কিন্তু আবদুল মতিন লোক সমাজে বলেন, তিনি আদালতের রায় পেয়ে সম্পত্তিতে দখলে এসেছেন। পূর্বের ক্রয়কৃত আবদুল জব্বার ভুইয়া ২৮/০৭/১৯৯১ ইং সালে ১১৯১৯ নং দলিল মুলে মৃত: ছুরুত আলী, পিতা- মৃত: জুলফে আলীর নামীয় উত্তর সাতবাড়িয়া মৌজার বি.এস. চূড়ান্ত ৭২নং খতিয়ান হতে ছুরুত আলীর মৃত্যুর পর তার ছেলে জিন্নত আলী হতে ১৩৭ দাগে ৪৩ শতকের আন্দরে ৩০ শতক সম্পত্তি। বর্তমানে আবদুল জব্বারের নামে ২৬৮ নং খারিজ খতিয়ান ভুক্ত। আবদুল মতিন ২৬৮নং খারিজ খতিয়ানের বিরুদ্ধে ০৭/০৮/২০১৯ ইং তারিখে বিবিধ মামলা নং- ২৪/২০১৯-২০ এবং নামজারী জমাখারিজ মোকাদ্দমা নং-৮০৭/২০১৮-১৯ আপত্তি দাখিল করেন। 

লাকসাম উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) নোটিশের মাধ্যমে উভয় পক্ষকে হাজির করে কাগজপত্র যাচাই পূর্বক আবদুল মতিনের দলিল পরে হওয়ার কারণে আপত্তিটি বাতিল করে আবদুল জব্বারের খতিয়ানটি বহাল রাখেন। উক্ত আদেশের বিষয়ে কোন রুপ শ্রদ্ধাশীল না হয়ে উল্টো আবদুল মতিন আবদুল জব্বারের আবাদী ৩০ শতক জমির ফসল নষ্ট করে ০৪/০৩/২০২১ ইং তারিখে ১৫/১৮ জন লোক নিয়ে জমির পাশে লাগানো ২০/২৫ টি ইউকিলিপ্টার গাছ শিকড় উপড়ে ফেলে দেয়। গতকাল উক্ত ভূমিতে বপনকৃত ধানের উপর ফসলী জমির ক্ষতিকারক ধনেছা গাছ এর বীজ ছিঁটিয়ে দেয় যাতে জমির উর্বরতা নষ্ট হয়। উক্ত বিষয়ে গ্রামে বহুবার শালিশের মাধ্যমে আবদুল মতিনকে এমন কর্মকাণ্ড না করতে বলা হয়। 

আইনের তেয়াক্কা না করে রোববার সকালে আবদুল জব্বারের ৩০ শতক সম্পত্তি হতে ১৮ শতক জোরপূর্বক অপরিচিত ১৬/১৮ জন লোক নিয়ে দখল করেন। আবদুল জব্বারের পরিবার বাঁধা প্রদান করলে তাদেরকে সন্ত্রাসী কায়দায় আক্রমণ করার চেষ্টা করলে তারা জামেলায় না জড়িয়ে লাকসাম থানা ডায়রী করেন, অভিযোগ নং- ৪৯০ তারিখ- ১২/০৪/২০২১ইং ও  এ্যাসিল্যান্ড এর কার্যালয়ে অবগত পূর্বক আইনী সহায়তার আবেদন করেন। 

ভুক্তভুগী আবদুল জব্বারের পরিবার জানান, আবদুল মতিন আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা ও জমির ফসল, গাছপালা নষ্ট করে আমার পরিবারের ৫ লক্ষাধিক টাকা ক্ষতিসাধন করে। আমি আইনের মাধ্যমে ক্ষতিপূরনের দাবি জানাচ্ছি।

সচেতন মহলের মতে, মতিনের মত যারা জাল জালিয়াতের মাধ্যমে সহজ সরল লোকদেরকে যারা হয়রানি করতে চায় তাদের কঠিন শাস্তি হওয়া দরকার। সমাজে শালিসের নামে যারা টাকা উপার্জন করে মানুষকে অন্যায় কাজে উৎসায় যোগায়  তাদেরকে ও আইনের আওতায় আনা উচিৎ।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) উজালা রানী চাকমা জানান, সম্পত্তি দখলের বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আমারসংবাদ/কেএস