ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি
এপ্রিল ১৪, ২০২১, ১০:১৫ এএম
নওগাঁর ধামইরহাটে দিনের পর দিন সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশের জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি অসাধু চক্র এসব সরকারি যায়গা দখল করার ফলে রেহাই পাচ্ছে না সড়কের পাশে থাকা খাল কিংবা পানিনিষ্কাশনের পথ। ফলে হালকা বৃষ্টিতে রাস্তায় হাটু পানি জমে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ জনগনকে। তবে এমন অবৈধ স্থাপনা তৈরীর পরেও নেওয়া হয়না কোন প্রদক্ষেপ এনিয়ে এলাকাবাসীদের মধ্যে বিরাজ করে নানান জল্পনা-কল্পনা।
জানা গেছে, সড়ক ও জনপদ বিভাগের যায়গা দখল করার সর্বশেষ ঘটনা ঘটেছে উপজেলার আমাইতাড়া-নজপিুর আঞ্চলিত মহাসড়কের ফতেপুর নামক বাজারে টিন সেডের ঘর নির্মাণ কাজ দীর্ঘদিন ধরে চলছে। স্থানীয় জমির পাশে কতিপয় ব্যক্তি সড়ক বিভাগের যায়গা ভরাট করে সেখানে গড়ে তুলেছেন টিনশেড অবৈধ স্থাপনা। প্রতিটি ঘরের জন্য নিজ অর্থ এবং জামানত হিসেবে দোকান মালিকের থেকে মোটা টাকা নিয়ে এসব স্থাপনা তৈরীর কাজ চলছে। ফলে কিছুদিন পরপর এসব নির্দেশ অনুযায়ী ভাঙা পড়লে সাধারণ ব্যবসায়ীরা পড়েন ভোগান্তিতে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ওই ফতেপুর বাজার এলাকার রাস্তার পূর্ব পার্শে ১০মিটার এবং রাস্তার পশ্চিম পার্শে ৩০মিটার পর্যন্ত এলাকা সরকারি যায়গার মধ্যে পরেছে। তাতে ওই এলাকার মৃত আব্দুল কুদ্দুস মন্ডলের ছেলে মোফাজ্জল হোসেন, মৃত খিদির শাহ এর ছেলে নাজমুল হক এবং মাসুদ নামের কতিপয় ব্যক্তি টিনসেড দিয়ে ঘর নির্মাণ করে চাস্টল, মুদি দোকানসহ নানান পতিষ্ঠান গড়ে তুলে ওসব ঘর ভাড়া দিয়েছেন। প্রতি ঘরপ্রতি মাসে ৫শত টাকা ভাড়া তোলেন অবৈধ ওসব ঘর থেকে শুধু তাই নয় প্রতিটি ঘর তৈরী করতে দোকান প্রতি জামানত হিসেবে নেয়া হয়েছে মোটা টাকা।
এ বিষয়ে দখলের অভিযুক্ত ব্যক্তি মো. মাসুদ জানান, আমার জোতভুক্ত জমিতে আমি ঘর নির্মাণ করেছি কিছুটা সওজের যায়গা পেয়েছে কোন বাঁধা আসলে যায়গা ছেড়ে দিব বলে স্বীকার করেন তিনি।
স্থানীয় এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, সড়কের পাশে খাল মাটি কেটে ভরাট করে এসব অবৈধ স্থাপনা তৈরী করা হয়েছে ফলে বর্ষা মৌসুমে রাস্তার পানি নিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হবে দ্রুত এসব থেকে প্রতিকার চান তারা।
এ বিষয়ে নওগাঁ জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজেদুর রহমান জানান, অবৈধ স্থাপনা দখল করে যারা ঘর নির্মাণ করেছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আমারসংবাদ/কেএস