পরকিয়া প্রেমের প্রতিবাদ করায় প্রাণ গেল গৃহবধূর

পরকিয়া প্রেমের প্রতিবাদ করায় স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের নির্যাতনে গৃহবধূ রুমা আক্তারকে (২৪) হত্যার পর মুখে বিষ ঢেলে আত্মহত্যা বলে প্রচার চালিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে স্বামীসহ শ্বশুড় বাড়ির লোকজন। 

গৃহবধূর স্বজনদের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর রুমার মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার চালিয়েছে তারা। 

মঙ্গলবার (১৩এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের সলিং মোড় এলাকায় গৃহবধূর স্বমীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।  

নিহত রুমা আক্তার একই ইউনিয়নের পাশের সিংদিঘী গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ে। স্বামী ইমরুল হাসান আয়নাল (৩৩) সলিং মোড় এলাকার নজর আলীর ছেলে। তাদের সংসারে ইফতেখার হাসান রুহান (৭) এক ছেলে রয়েছে।

নিহতের ভাই ইমরান হাসান (২০) জানান, পারিবারিকভাবে প্রায় ৯বছর আগে উভয় পরিবারের সম্মতিতে সলিং মোড় এলাকার নজর আলীর ছেলে যোগাযোগ করবে না সাথে তার বোনের বিয়ে হয়। বিয়ের তিন বছর পর একটি মেয়ের সাথে সম্পর্কের কথা জানতে পারে স্ত্রী রুমা আক্তার। এ নিয়ে উভয় পরিবারের লোকজন বসে মীমাংসা করে দেয় এবং ওই ময়ের সাথে কোনো ধরনের যোগাযোগ করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেয় স্বামী ইমরুল হাসান আয়নাল। বিয়ের আগে থেকেই ওই মেয়ের সাথে আয়নালের সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে প্রায়ই তাদের মাঝে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকতো। গত ৬ এপ্রিল ইমরুলের জন্মদিন উপলক্ষ্যে তার প্রেমিকা মুঠোফোনে জন্মদিনের শুভেচ্ছা পাঠায়।  

মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রী’র মধ্যে পুনরায় কথা কাটাকাটি হলে স্বামী ইমরুলসহ তার পরিবারের লোকজন রুমাকে মারধোর করে। এক পর্যায়ে রুমার মৃত্যু হলে তার মুখে বিষ ঢেলে স্বামীসহ শ্বশুড় বাড়ির লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে স্বজনেরা এসে রুমার লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়। 

শ্রীপুর থানার মাওনা পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল্লাহ জানান, সুরতহালে নিহত গৃহবধূর শরীরের কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে, লাশের গায়ে বিষের গন্ধ পাওয়া গেছে। প্রাথমিক তদন্তে গৃহবধূ বিষপানে আত্মহত্যা করেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা। 

আমারসংবাদ/কেএস