Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

সখীপুরে ঝড়ে যাচ্ছে আমের গুটি!

আমিনুল ইসলাম,সখীপুর(টাঙ্গাইল)

এপ্রিল ১৫, ২০২১, ১১:০০ এএম


সখীপুরে ঝড়ে যাচ্ছে আমের গুটি!

ছোট ছোট আমের গুটিতে ভরে উঠেছে টাঙ্গাইলের সখীপুরের আম বাগানগুলো। গাছের ডালে ডালে ঝুলে থাকা নানা জাতের আম বড় হওয়ার সাথে সাথে যেন বাস্তবতায় রূপ নিচ্ছে উপজেলার আম বাগান মালিকদের স্বপ্ন। 

তবে সম্প্রতি বেশ কিছু বাগানে আম ঝরে যাওয়ার সমস্যায় চিন্তিত তারা। প্রতিষেধক দিয়েও কোন কাজ হচ্ছেনা বলে জানান তারা।

সখীপুরে এবার মুকুল বেশ ভালো হলেও মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টির না হওয়াযর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপজেলার কিছু আমবাগান। তবে সার্বিকভাবে ফলন আশাব্যঞ্জক। আম্রপালি,বারি ৪ ও ফজলিসহ নানা জাতের সুমিষ্ট সব আম ঝুলছে গাছে। 

ভালো ফলনের আশায় দিনরাত পরিচর্যা চালিয়ে গেলেও সম্প্রতি বেশ কিছু বাগানে দেখা দিয়েছে আম ঝরে যাওয়া সমস্যা। কোন প্রতিষেধক দিয়েও সমাধান হচ্ছেনা বলে জানিয়েছেন বাগান মালিকরা।

উপজেলা  কৃষি অফিস সূত্রে জানায়, আম ঝরা সমস্যাকে 'ন্যাচারাল ড্রপিং' উল্লেখ করে চিন্তিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। প্রচুর পরিমাণে গুটি হয়েছে। গাছ তার সাধ্যমতো যতটুকু খাবার দিতে পারবে ততটুকু রেখে বাকিটুকু সে ঝরিয়ে ফেলবে। 

এই স্বাভাবিক ঝরে যাওয়াটা প্রত্যেকটা জাতের ক্ষেত্রে ৪০ থেকে ৪২ দিন পর্যন্ত চলতে থাকে। ভালো ফলন পেতে বিশেষ কোন সমস্যা না থাকলে বাগানে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক, সার বা প্রতিষেধক প্রয়োগ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।

উপজেলার কালিয়ান পাড়া গ্রামের বাগান মালিক রফিকুল ইসলাম আমার সংবাদকে বলেন, আমার বাগানের  তিন ভাগের এক ভাগ আমই পড়ে গেছে। কি কারণে এভাবে আমগুলো ঝরছে তাও তারা বুঝতে পারছেন না তারা।

সখীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-সহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা মো.আনিছুর রহমান আমার সংবাদকে বলেন,  ধান-চাল বা অন্য ফসলের মতো আম উৎপাদনের কোনো লক্ষ্যমাত্রা কৃষি অধিদফতরের কাছে থাকে না। 

[media type="image" fid="119996" layout="normal" caption="1" infograph="0" parallax="0" popup="1"][/media]

তবে সখীপুরে  ২৪০ হেক্টর জমিতে আম গাছ রয়েছে। আগামী বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ অঞ্চল থেকে প্রায় ৫ হাজার মেট্রিকটন  আম উৎপাদন হবে বলে আশা করা করা যাচ্ছে। 

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো.সাজ্জাদুর রহমান আমার সংবাদকে  বলেন, আবহাওয়া জনিত কারণে কিছুটা ব্যাহত হলেও গত বছরের চেয়ে ফলন কম হবে না।

আমারসংবাদ/এআই