Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

ফরিদপুরে আ‌পেল চা‌ষ, ৩ চাষীর সাফল্য

এপ্রিল ২৭, ২০২১, ০৮:২০ এএম


ফরিদপুরে আ‌পেল চা‌ষ, ৩ চাষীর সাফল্য

প‌রীক্ষামূলকভাবে আ‌পেল চা‌ষ করা হয়েছে। ফ‌রিদপু‌রের সালথায় প্রথমেই আপেল চাষে সাফল্য পে‌য়ে‌ছেন ৩ জন সৌ‌খিন চাষী। সালথা উপ‌জেলা কৃ‌ষি অ‌ফিসের পরামর্শ ও সহ‌যো‌গীতায় ৬‌টি সামার গ্রীন জা‌তের আ‌পে‌লের চাষ পরীক্ষামূলক শুরু করেন এ ৩ জন ফল চাষী।

এরমধ্যে উপ‌জেলার গ‌ট্টি ইউ‌নিয়‌নের দরগা গ‌ট্টি গ্রামের গোপাল বিশ্বাস ৩‌টি, মিয়ার গ‌ট্টি এলাকার আরিফ হো‌সেন ২‌টি এবং অপর এক‌টি গাছ ফ‌রিদপুর সদ‌র এলাকায় রোপণ করা হয়। 

এই ৬ টি গাছের মধ্যে গোপাল বিশ্বাসের রোপণ করা ৩‌টি গা‌ছেই চল‌তি মৌসু‌মে ফুল এবং ২ টি গা‌ছে আ‌পেলের গু‌টি এসেছে। আরেক চাষী আ‌রিফ হো‌সেনের রোপণকৃত একটি গা‌ছে বেশ ভাল ফুল থাক‌লেও ফলের গু‌টি ঝরে পড়ে যায়। 

সবমিলিয়ে আপেল চাষের জন্য ফরিদপুরের অত্র এলাকার আবহাওয়া বেশ অনুকূলে রয়েছে বলে স্থানীয় কৃষি অফিস সুত্র জানায়। 

প‌রীক্ষামূলক এই আ‌পেল চা‌ষে সাফল্য পাওয়ায় সৌ‌খিন অ‌নেক ফল চা‌ষীরা আগামীতে আ‌পেল চা‌ষের কথা ভাব‌ছেন। সে মোতাবেক অনেকেই আপেল চাষের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন।

চাষী, গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, উপ‌জেলা কৃ‌ষি অ‌ফিসের পরামর্শ ও সহ‌যো‌গিতায় ২০২০ সালের এ‌প্রিল মা‌সে ৩‌টি আ‌পেল গা‌ছের চারা রোপণ ক‌রি। নি‌বিরভা‌বে প‌রিচর্চা করার পর চলতি মৌসু‌মে ৩ টি গা‌ছের ম‌ধ্যে দু‌টি গা‌ছে ফল দেখ‌তে পাই। 

আ‌পেল বিদেশী ফল হওয়ায় অ‌নেক লোক দেখতে আ‌সে। আ‌মি আশা কর‌ছি আগামী বছর তিন‌টি গাছেই ফল থাক‌বে। তিনি বা‌ণিজ্যিকভা‌বে আ‌পেল চাষ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান।

আরেক ফল চাষী আ‌রিফ হো‌সেন ব‌লেন, আ‌মি বি‌ভিন্ন ধর‌নের ফ‌লের আবাদ কর‌ছি পাশাপা‌শি প‌রীক্ষামূলকভা‌বে আ‌পেল গাছ রোপণ করেছি। চল‌তি মৌসু‌মে আ‌পেল গা‌ছে অ‌নেক ফুল থাক‌লেও সব ঝ‌রে গে‌ছে। 

তবে নতুন অবস্থায় এটা অ‌নেক আশা জাগায়, আ‌মি আশা কর‌ছি আগামী মৌসু‌মে ফল থাক‌বে। ফলন ভালো হ‌লে অন্য ফ‌লের পাশাপ‌শি আপেল চাষ কর‌বো।

এ বিষ‌য়ে সালথা উপ‌জেলা কৃ‌ষি কর্মকর্তা জীবাংশু দাস ব‌লেন, গতবছর এপ্রিলের দিকে ৬ টি আপেল চারা (Summer Green) এনেছিলাম দিনাজপুর থেকে, পরীক্ষামূলক চাষের জন্য। উদ্দেশ্য ছিল সালথা উপজেলার কৃষিকে আরেকটু সমৃদ্ধ করা, নতুন একটি প্রযুক্তি যুক্ত করা। 

ঝুঁকি ছিল, কারণ নতুন ফসল মাটি ও আবহাওয়ার সাথে কতটা খাপ খায় সেটা নিয়ে একটু চিন্তিত ছিলাম। তাছাড়া দামটাও একটু বেশি। সেই চেষ্টা এখন পর্যন্ত সফল। প্রথম বছরেই ২ টি গাছে একটি করে ফল এসেছে, বাকিগুলোতেও ফুল আছে। 

তিনি আরও জানান, ধীরে ধীরে আমাদের কৃষক এবং তরুণ উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আপেল চাষের ইচ্ছা আছে। সেটা করা গেলে পুষ্টিসমৃদ্ধ এ ফল বাইরে থেকে আমদানী করতে হবে না। 

ধন্যবাদ জানাই সৌখিন চাষীদেরকে যারা ঝুঁকি নিয়ে এ ফলটি চাষ করেছেন। উপ‌জেলার ফল চাষী‌দের জন্য এটা অ‌নেক বড় সাফল্য বলেও তিনি জানান।

আমারসংবাদ/এআই