Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

করোনায় ক্রান্তিকাল তবুও কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক

শেরপুর প্রতিনিধ

মে ২, ২০২১, ১২:১৫ পিএম


করোনায় ক্রান্তিকাল তবুও কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক

মেঘ-বৃষ্টিকে ফাঁকি দিয়ে সূর্য যখন তপ্ত রোদ ছড়ায়, কৃষক দেহ তখন খানিকটা দম নিতে চায়। দম নেওয়ার ফুরসত পেয়েই  মেতে ওঠেন গালগল্পে। শ্রমিক আহসান আলী বলছিলেন করোনা আর ধানের বাজারদর নিয়ে। 

তিনি বলেন, করোনায় সব মানুষলার মরণ দশা। তবে যা কহ কৃষকলা কিন্তু টাকা পাছে।

শেরপুর জেলার প্রায় ৫২টি ইউনিয়নে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। ২৮ ধানের পাশাপাশি কাটা শুরু হয়েছে বিভিন্ন জাতের হাইব্রিড ধান। সোনার ফসল ঘরে তুলতে অনেকেই ব্যস্ত সময় পার করছেন। গত কয়েক বছরের চেয়ে এবার জেলার সব উপজেলা গুলিতে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বেশির ভাগ জমির ধানই পাকতে শুরু করেছে। ধান ঘরে তুলতে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন কৃষক-কৃষাণিরা। তবে বাজারে ধান ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই দাম কমতে শুরু করায় ভরা মৌসুমে ধানের ন্যায মূল্য পাবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছে কৃষকরা।

জেলার নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতীতে এবং শ্রীবর্দী উপজেলার পাহাড়ী অঞ্চলে ধানের বাম্বার ফলণ হয়েছে বেশী। 

নালীতাবাড়ী পোড়াগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, আমাদের পাহাড়ী অঞ্চলে ২ একর বোরো ২৮ জাতের ধান কেটেছেন । কৃষক মোমিন মিয়া বলেন ফলন ভালো হয়েছে। বর্তমানে ভালো দামে বিক্রি করতে পারবো। তবে ভরা মৌসুমে ধানের ন্যায মূল্য পেলে কৃষকরা লাভবান হবে।

ঝিনাইগাতী গৌরিপুর ইউপিঃ চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান মন্টু বলেন বলেন,‘আমার এলাকায় ধান কাটা শুরু হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার কৃষকরা গোলায় ধান তুলতে পারবে।’

শেরপুর পাকুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, আকাশে রোদ যেন কৃষকের মুখের হাসির ঝিলিক। মেঘ দেখলেই বুকটা ওঠে কেঁপে, দুরু দুরু করতে থাকে। সোনামাখা রোদে দিগন্ত বিস্তৃত মাঠে হলুদ ধানের শীষ চকচকিয়ে উঠেছে। ফলে বিভিন্ন বিল খালে পাড়ে পাড়ে এখন ধান কাটা মাড়াইয়ের খলা চলছে। কীভাবে ধানে কেটে ঘরে আনবেন তা নিয়ে ব্যস্ত কৃষকরা।

কামারেরচর ইউপিঃ চেয়ারম্যান ও শেরপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের চরাঞ্চালে শুরু হয়েছে ধান কাটার উৎসব। এই অঞ্চলে পয়লা বৈশাখ থেকে ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়ে থাকে বহুকাল আগে থেকেই। কিন্তু গত কয়েক বছর যাবত আগাম জাতের ধান আবাদ হওয়ায় কিছু ধান আগেই কাটা-মাড়াই শুরু হয়। এখন চরজুড়ে চলছে সেটিই।

জেলা কৃষিকর্মকর্তা ড. অমিত কুমার দেয় বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে ৫২ ইউনিয়নে এবার বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বোরো ধানের ফলন ভাল হয়েছে। এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধান উৎপাদন হবে বলে আশা করছি।

আমারসংবাদ/কেএস