Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

মদনে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার নেতৃত্বে হামলায় আহত ৫, আটক ৮

মোঃ সাকের খান, মদন (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি

মে ৩, ২০২১, ০৭:০০ এএম


মদনে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার নেতৃত্বে হামলায় আহত ৫, আটক ৮

নেত্রকোনার মদনে ফিল্মি স্টাইলে হামলার ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২ মে) রাতে উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের খাগুরিয়া গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে দু-পক্ষের ৫ জন আহত হয়েছে। 

আহতদের মধ্যে রাজীব মিয়ার (১৮) অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন মদন হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রিফাত সাঈদ। 

শাহীনকে মদন হাসপাতালে ভর্তি ও বাকী আহত সোহেল, সাইদুল, আসাদকে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় ৮ জনকে জনতা গণধোলাই দিয়ে আটক করে মদন থানায় সোপর্দ করেছেন। 

আটককৃতরা হলেন-কাইটাইল গ্রামের পরিমল, মারজান, আলমগীর, রহমত আলী,আলীম, শরীফ,সজিব ও আশাদুল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার বিকালে কাইটাইল গ্রামের রহমত আলীর ছেলে অটো চালক রাজিব মিয়া তার অটো রিক্সায় যাত্রী নিয়ে খাগুরিয়া গ্রামে আসে। খাগুরিয়া গ্রামের সামনে কাইটাইল ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন পাকা রাস্তায় আসলে সাইকেল সাইড দেয়া নিয়ে খাগুরিয়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য সোহরাব মিয়ার ছেলের সাথে তর্কবির্তক হয়। 

এসময় দুজনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে রাজিব মিয়া কাইটাইল গ্রামে গিয়ে কয়েক জনকে এ ঘটনা জানালে রাত আনুমানিক ৮ টার দিকে কাইটাইল ইউনিয়নের আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কাইটাইল গ্রামের কেনু মিয়ার নেতৃত্বে মোটরসাইকেল ও অটো রিকসা যোগে ২০/২৫ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে খাগুরিয়া গ্রামে এ হামলা চালায়। তখন শাহীন মিয়াসহ কয়েকজন আহত হলে স্থায়ীরা তাদের মদন হাসপাতালে নিয়ে যায়। 

এসময় এলাকাবাসী সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কেনু মিয়াসহ ৯ জনকে আটক করে। খবর পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সাফায়াত উল্লাহ রয়েল ঘটনাস্থলে পৌঁছে মদন থানায় খবর দেয়।পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে জনতা আটকৃতদের পুলিশে সোপর্দ করেন। 

সেচ্ছসেবক লীগের সভাপতি কেনু মিয়ার হাতে হাতকড়া পড়িয়ে অদৃশ্য কারণে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। পরে বাকী ৮ জনকে থানায় নিয়ে যায়। কেনু মিয়াকে ছেড়ে দেয়ার ঘটনায় উৎসুক  জনতা পুলিশের গাড়ি আটক করে বিক্ষোভ অবস্থা বেগতিক দেখে ইউপি চেয়ারম্যান সাফাতুল্লাহ রয়েল উৎসুক জনতাকে সান্ত্বনা দিয়ে পুলিশের গাড়ি ছাড়ে।

এ ব্যাপারে কাইটাইল ইউনিয়নের আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কেনু মিয়া বলেন, আমি ঘটনাটি মীমাংসা করতে এসেছিলাম। মীমাংসা করতে আসলে যে ঝামেলা বাড়বে তা বুঝতে পারিনি।

কাইটাইল ইউপি চেয়ারম্যান সাফায়াত উল্লাহ রয়েল বলেন, ঘটনাটি খুবই নিন্দনীয়। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার হওয়া দরকার। 

মদন থানার অফিসার ইনচার্য (ওসি) ফেরদৌস আলম জানান, এ ঘটনায় ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। এরমধ্যে ছাত্র আছে ৪ জন। আটককৃতদের মদন হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে থানায় আনা হয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

ইউনিয়ন আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কেনু মিয়াকে হাতকড়া পড়িয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়টি আমার জানা নেই।

আমারসংবাদ/এআই