Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

রায়হান হত্যা মামলার চার্জশিট বুধবার

সিলেট ব্যুরো

মে ৪, ২০২১, ১১:৪৫ এএম


রায়হান হত্যা মামলার চার্জশিট বুধবার

সিলেটে পুলিশ ফাঁড়িতে যুবক রায়হান আহমদ হত্যাকাণ্ডের সাত মাসের মাথায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। 

বুধবার (৫ মে) সকাল ১১টায় আদালতে আলোচিত এ হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র জমা দেয়ার কথা জানিয়েছেন পিবিআই সিলেটেরে পুলিশ সুপার খালেদ-উজ-জামান।

এদিন বেলা ১২টায় পিবিআই সিলেটে অফিসে প্রেসব্রিফিং করে মামলার পুরো তদন্ত কার্যক্রম ও আসামিদের ব্যাপারে অবগত করা হবে বলে জানান পিবিআই পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খালেদ উজ জামান।

মোহাম্মদ খালেদ উজ জামান বলেন, চার্জশিট প্রস্তুত হয়ে গেছে। তদন্তে যাদেরই সম্পৃক্ততার বিষয়টি উঠে এসেছে তাদেরকে আসামি করা হয়েছে।তবে কাদেরকে আসামি করা হচ্ছে তা এখনই বলতে নারাজ এই পুলিশ কর্মকর্তা।

পুলিশ সুপার বলেন, করোনা পরিস্থিতি ও নিখুঁত তদন্তের স্বার্থে আলোচিত এ মামলাটির আসামি পুলিশ হওয়ায় একটি নির্ভূল ত্রটিমুক্ত ও গ্রহণযোগ্য চার্জশীট তৈরি করতে কিছুটা সময় লেগেছে।

সূত্রের খবর, মামলার তদন্তে রায়হানকে নির্যাতনের সাথে বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ (বরখাস্ত) এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া, বরখাস্ত হওয়া টুআইসি এসআই হাসান আলীসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে অভিযোগপত্রে আসামি করা হবে। তবে রায়হান হত্যার পর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক পরিবর্তন ও এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে পালাতে সহায়তাকারী কথিত সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল নোমানকে অভিযোগপত্রে আসামি করা হবে কি-না তা এখনও পরিষ্কার নয়।

সূত্র আরও জানায়, বন্দরবাজার ফাঁড়ির সাময়িক বরখাস্ত ৬ পুলিশকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তারা হলেন-বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া, টুআইসি এসআই হাসান আলী, এএসআই আশেকে এলাহী, কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, কনস্টেবল তৌহিদ মিয়া ও কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস। অভিযুক্ত ৬ জনই কারাগারে রয়েছেন। তবে ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ গায়েবকারী কথিত সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমান পলাতক রয়েছে।

রায়হানের মা সালমা বেগম জানান, দেরিতে হলেও মামলার অভিযোগপত্র প্রস্তুতের খবরে খুশি রায়হানের পরিবার। দ্রুত বিচারকাজ শুরু করে জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চান তার।

প্রসঙ্গত, গত ১১ অক্টোবর রাতে সিলেট নগরের আখালিয়ার এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে নগরের কাষ্টঘর সুইপার কলোনি থেকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে ধরে এনে নির্যাতন চালানো হয়।এতে তিনি গুরুতর আহত হয়ে পড়লে পরদিন ভোরে তাকে সিলেট এম এজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ১২ অক্টোবর রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

আমারসংবাদ/কেএস