Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত সাড়ে পাঁচ হাজার স্বেচ্ছাসেবী

মে ২৩, ২০২১, ১২:১০ পিএম


দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত সাড়ে পাঁচ হাজার স্বেচ্ছাসেবী

দেশে তীব্র দাবদাহ বয়ে যাওয়ার মধ্যে আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশংকার কথা জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। আবহাওয়াবিদদের তথ্য অনুযায়ী শনিবার (২২ মে) বেলা ২টার পর পূর্ব মধ্য বঙ্গপোসাগর ও তার পার্শবর্তী এলাকায় লঘু চাপ সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার (২৩ মে) নাগাদ খুলনা উপকূলে পৌঁছাতে পারে। এ খবর ইথারে ইথারে প্রচার হওয়ার পর খুলনার পাঁচ উপজেলার দু’লাখ মানুষ আতঙ্কে আছে।

ঘূর্ণিঝড়টি ঘনীভূত হলে খুলনা ও মোংলায় আঘাত হানতে পারে। এ কারণে মোংলা সমুদ্রবন্দর এলাকায় এক নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সম্ভব্য ঘূণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার স্বেচ্ছাসেবী। 

খুলনা ত্রাণ ও পুর্ণবাসন অধিদপ্তরের সূত্র জানান, ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহানি ও সম্পদের নিরাপত্তার জন্য কয়রায় ১১৮টি, দাকোপে ১২৩টি, ডুমুরিয়ায় ১৯টি, বটিয়াঘাটায় ১৮টি ও পাইকগাছায় পাঁচটি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তত রাখা হয়েছে। এসব কেন্দ্রের ধারণ ক্ষমতা এক লাখ ৯০ হাজার ৩৭০জন। গো খাদ্য ও শিশু খাদ্য প্রস্তত রয়েছে।
পাঁচ হাজার ৩২০জন ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তত রয়েছে। 

এছাড়া রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির ৫০ জন ভলেন্টিয়ারসহ অন্যান্য সেচ্ছাসেবীরা সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে। সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় এখনো শুকনো খাদ্য ও অর্থ বরাদ্দ করা হয়নি। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। ফায়ার ব্রিগেড প্রস্তুত করা হয়েছে। 

২০২০ সালের ২০ মে আম্ফান নামক প্রাকৃতিক দুর্যোগে খুলনা জেলায় দু’লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জেলায় প্রায় ২০ কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হয়। কয়রা উপজেলার কয়েকটি বেড়িবাধ ভেঙে যায়। 

কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সাতটি ইউনিয়নে এক হাজার ২৬০ জন সিপিপি কর্মী প্রস্তুত রয়েছে। দক্ষিণ বেদকাশী, উত্তর বেদকাশী, মহারাজপুর, মহেশ্বরীপুর ও সদর ইউনিয়নে কাল থেকে মাইকিং করা হবে। এ পাঁচটি ইউনিয়ন সব সময় দূর্যোগে ঝূঁকিপূর্ণ থাকে। আশ্রয়কেন্দ্রের জন্য শুকনো খাবার ও শিশু খাদ্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

সিপিপি’র উপ-পরিচালক মো: গোলাম কিবরিয়া বলেন, আমাদের সিপিপি’র সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছে। দাকোপে এক হাজার ৮৬০জন, কয়রায় এক হাজার ৪৬০জন ও পাইকগাছায় দুই হাজার জন স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তত রয়েছে। তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। পাঁচ হাজার ৩২০ জনের মধ্যে অর্ধেক নারী ও অর্ধেক পুরুষ সদস্য। যেহেতু তারা স্বেচ্ছাসেবী, তাদের কোন বেতন নেই। তাদের কাজে উৎসাহ দেয়ার জন্য প্রতি বছর প্রতি উপজেলা থেকে বেস্ট ভলেন্টিয়ার পুরস্কার দেয়া হয়। প্রতি বছর উপজেলায় মহড়া দেয়া হয়।

আমারসংবাদ/কেএস