Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

ঝুঁকিপূর্ণ ২৪টি ভবন বন্ধ করল সিসিক

সিলেট ব্যুরো

মে ৩০, ২০২১, ১২:৪৫ পিএম


ঝুঁকিপূর্ণ ২৪টি ভবন বন্ধ করল সিসিক

পর পর ছয়বার ভূ-কম্পনের কারণে সিলেটে প্রবল ভূমিকম্পের আশঙ্কায় তালিকাভূক্ত ২৪টি ঝুকিপূর্ণ ভবন আগামী ১০দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক)। জনগণের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে এসব ভবনে অবস্থানরতদের নিরাপদে সরে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

রোববার (৩০ মে) বিকাল ৩টায় সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জেলা ও পুলিশ প্রশাসনকে সাথে নিয়ে অভিযান চালিয়ে ভবনগুলো বন্ধ ঘোষণা করেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কাছাকাছি সময়ে একাধিকবার ছোট ছোট ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার ঘটনায় ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা সিলেট খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। এজন্য বহুতল ভবনের বাসিন্দাসহ নাগরিকদের অন্তত এক সপ্তাহ সতর্ক থাকতে বলেছেন তারা। ভূতত্ত্ববিদদের এই পরামর্শের ভিত্তিতে সিসিকের তালিকাভুক্ত ঝুঁকিপূর্ণ ২৪টি সরকারি বেসরকারি ভবন ও বিপনী বিতান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। 

এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দিবাগত রাত চারটা পর্যন্ত ৬ বার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পের কারণে নগরের বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে। আতঙ্কে অনেকে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন।

সিলেট আবহাওয়া অফিস জানায়, সিলেটে ছয়বার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে ১০টা ৩৬ মিনিটে অনূভূত হওয়া ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে তিন। এরপর সকাল ১০টা ৫১ মিনিটে ৪ দশমিক ১ মাত্রা, ১১টা ৩০ মিনিটে ২ দশমিক ৮ ও দুপুর ১টা ৫৮ মিনিটে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৬। সবশেষ রোববার ভোর ৪টা ৩৫ মিনিটে ভূমিকম্পে ফের কেঁপে ওঠে সিলেট। দু'বার রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা নির্ণয় করা যায়নি। 

এদিকে ভূমিকম্পের ডেঞ্জার জোন সিলেটে ২৪টি সরকারি-বেসরকারি ভবন ঝুঁকিপূর্ণের তালিকায় রয়েছে। রোববার বিকেলে এসব ভবনে অভিযান চালান সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এসময় মানুষের নিরাপত্তায় আগামী ১০দিন ভবনগুলো বন্ধ ঘোষণা করেন।

এ সময় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, কাছাকাছি সময়ে ভূমিকম্পের কারণে সিলেট খুবই ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যেকোনো সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এজন্য ভুতত্ববিদদের পরামর্শ মতে তালিকাভূক্ত সকল ঝুঁকিপূর্ণ ভবন আগামী ১০দিনের জন্য বন্ধ করা হয়েছে। যদি বড় ধরণের আশঙ্কা কেটে যায় তাহলে বন্ধ কমিয়ে আনা হতে পারে।

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো হচ্ছে
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের উত্তর পাশের কালেক্টরেট ভবন-৩, জেলরোডস্থ সমবায় ব্যাংক ভবন, একই এলাকায় মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার সাবেক কার্যালয় ভবন, সুরমা মার্কেট, বন্দরবাজারস্থ সিটি সুপার মার্কেট, জিন্দাবাজারের মিতালী ম্যানশন, দরগাগেইটের হোটেল আজমীর, বন্দরবাজারের মধুবন সুপার মার্কেট, টিলাগড় কালাশীলের মান্নান ভিউ। 

এছাড়া নগরের শেখঘাট এলাকায় শুভেচ্ছা-২২৬ নম্বর ভবন, যতরপুরের নবপুষ্প ২৬/এ বাসা, চৌকিদেখির ৫১/৩ সরকার ভবন, জিন্দাবাজারের রাজাম্যানশন, পুরানলেনের ৪/এ কিবরিয়া লজ, খারপাড়ার মিতালী-৭৪, মির্জাজাঙ্গাল মেঘনা এ-৩৯/২, পাঠানটুলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর বাগবাড়ির একতা ৩৭৭/৭ ওয়ারিছ মঞ্জিল, একই এলাকার একতা ৩৭৭/৮ হোসেইন মঞ্জিল, একতা-৩৭৭/৯ শাহনাজ রিয়াজ ভিলা, বনকলাপাড়া নূরানি-১৪, ধোপাদিঘীর দক্ষিণ পাড়ের পৌরবিপণী মার্কেট ও ধোপাদিঘীরপাড়ের পৌর শপিং সেন্টার। এর মধ্যে পুরানলেনের ৪/এ কিবরিয়া লজটি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হতে বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দিয়ে মেরামত করা হয়েছে।

অভিযানে জেলা জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ফায়ার সার্ভিস ও গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলীরা উপস্থিত ছিলেন। 

আমারসংবাদ/কেএস