Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

গৌরনদীতে জোড়া লাগানো শিশু কন্যার জন্ম

গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি

জুন ৩, ২০২১, ১০:৪০ এএম


গৌরনদীতে জোড়া লাগানো শিশু কন্যার জন্ম

বরিশাল জেলার গৌরনদীতে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে পেটে জোড়া লাগানো জমজ শিশুর জন্ম হয়েছে। তবে তাদের হাত, পা মুখ মাথা আলাদা ও স্বাভাবিক রয়েছে। তারা দুজনেই মেয়ে সন্তান। জন্মের পর থেকেই এখন পর্যন্ত নবজাতক দুজন সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তাদের পিতা আবু জাফর। 

বুধবার (২ জুন) দুপুর ১২টায় গৌরনদী উপজেলা সদরের মৌয়ূরী ক্লিনিকের চিকিৎসক তানজিদ রহমানের সফল অস্ত্রপচারে জোড়া লাগানো জমজ শিশু ভূমিষ্ঠ করেন প্রসূতি হালিমা। 

আবু জাফরের বাড়ি পার্শ্ববর্তী মুলাদী উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের সেলিমপুর গ্রামের বাসিন্দা। এছাড়াও তাদের আরো দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। 

আবু জাফর বলেন, সিজারিয়ানের পর আমার স্ত্রী সহ আমার নবজাতক সন্তান দুজনও সুস্থ আছেন। তবে গৌরনদীতে জোড়া লাগানো জমজ শিশু দুজনের সঠিক চিকিৎসা হবে না বলে সন্ধ্যায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। 

নবজাতক ওয়ার্ডে দায়িত্বরত চিকিৎসক সৌরভ জানিয়েছেন, ভর্তি হওয়া নবজাতক দুইজন এখন পর্যন্ত সুস্থ রয়েছে। তাদের আলাদা করার অপারেশন বরিশালে হয় না। এজন্য নবজাতদ্বয়কে ঢাকায় নিতে হবে। অস্ত্রপচারের মাধ্যমে জোড়া লাগানো শিশু দেশে আলাদা করা হয়। এর আগেও দেশে অস্ত্রপচারের মাধ্যমে জোড়া লাগানো মাথা আলাদা করা হয়েছে। আমি আশা করি এই শিশু দুজনকেও আলাদা করা সম্ভব। এজন্য তাদেরকে শিগগিরই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হবে। আমরা আজই তাদের ঢাকা নিয়ে যেতে বলেছি। আজ না পারলেও হয়তো আগামীকাল নিয়ে যাবেন। 

ডাঃ সৌরভ বলেন, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আমি যোগদানের বিগত তিন বছরের মধ্যে এমন নবজাতক এই প্রথম ভর্তি হলো। 

নবজাতকদ্বয়ের নানী মৌলি বেগম জানিয়েছেন, দুই মাস আগে স্থানীয় ক্লিনিকে আল্টাসনোগ্রাম করালে চিকিৎসক জানিয়েছিলেন জমজ সন্তান ভূমিষ্ঠ হবে। কিন্তু তারা যে জোড়া লাগানো তা বলেনি। মৌলি দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন যেন তার নাতনী দুজন সুস্থ থাকেন। একই সাথে আর্থিক অস্বচ্ছল হওয়ায় ভূমিষ্ঠ হওয়া নবজাকদের চিকিৎসা করানো সম্ভব নয় বলে সরকার ও বিত্তবানদের কাছে আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন। 

ভূমিষ্ঠ হওয়া নবজাতকের পিতা আবু জাফর আরো জানান, তিনি পুরান ঢাকায় মুদি দোকান ছিল। কিন্তু করোনার কারণে ক্রেতা কমে যাওয়ায় পাওনা টাকা পরিশোধ করেননি অনেক ক্রেতারা। ফলে তার মুদি দোকান বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে তিনি ঢাকায় ভ্যানগাড়ি চালান। 

আবু জাফর বলেন, ভূমিষ্ঠ হওয়ার আমার সন্তান দুটি বাঁচাতে হলে অপারেশন করতে হবে। এই অপারেশন ব্যয়বহুল বলে শুনেছি। আমার একার পক্ষে তা সম্ভব নয়। এজন্য সকলকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার অনুরোধ করি।

আমারসংবাদ/কেএস