Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

কুলাউড়ায় নির্যাতিতের উপর মিথ্যা মামলা

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি 

জুন ১০, ২০২১, ০১:৪০ পিএম


কুলাউড়ায় নির্যাতিতের উপর মিথ্যা মামলা

কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে জখম করার পর নির্যাতিতদের উপর উল্টো মিথ্যা মামলা, হুমকি ও নানা অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ করেছেন একই ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের নির্যাতিত ভূক্তভোগী আলফাজ মিয়া।

বৃহস্পতিবার (১০ জুন) বিকাল ৩টায় কমলগঞ্জের শমশেরনগরস্থ সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে পাল্টা এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করা হয়েছে। 

লিখিত অভিযোগে মো. আলফাজ মিয়া বলেন, গত ১৫ মে দিবাগত রাত ১০টায় তিনিসহ তার চাচাতো ভাই শিক্ষানবীশ আইনজীবি মো. আবুল হোসেন স্থানীয় খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির মিটিং শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। যাওয়ার পথে পূর্ব শত্রুতার জেরে একই এলাকার হাবিবুর রহমান শিপুসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালিয়ে আবুল হোসেনের শরীরে জখমসহ মাথায় কূপিয়ে প্রাণে হত্যার চেষ্টা করেন।

এ ঘটনায় আলফাজ মিয়া বাদি হয়ে চাঁনপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান শিপু (২৫), রহিমা বেগম (৫০), খিদিরপুর গ্রামের সজিব মিয়া (৩৫), ইমতিয়াজ আলম সিহাম (১৯), আল আমীন আহমেদ (২২), লালারচক গ্রামের আমির হামজা (২৫), সঞ্জবপুর গ্রামের বেলাল আহমেদ (২০) এর বিরুদ্ধে গত ১৭ মে কুলাউড়া থানায় মামলা (নং ১৪) দায়ের করেন।

তিনি বলেন- আসামি ইমতিয়াজ আলম সিহাম, আল আমীন, আমির হামজা, বেলাল আহমেদ ও রহিমা বেগম আদালত থেকে জামিন নিয়ে মামলা প্রত্যাহার করার জন্য তাদেরকে ও মামলার স্বাক্ষীদেরকে হুমকি প্রদান করছেন। মামলা প্রত্যাহার না করলে তার ও আবুল হোসেনের পরিবারের লোকজনদের বাড়িঘর পুড়িয়ে ফেলার হুমকিও দিচ্ছে। এছাড়া বিবাদী রহিমা বেগম তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাসহ নারী শিশু নির্যাতন মামলা দিবে বলেও হুমকি প্রদান করছেন।

আলফাজ মিয়া বলেন, বিবাদী রহিমা বেগম জমি ক্রয়ের একটি চেকের ফটোকপি নিয়ে তার চাচাতো ভাই এম. নাসির উদ্দীন আহমদকে জড়িয়ে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। 

তিনি বলেন, মামলায় উল্লেখ করা হয় তার ছেলেকে ফ্রান্সে পাঠানোর জন্য তিনি চেক প্রদান করেন। 

আবার একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তার ছেলেকে এএসআই পদে চাকরির জন্য চেক প্রদান করা হয়। 
আলফাজ মিয়া বলেন, প্রকৃত ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চলছে। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ ও র‌্যাব তাদের বাড়িতে বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালায়। র‌্যাব আসার ঘটনাকেও অনধিকার পরিচয়ে তাদের বাড়িতে ভাঙচুরের মতো সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও হয়রানিমূলক অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিবাদীরা ফেসবুকে বিভিন্ন ফেইক আইডি দিয়ে নানা অপপ্রচার শুরু করেছে বলে অভিযোগ করা হয়।

এক প্রশ্নের উত্তরে মো. আবুল হোসেন জানান, ফ্রান্সে লোক পাঠানো কিংবা এএসআই পদে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাদের কোন এজেন্সিও নেই। আমরা ঢাকা সিলেটে স্ব-স্ব কর্মস্থলেই কাজ করছি। সংবাদ সম্মেলনে মো. আবুল হোসেন ও মো. আলফাজ মিয়া ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- মো. আব্বাছ আলী, এম নাসির উদ্দিন আহমদ, সাবেক প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবির, ফয়ছল হায়দারী, লুৎফুর রহমান, মাহমুদুর রহমান মুকুল, মহরম আলী, সাগর আহমদ, শওকত আলী জুয়েল ও সাইফুল ইসলাম।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রহিমা বেগমের মোবাইলে ফোন দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

কুলাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, রহিমা বেগমের আদালতের মামলার বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।

আমারসংবাদ/কেএস