Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

‘মাগুরার মেয়র জনগণের মেয়র’

মিরাজ আহম্মেদ, মাগুরা

জুন ১২, ২০২১, ০৮:৫০ এএম


‘মাগুরার মেয়র জনগণের মেয়র’

মাগুরা পৌরসভার মেয়র খুরশীদ হায়দার টুটুল। গত পৌর নির্বাচনে মাগুরা পৌরসভার মেয়র হিসেবে দ্বিতীয় বার নির্বাচিত হয়েছেন খুরশীদ হায়দার টুটুল। পৌর এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। যার ফলে মাগুরা পৌরবাসী তাকে নাম দিয়েছেন ‘মাগুরার মেয়র জনগণের মেয়র’।

সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে উৎসাহিতকরণ ও জনগণের দৌড় গোড়ায় ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশ এগিয়ে চলেছে উন্নয়নের দিকে। সেই সাথে তাল মিলিয়ে মাগুরা পৌরসভাও এগিয়ে যাবে দ্রুত উন্নয়নের দিকে। 

প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে ১৬ কোটি মানুষকে সাথে নিয়ে সুখী সমৃদ্ধশালী ও আত্মনির্ভরশীল ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। সেই উন্নয়নের ধারাকে সমুন্নত রাখতে প্রান্তিক পর্যায়ে তার একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন খুরশীদ হায়দার টুটুল। 

সাম্প্রতিক মাগুরা পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত সকল নাগরিকের জনদুর্ভোগ এড়াতে ড্রেন ব্যবস্থা চালু ,নতুন সড়ক নির্মাণ সহ বিতর্কিত পুরাতন সড়ক ভেঙে আধুনিক নতুন সড়ক নির্মাণ,পানি শোধনাগার নির্মাণ,শহরের আবর্জনা পরিষ্কার ব্যবস্থা চালু, পৌর পার্ক, মহামারী করোনাভাইরাস সংক্রমণে সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ, শ্রমজীবী হতদরিদ্র নানামুখী মানুষের কর্মসংস্থান, শহরের প্রধান সড়কে আলোকসজ্জা প্রণয়ন সহ একাধিক পৌর এলাকার উন্নয়ন মূলক কাজ করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। 

পৌর অঞ্চল আরো উন্নতকরণ; দারিদ্র্যদূরীকরণ, হাইব্রিড আওয়ামী লীগ অপসারণ, তৃণমূল আওয়ামী লীগ সংস্করণ, প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার সহ মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের সাথে সংযুক্ত তৃণমূল পর্যায়ে রাজনৈতিক পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের মর্যাদা বৃদ্ধি এবং রাজনৈতিকভাবে পদের উপযুক্ত প্রার্থীকে তার উপযুক্ত সম্মানে আসীন করতে তিনি বদ্ধপরিকর। 

সাংগঠনিক সম্পাদক মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের ত্যাগী এই আওয়ামী লীগ নেতা মনে করেন, প্রতিটি মানুষের ভালোভাবে বাঁচার অধিকার রয়েছে। উপযুক্ত ব্যক্তিকে উপযুক্ত স্থানে যেতে দিতে হবে। কোনো প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা কারো কাম্য নয়। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পৌর অঞ্চল ও বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চান এই জনগণের মেয়র খুরশীদ হায়দার টুটুল। এবং তিনি তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজে রূপান্তরিত করতে চান। 

মাগুরা পৌরসভা তথা এ শহর অঞ্চল একটি ঐতিহাসিক প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী শহর অঞ্চল। প্রশাসন মাগুরা মহকুমা গঠিত হয় ১৯৪৫ সালে। এবং ১৯৮৪ সালের ১ মার্চ মহকুমাকে জেলায় রূপান্তর করা হয়। মাগুরা পৌরসভা ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও এ পৌরসভার রাস্তা ড্রেনসহ অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ অপ্রতুল।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ৮ নং সেক্টরের অধীনে মাগুরাবাসী পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে ১৬টি যুদ্ধে অংশ নেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় শালিখা উপজেলার মাগুরা-যশোর সড়কের শতখালী রাস্তার পাশে পাকবাহিনী ৬ জন মুক্তিযোদ্ধাকে জীবন্ত কবর দেয় এবং রাজাকারদের হাতে তালখড়িতে ৭ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন গণকবর ৪ (মাগুরা পিটিআই এলাকা, ওয়াপদা ক্যানাল, বিনোদপুর বাজার ঘাট, ছয়ঘরিয়ার গলাকাটা ব্রিজ) স্মৃতিস্তম্ভ ১টি সাম্প্রতিক মাগুরা স্টেডিয়ামের সামনে নতুন করে বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল তৈরি করা হয়েছে। তাছাড়া বিশ্বরোড সংলগ্ন পিটিআই-এর প্রধান গেটে অবস্থিত অনেক আগে নির্মিত।

তিনি বলেন, আমি ছোট বেলা হতে আমার পিতার (মরহুম আলতাফ হোসেন) মুখ থেকে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনতে শুনতে বড় হয়েছি। জেনেছি মহান নেতা বাংলার হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা। তার অনুপ্রেরণায় আমার এ রাজনৈতিক জীবনে মাগুরা পৌরবাসীর অনেক স্বপ্ন চিন্তা-চেতনাকে শতভাগ সফল করার প্রয়াস অব্যাহত থাকবে। আমি যে কোনো ভালো কাজে পরিপূর্ণভাবে মাগুরাবাসীর পাশে থাকবো। 

মাগুরা পৌরবাসীর জনদুর্ভোগ কমাতে আরো কিছু উন্নয়নমূলক কাজ এবং বিশেষভাবে যেসব অঞ্চলে নতুন পাকা সড়ক স্থাপন করা এখনো সম্ভব  হয়নি অতি দ্রুত সকল সড়কে আধুনিকায়ন এর আওতায় আনা হবে।

তিনি বলেন, প্রতিটা জিনিস একটা নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে এগোতে হয়। আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনাদের সার্বিক সহায়তায় আমার চিন্তা-চেতনা ও সৃষ্টিশীল ধ্যান-ধারণা বাস্তবায়নে আমি সর্বদা অবিচল। সন্ত্রাস, দুর্নীতি, অন্যায়, অত্যাচার, নিপীড়ন, মাদকমুক্ত, শোষণহীন মাগুরা পৌরসভা প্রতিষ্ঠাই হচ্ছে আমার মূল লক্ষ্য। বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশ হিসেবে বিশ্বের মাঝে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষে সরকারের একটি ক্ষুদ্র একক হিসেবে আমরা কাজ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।  

আমারসংবাদ/এআই