Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

মাদক নির্মূলে সচেতনতাই সবচেয়ে বেশি জরুরী: পিরোজপুরের সহকারী পরিচালক

মো: মনিরুল ইসলাম চৌধুরী, পিরোজপুর

জুন ২৬, ২০২১, ০২:৫০ পিএম


মাদক নির্মূলে সচেতনতাই সবচেয়ে বেশি জরুরী: পিরোজপুরের সহকারী পরিচালক

সারাদেশের ন্যায় পিরোজপুরে আন্তর্জাতিক মাদক বিরোধী দিবস পালিত হয়েছে। কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাসের) প্রকোপ বাড়ায় দিবসটি উপলক্ষে পিরোজপুরে তেমন কোনও নির্দেশনা না থাকলেও শহরের বিভিন্ন জায়গায় জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নিজ উদ্যোগে জনসচেতনতা মূলক ব্যানার ও ফেস্টুন লাগানো হয়েছে, বিতরণ করা হয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক ও লিফলেট। 

এরমধ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কর্তৃক সরবরাহকৃত মানবদেহে মাদকের কুফল সম্বলিত হ্যান্ড স্যানিটাইজার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার কার্যালয় সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্রদান করা হয়েছে। এসময় পিরোজপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ এনায়েত হোসেন, পরিদর্শক মোঃ বদরুল হাসানসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পিরোজপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো: এনায়েত হোসেন বলেন, কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাসের) প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার কারণে চলতি বছরে মূলত দিবসটি উপলক্ষে কোনো কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়নি। তবে জনসচেতনতা তৈরিতে ব্যানার, ফেস্টুন লাগানো ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কর্তৃক সরবরাহকৃত মানবদেহে মাদকের কুফল সম্বলিত হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা হচ্ছে। 

তিনি বলেন, আমাদের প্রতি মাসে অন্তত ৮ থেকে ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সচেতনতা মূলক সেমিনার করা হতো। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় কার্যক্রমগুলো পরিচালনা করা যাচ্ছে না। মাদকাসক্তদের ছাড়াও উঠতি বয়সী তরুণ থেকে শুরু করে সবাইকে এর কুফল সম্পর্কে বোঝাতে হবে। 

পরিবার থেকে সচেতন হতে হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের চেয়ে মাদকসেবীদের সংখ্যা যেহেতু অনেক বেশি তাই তাদেরকে ফিরিয়ে আনতে পারলে এর প্রকোপ কবে যাবে তাই সচেতনতাই সবচেয়ে বেশি জরুরী। পারিবারিক ও ধর্মীয় অনুশাসনের মাধমেই আমাদের এই তরুণ সমাজকে দূরে রাখা সম্ভব বলে আমি মনে করি।

উল্লেখ্য, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২০ সালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয় মাদক বিরোধী কর্মকান্ডের মধ্যে জনসচেতনতা তৈরির পাশাপাশি মোট ৬৪টি মামলা দায়ের ও ৬৩ জনকে আটক করা হয়েছে।

কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী দায়েরকৃত মামলা ও উদ্ধারকৃত আলামতের মধ্যে রয়েছে, ৫০৬ পিস ইয়াবা, ৪ কেজি ২৪০ গ্রাম গাজা, ২৪ বোতল ফেন্সিডিলসহ ১ লক্ষ ৪৬ হাজার ৯০০ বাংলাদেশি টাকা।  তবে জেলার ৭টি উপজেলায় ২০টি পদের জায়গা থাকলেও সহকারী পরিচালকসহ কাজ করেন মোট ৬ জন। যার কারণে কাজে প্রায়ই বিঘ্নতার সৃষ্টি হয় লোকবলের অভাবে। 

মটরসাইকেল বা গাড়ী না থাকায় অনেক সময় গাড়ী ভাড়া করে মামলা পরিচালনার কাজ করতে হয়। তাই যত দ্রুত সম্ভব এই সমস্যার সমাধান করে কাজের অগ্রগতির দিকে খেয়াল করা যায়। এদিকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন জেলার সহকারী পরিচালক।

আমারসংবাদ/এআই